অতঃপর জলধি শান্ত হয়, ক্লান্ত তবু নিরুদ্বিগ্ন মেঘমালা চলে ভেসে , আপন আয়েশে
আকাশের যাবতীয় কোণ, নিরবিচ্ছিন্ন সৌর আবেগে মাটির খাঁজ থেকে তুলে আনে জলীয় অনুমতি জলাভূমির স্রোতে অনায়াসে
সেই সহজাত দৃষ্টি প্রভাত-রজনীতে মিলিত হয় , সর্বজ্ঞের সুনিপুন-জ্যামিতিক স্তরবিন্যাসে
রচিত হয় গঠনতন্ত্র , ভূমিযন্ত্র প্রস্তুত হয় , অনাগত প্লাবনের সুদূ্র ভবিতব্যের সুবিস্তৃত প্রয়াসে
অবিশ্রান্ত বর্ষণ , সাতরঙ্গা ধনুকের সাধনায় আত্মহারা? নাকি তীর ভাঙ্গা তীর আছড়ে পড়ে যাতনার অমোঘ মোহনায়
ধবল-কৃষ্ণ রঙ এর ছলা-কলা , মেঘের ক্লান্তি-শ্রান্তির কথা বলা , নিরুদ্বেগে আকাশ পথে আকাশের পথে চলা
শান্ত-শূণ্য-পুণ্য-পাপে-ক্লান্ত-ভারাক্রান্ত, মেঘমালা আপন খেয়ালে আঁকে গমনপথ , অনাগত মেঘের বাসনায়
স্তব্ধ চরাচরে, জলকণার গোপন ঘরদোরে, খেলে রশ্মি , দস্যি সূর্য , না থাকে কিছু উহ্য , গুহ্য কোন বোধের প্রহরায়।
উর্দ্ধ কিংবা অধঃ নয়, নয় কেবলি কৌণিক আলাপন; বহমান অন্তরীক্ষে সময় প্লাবনে দোলে আর খোলে আগামীর সুবোধ অহমিকা
মাটির কোণে-কোণে জমে থাকা আকাশের কান্না , কোন অমোঘ সন্মোহনে উঠে আসে সার বেঁধে মেঘের বহরে আকাশ শহরে আদ্দিষ্ট পথ ধরে।
সাতরঙ্গা ধনুক, সে কি কেবলি ধনুক? নয় কি সংকেত? নিরন্তর গণিত প্রাকৃ্তিক? আরও অধিক সৃষ্টির দ্যোতনায়!
আপন খেয়ালী অনুমতি , না মানে যতি,ভেদরীতি, আঁকে আপন রং-এ উদয়-অস্ত, বেলাভূমি কেবল-ই মরীচিকা।
জ্যামিতিক কোণগুলি ফুটে ওঠে কোন একদিন, আদ্যন্ত স্বাধীন , সর্বজ্ঞের সুনিপুন-বিশ্লেষণে-নিগূঢ় নির্জনে, তবু অদ্ভূত আলোকে
পলক-প্রহেলিকা নয়, নয় পুরোনো অধ্যায় , কোন প্রাচীন গ্রন্থের সোঁদা গন্ধ মাখা তত্ত্বীয় জ্ঞানের জাদু-জাদু বয়ে চলা নদী
জ্যামিতিক কোণগুলি কেবলই সত্য নয় ,মুহুর্ত ক্ষেপনে আরও অধিক সত্য , রৈখিক নৃ্ত্য শেষে , চরাচর স্থানু হয়, যদিও গতিময় নিরবধি।
মিলনোন্মুখ আলো গোধূলিতে বিলীন হয় দৃষ্টি বরাবরে , চরাচরে রাখে গোপন চিন্হ , আর ফুটে ওঠে অমোঘ সূর্যালোকে।
প্রতিটি শ্রাবণের শেষ বর্ষা শেষে , ধবল আকাশ ওঠে হেসে , রংধনু নিয়ে চির বিষন্ন প্রকৃ্তির স্থির গতিময়তায়
অনাগত প্লাবনের আদেশ মুহুর্তান্তরে কেবল-ই ক্ষীণ অথবা প্রকট হয় , শান্ত-সুবোধ সাতরঙ্গা ধনুকের ইশারায়
প্রতিটি ধ্বংস সহজাত প্রেরণায় প্রস্তুত হয়, গঠণতন্ত্র অন্বেষণে , আর আমৃত্যু সূর্য শুধু দিন ও রাত রেখে যায়
শ্রাবণ আসে , ফিরে যায় ভূমিযন্ত্রের ভেতরে-বাহিরে গোপন কানাকানিতে, সুদূ্রের হাতছানিতে , আর সুবোধ অহমিকায়।