অপত্য[চতুর্থক কবিতা]
(কাহলীল জিবরান'র "দ্যা প্রফেট" পড়ে উৎসাহী হয়ে এই কবিতা লিখেছি, তাই কাহলীল জিবরান কে এই কবিতা উৎসর্গ করা হল)
তারা আগমন করে, আসতেই থাকে শিকড় বেয়ে বেয়ে,
তারা নামে , নামতেই থাকে , ওষ্ঠাধরের নিগূঢ় উত্তাপে,
তারা রেখে আসে পরিচয় , সুদৃঢ আসমানের সুউচ্চ বলয়ে,
তারা পরিচয় নিয়ে আসে তোমাদের মাধ্যমে,যদিও তারা তোমাদের নয়।
আগমনী ধ্বনী শুনি সর্বশক্তিমানের শক্তিময় নাম শুনে
আমরা শুনতে পাই , তাদের ও আমাদের রুহ্ ছিল সুউচ্চ মাকানে
আমরাও ছিলাম, একদিন; অতঃপর ধমনীতে আদেশ নামে
ভ্রমন কর! ভাল মন্দে , তবে পুণ্য নিয়ে এসো সর্বশক্তিমানের সমীপে।
ওষ্ঠ ও অধরের নিবিড় সম্মিলন , উত্তপ্ত হয়ে একসময় ভীষণ আবেগে শীতল হয়
উষ্ণ ও শীতল এর দৃঢ় বন্ধন; তাদের রুহ্-কে ধারণ করে চেতন কিংবা অচেতনে
তারা ধারা রক্ষা করে , জিন ও প্রকৃ্তির সাম্যব্যাবস্থার জন্যে বহমান সময়ের সাথে,
আমাদের মত তারা ও আসে , নিগূঢ় ভালবাসা নিয়ে দেহের প্রতিটি কোণে কোণে
প্রতিটি আকাশ ঊর্দ্ধাকাশের দিকে উচ্চতা ভিন্ন , নিচুতা খুঁজে পায় না,
তারা আদ্দিষ্ট হয়ে সুদৃঢ় আসমান ধারণ করে সৃষ্টির আদিতে
তিথিতে তিথিতে সমরে-শান্তিতে,সমস্ত বলয়সমূহের অধিকর্তার সমীপে
রুহ্গণ স্বীকার করে , তুমি ভিন্ন অধিকর্তা নাই , আদি কিংবা অন্তে।
পূর্ববর্তীগণ , কিংবা তারও অনেক আগের পূর্বসূ্রীদের ধমনীতে
পরিচিত হয় মাকানের সব রুহ্ , ভ্রমনে-বিশ্রামে , ক্ষণিকের ক্ষিপ্ত যাযাবর
স্বীকারে শিকার করে ফেলা যায় , যাবতীয় হিংসা ,ক্রোধ , পৃথিবীর দোষগুলি
অতঃপর রুহ সমাপ্ত করে এই দৃশ্যমান ধারাপাত , জমিনসমূহের বুকে তখন এক নতুন ধূলি ভরা খুলি।