আর কি গো হবে দেখা, এই বাংলার মুখ
যার সান্নিধ্যে কাটিয়েছিলাম, জীবনের সুখ-দুঃখ।
তোমার বক্ষে জন্মে মাগো, জীবন হলো ধন্য
কেমনে শোধিবো তোমারী ঋন, আমি যে বড়ই নগন্য।
ফুলে, ফলে, জলে বসুন্ধরা, তোমারী স্নেহের দান
মাঠে মাঠে হাসে সোনালী ফসল, গৃহিনীর হাসি অফুরান।
ভোরের আলোয় শিশির হাসে, ঘুঘু করে যায় গান
দখিন হাওয়ায় ভাসালো আমার, দেহ, মন আর প্রাণ।
কখনো বাদলে, কখনো শীতে, কখনো বা মধু মাসে
বারে বারে তুমি আসো যে ফিরে ভিন্ন রুপের আবেশে।
তপ্ত রোদে বটের মায়ায়, রাখাল বাজায় বাঁশি
ঢেউ খেলানো এই জলতরঙ্গ, আমি দেখতে ভালোবাসি।
ভূলিতে কি পারি? তোমারী সনে বাধা আছে মোর নাড়ী
শয়নে, স্বপনে সদা পাশে থেকো তুমি, যেওনাকো মোরে ছাড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬