নাচাই সমুদ্দুর অঙ্গুলি হেলনে , সাজাই বজ্রমালা
বাজাই রনডংকা জলে ও স্থলে , নৃত্যরতা ব্রজবালা
শুধাই সকাল-সন্ধ্যারে , ওরে! কার গলায় দিবি মালা?
সে হিম হুংকারে উঠি ফুঁসে , গড়ি পৃথিবীর পাঠশালা।
নাচো আমার সমুদ্র, বৃহৎ-ক্ষুদ্র আবেগের বাসনায়
কায় মনোবাক্যে শাক্যমুনির সে প্রেম চরমে মিলায়
আয় রে তরঙ্গ! নিঃসঙ্গ রাত্রি নিয়ে নিঃসীম অজানায়
যায় রে দিন যায়! দীন-হীন পদব্রজের কামনায়।
বাজে ঐ ঢেউ , আকাশের অনন্ত শ্লোক হয়ে অবিরত
সাজে আপন ছন্দে , মৃদু-মন্দে তবু হয় ক্ষত-বিক্ষত,
নাচে ব্রজবালা, সিঁথিতে অনন্ত রণ-প্রেম অনাগত,
বাজো রন-ডংকা ,বর্ণহীন এ জগতে জানাই সাগত।
কে কার ফুলেতে গাঁথে মালা, কে কারে করে সে নিমন্ত্রণ
নিরাকারের ধ্যানে , আকার থাকে জ্ঞানে শুন্যের মতন
বাজো হে রণ-ডংকা , কান্নার জলে আছে তাল অগনন
কে কার গলাতে পরায় সে মালা হায় অন্ধের মতন!
গড়ি পৃথিবীর পাঠশালা, সে বজ্রে ভূ-রঙ্গশালা কাঁপে
শুন্যে থাকি , আঁকি জলছবি, বিষম অজ্ঞানতার পাপে
মালা পায়ে দলে , ফের গাঁথি সে মালা , হৃদয়ের উত্তাপে
কান্নার জলে করি স্নান , সর্বসুখী হবার অভিশাপে।