somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মসজিদসমূহ কেনো বানানো হয়েছিল এবং সাহাবীরা তাতে কি করতেন ?(১ম পর্ব)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হুজুর সাঃ বলেছেনঃ " আমার সাহাবীগন নক্ষত্রতুল্য, তোমরা তাদের যারি অনুসরন করবে, হেদায়েত পাবে।"কাজেই হুজুর সাঃ এর উম্মত হিসেবে আমাদের সবারি উচিত জীবনের সমস্ত কর্মকান্ডে সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর আমল- আখলাকের অনুকরন অনুসরন করা। আর এজন্যই সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর জীবনি,আমল, আখলাক সম্পর্কে জানা। এজন্য সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর কিছু মসজিদভিত্তিক আমল পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাহআল্লাহ। কারন হুজুর সাঃ বলেন ,আল্লাহ তা'আলার নিকট সমস্ত স্থান হতে সর্বাধিক প্রিয় স্থান হল মসজিদসমুহ, আর সর্বাধিক অপ্রিয় স্থান হল বাজারসমূহ(মুসলিম)
══════════════
একদা রাসূল (সঃ) মসজিদে এলেন। তখন একদল সাহাবী চক্রাকারে বসে ছিলেন। রাসূল (সঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এখানে বসে আছ কেন ? তারা নিবেদন করল, আমরা বসে বসে আল্লাহর যিকির করছি এবং একথার উপর আল্লাহর প্রশংসা করছি যে, তিনি আমাদেরকে ইসলামের প্রতি পথ প্রদর্শন করেছেন এবং ইসলামের মত একটি মহাসম্পদ দিয়ে আমাদেরকে ধন্য করেছেন। রাসূল (সঃ) বলেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, তোমরা কি শুধু এজন্যই বসে আছ ? তারা নিবেদন করল, আল্লাহর কসম ! আমরা সুধু এজন্যই বসে আছি। রাসূল (সঃ) তখন বলেন, আমি কোন ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে তোমাদের্কে কসম দেইনি, বরং এখনি জিবরাঈল (আ) আমার কাছে এসে এ সংবাদ শুনিয়ে দিয়ে গেছেন যে, আল্লাহ তালা তোমাদের কারন্ণেই ফেরেসতাদের উপর গর্ব করছেন। এভাবে রিয়াযুস সালিহীনে (পৃঃ ৫১৬) আছে। এটাকে তিরমিযী ও নাসাঈ বরণনা করেছেন। যেমন জামউল ফাওয়ায়েদে (২খ পৃঃ ২৪৯) আছে।

আরেক হাদিসে আবু ওয়াকিদ হারিস ইবনে আওফ রাঃ সূত্রে বুখারী-মুসলিম বর্ণনা করেছে। তিনি (হারিস) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) মাসজিদে বসেছিলেন। লোকেরাও চক্রাকারে তার পাশে বসেছিলেন। এরি মধ্যে তিনজন লোক এল। তাদের মধ্যে থেকে দু'জন রাসূলুল্লাহ (সা) দিকে এল এবং তৃতীয়জন সেখান থেকে চলে গেল।প্রথম দু'জন রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে গিয়ে দাড়াল।তারপর একজন চক্রের (হালকার) মধ্যে খালি জায়গা পেয়ে সেখানে বসে পড়ল, আর অপরজন লোকদের পিছনে গিয়ে বসল।আর তৃতীয়জন সেখান থেকে একেবারেই চলেই গেল। যখন চক্রাকারে বসা সাহাবীদের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাজ শেষ হল, তখন তিনি বললেন, আমি কি ঐ তিন ব্যাক্তি সম্পর্কে তোমাদের কিছু বলবনা? তাদের একজন আল্লাহ তালার কাছে আপন জায়গা তৈরি করে নিয়েছে এবং আল্লাহ তা'আলাও তাকে(আপন রহমতের ছায়ায় )জায়গা প্রদান করেছেন। দ্বিতিয়জন লজ্জাবোধ করেছে, তাই আল্লাহ তালাও তার সাথে সে অনুযায়ী ব্যবহার করেছেন (অর্থাত শালীন ব্যবহার করতে গিয়ে তাকেও আপন রহমতের ছায়ায় প্রদান করেছেন)। আর তৃতিয়জন(আল্লাহ থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
এভাবে রিয়াযুস সালিহীনে (পৃঃ৫১৫)আছে। মালিক এবং তিরমিযীও এটা বর্ননা করেছেন, যেমন যামউল ফাওয়ায়েদে(১ খ পৃঃ২১)আছে।আবুল কু'মরা (রা) সূত্রে ইবনে মানদাহ বর্ণনা করেছেন। তিনি(আবুল কু'মরা) বলেন, আমরা একদা মাসজিদে চক্রাকারে বসে আপোসে হাদীস সম্পর্কে আলোচনা কর্ছিলাম। এরি মধ্যে রাসুল (সাঃ) আপন হুজরা থেকে বের হয়ে মসজিদে এলেন এবং চক্রাকারে বসা সবগুলো দলের প্রতি তাকালেন। তারপর যে দলটি কুরআন (শিক্ষা)নিয়ে বসেছিলেন তাদের সাথে বসে পড়লেন এবং বললেন ,আমাকে এই মজলিসে(বসার) হুকুম দেয়া হয়েছে। এভাবে আরও বর্ণনা করেছেন ইবনে আবদিল বার 'ইসতিআব্ গ্রন্থে(৪ খ পৃঃ১৬৪)এবং আবূ আমর দানী 'তাবাকাতুল কুররায়্ যেমন কানযে(১ খ পৃঃ২১৯) আছে
═══════════════
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×