একবার ভাবুন তো বাজারে গিয়ে হোটেলে চা খাওয়ার সময় চা স্টলে যে শিশুটি আপনাকে বিস্কুট, পানি ও চা দিলো তার সাথে আপনার পরিবারের বা আশেপাশের পরিবারের শিশুটির তুলনা করুন। যে শিশুটি সারাদিন পড়ালেখা, খেলাধুলা নিয়ে তার জীবন যাপন করছে। সেই বয়সের আরেকটি শিশু সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে এবং সংসারে তার অবদান রাখছে।
তার কি ইচ্ছা করে না, সেই সব উচ্ছল শিশুর মতো খেলাধূলা করতে । তার কি ইচ্ছা করে না। খেলাধূলা করতে ভালো খেতে, জীবন নিয়ে ভাবতে।তার আশাগুলো পূর্ণতা পাবেনা শুধুমাত্র এই দোষে যে তার বাবা-মা গরীব। সে নিম্নবিত্তের সন্তান । এ কি অপরাধ! আামাদের কি করার কিছু্ই নেই। এভাবেই কি তাদের স্বপ্নগুলোকে আমরা পিষে ফেলবো ?
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। অন্যান্য শিশুদের মতো কি তারও কি সচিব, মন্ত্রী, পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছা করে না ? তারও ইচ্ছা করে । তারও ইচ্ছা করে প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদের মতো হতে। যাকে সবাই স্বাধীনতা দিবসে সবাই তাকে স্যালুট করে।
এরকম আকাঙ্খাই করে এমন একটি শিশুকে নিয়ে নিচের সিনেমার গল্প।
যে শিশুটি শুধু পড়ালেখা করে পাশ করতে চায় না বরং সে চায় প্রেসিডেন্ট হতে। চায় প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করে তার স্বপ্ন জানাতে ও নিজেও প্রেসিডেন্ট হতে।
সিনেমাটিতে আরো একজন শিশুকে দেখানো হয় যে রাজার সন্তান তার আশেপাশে কর্মচারী দিয়ে ভরা সে আর কারো সাথে খেলতে পারে না। অনেক খেলনা থাকলেও খেলার সাথী নেই। যে ইংরেজী ভালো পারলেও হিন্দিটি তেমন পারেনা। যার এখনও জীবনের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় নি।
এমন দুটি শিশুর বন্ধুতের ফলে কি হয় তাই এই সিনেমাটিতে বেশ ভালোভাবেই দেখানো হয়েছে।
সিনেমাটির গল্পটি আমার বেশ ভালো হয়েছে।
আর কিছু লিখছি না। সিনেমাটি দেখেই তবে বলুন । কেমন লাগে।
সিনেমার আইএমডিবি লিংক
উইকিপিডিয়া লিংক
সিনেমার ডাউনলোড লিংক
মাত্র ৩৫০ মেগাবাইট ডিভিডিরিপ বিল্ট ইন সাবটাইটেল
পার্ট ওয়ান
পার্ট টু
অবশেষে বলি, এই সিনেমা শুধু দেখার জন্য নয়, এ থেকে সমাজ বদলের শপথ নেয়ার জন্য বলছি। যাদের ক্ষমতা আছে তাদের প্রতি অনুরোধ অন্তত একজন শিশুর হলেও দায়িত্ব নিতে। আর যারা পারি না, তারা অন্তত সেই সব শিশুর সাথে ভালো ব্যবহার করতে ।
আর যাদের অধীনে শিশু কাজ করে তাদের পড়ালেখার সুযোগ দিতে । তবেই এ পৃথিবীতে শিশুদের সেই নির্মল আনন্দ দেখতে পাবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৪২