সাপ দেখেছ সাপুড়ে! সাপের চুমু দেখনি
সাপুড়ে হলে! এখনো ওদের চুমুটা খাওয়া শেখনি?
শীত-শাপের কোপানলে, সুদিনের পথ কি আঁকাবাঁকা?
নাকি শাপ-শাপান্তে , মাটির খাঁজে সেই বিষটুকু হয় রাখা?
সাপুড়ের বীন অন্তবিহীন , বুঝি একা একাই বাজে,
তাই নাকি? হুম্ , খুব চিন্তা হয় আজকাল কাজে-অকাজে,
চুমুর কথায়ই ফিরে আসি বার বার,
যখন ওষ্ঠে নাচে তাদের কোমল শীৎকার।
চুমুর কথাটাও বহু বহু ভাগে বিভাজ্য,
বুঝি ভুমির গানে , সাপের নৃ্ত্য ভীষন অপরিহার্য,
বিন্দুর শোক জ়েনো , বিন্দুকে যায় ছুঁয়ে
নাকি সরল রেখাই সব বিন্দুর দুঃখকে দিল ধুয়ে?
বিন্দুকে নিয়ে এলো এ সাপুড়ে উৎসের কল্পনায়,
মাটির গর্ত প্রথম শর্ত , সাপ ও শাপ এর আল্পনায়,
শৈত্য-শাপের আনাগোনা , পথের কোনে কোনে ,
ভুমিটাই দংশিত হয় ,এখানে ওখানে।
মা-বিষহরি? নাকি ভুমিটাই সব বিষ টুকু নিল শুষে
দেহের ভাঁজে , খাঁজে খাঁজে , সেই যৌবন উঠে ফুঁসে
শাপের বাড়ি , সাপের ঘরে, আমৃত্যুকাল নাচে
খুলে গেলে ঝাঁপি , পাপে-পূণ্যে , হৃদয়ের উষ্ণ কোমল আঁচে।