মানুষ আজ দুনিয়ার ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে তার আসল উদ্দেশ্য ভুলে গেছে ।মানুষ দুনিয়ার পিছনে জীবন মরণ সাধনা করতেছে ।অথচ দুনিয়ার বাড়ি গাড়ি নারী কোন কিছুই সঙ্গে যাবেনা ।যাবে শুধু আমল ।তাই দুনিয়ার মিছেমোহ ছেড়ে আখেরাতের তৈয়ারি নাও ।মৃত্যুর আগে মৃত্যুর ছামানা জোগাড় কর ।আল্লাহতালা ইরশাদ করেন:
(১) যে ব্যক্তি আখেরাতের ফসল চায় আমি তাহার ফসল বৃদ্ধি করিয়া দেই আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার ফসল চায় আমি তাহাকে উহা হইতে কিছু অংশ দান করি; আর আখেরাতে তার কোন অংশ নাই।(সূরা শূরা,আয়াত:২০)
(২) যাহারা ক্ষণস্হায়ী দুনিয়া চায়,আমি দুনিয়াতেই তাহাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা এবং যতখানি ইচ্ছা দিয়া থাকি ।অতঃপর তাহার জন্য যে জাহান্নাম তৈরী রাখিয়াছি উহাতে সে পর্যুদস্ত ও অপদস্ত হইয়া প্রবেশ করিবে । আর যাহারা আখেরাত চায় এবং উহার জন্য ঈমান সহকারে যথার্থ চেষ্টাও করে তাহাদের চেষ্টার মর্যাদা রক্ষা করা হইবে ।(সুরা বনী ইসরাঈল,আয়াত:১৯) (৩) উহা দুনিয়াবি জীবনের ভোগ সামগ্রী মাত্র এবং একমাত্র নিকটই রহিয়াছে সুন্দর পরিণাম ।(সুরা আলি ইমরান,আয়াতঃ14)
(4) আপনি বলিয়া দিন, দুনিয়ার চিজ-আসবাব অতি তুচ্ছ ।আর যাহারা আল্লাহকে ভয় করে তাহাদের জন্য আখেরাতই উত্তম ।(সুরা নিসা আয়াতঃ৭৭)
(৫) তোমাদের মধ্যে কেহ দুনিয়া চায় আবার কেহ আখেরাত চায়. (সুরা আলি ইমরান আয়াতঃ১৫২)
(৬) দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং পরহেজগারদের জন্য আখেরাতই উত্তম ।(সুরা আনআম,আয়াতঃ৩২)
(7)যাহারা নিজেদের দ্বীনকে খেলা ও তামাসার বস্তু বানাইয়াছে তাহাদেরকে আপনি ত্যাগ করুন ।বস্তুত দুনিয়ার জীবন তাহাদেরকে ধোকায় ফেলিয়া রাখিয়াছে ।
(সুরা আনআম আয়াত৭০)
(8)তোমরা দুনিয়ার মাল মাত্তা চাও আর আল্লাহ তোমাদের পচন্দ করেন আখেরাত
(সুরা আনফাল আয়াত ৬৭০)
(9)তোমরা কি আখেরাতকে বাদ দিয়া দুনিয়ার জীবন লইয়া সন্তুষ্ট আছ ? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন অতি তুচ্ছ
(সুরা তওবা আয়াত৩৮)
(10)যাহারা দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দ কামনা করে আমি এখানেই তাহাদের আশা আকাঙ্ক্ষা পুরন করিয়া দেই এবং তাহাদের জন্য কিছুই কম করা হয়না ।আখেরাতে তাহাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই নাই ।আর এখানে তাহারা যাহা কিছু আমল করিয়াছে সবকিছুই ধুলিসাৎ হইয়া যাইবে।
(সুরা হূদ আয়াত১৫)
(11)তাহারা দুনিয়ার ধন সম্পদ লইয়া আনন্দে মাতিয়াছে; অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জিন্দেগী অতি তুচ্ছ
(সুরা রাদ আয়াত ২৬)
তাহাদের উপর আল্লাহ অভিশাপ এবং তাহাদের জন্য রহিয়াছে বিরাট আজাব ।কেননা তাহারা তাহারা আখেরাতের মোকাবেলায় দুনিয়াকে পছন্দ করিয়াছে ।
(সুরা নাহল আয়াত১০৬-১০৭)