জি পি এ ৫ না পেয়ে ইতমধ্যে ২ জন আত্মহত্যা করেছে ।কিছু অভিভাবক সন্তানদের মগজে " ভাল ফলাফল করতেই হবে" এমন তথ্যের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেন। অল্প বয়সে এই প্রত্যাশার চাপ অনেকেই নিতে পারে না।
৫ম শ্রেণীর বৃত্তি , তার পর ৮ম , SSC, HSC, Chance, আবার ভাল রেজাল্ট , চাকুরী, পদোন্নতি, সন্তানদের ভাল রেজাল্ট ......নাতি পুতির রেজাল্ট ...
প্রত্যাশার এক অসভ্য দুষ্টচক্রে বাধা পড়ে যাই আমরা ।
জীবনের যে কত চমৎকার রূপ আছে তা হারিয়ে যায় এই আরোপিত ইঁদুর দৌর এ ।
এইসব রেজাল্ট ছাড়াও জীবনে করার অনেক কিছুই আছে। অনেক আকাশ দেখার আছে, অনেক ঘাসে হাটার আছে , অনেক মানুষের চোখে চোখ রেখে উষ্ণতা বিনিময় করার আছে ।
অনেক অ...নে...ক কিছু বাকি আছে ।
নিকলাই অস্রভস্কি এর ভাষায় বলতে গেলেঃ জীবন মানুষ পায় একটি মাত্র বার , সুতরাং জীবনকে এমন ভাবে কাজে লাগানো উচিত যাতে মৃত্যুর পূর্বে বুকে হাত রেখে বলা যায়ঃ না আমি আমার জীবনে পৃথিবীর জন্য কিছু করতে পেরেছি , মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি ।
পৃথিবীর অনেক মহৎ মানুষই কলেজের গণ্ডী পার হতে পারে নি , কিন্তু তাদের নিয়ে ভুরি ভুরি পি এইচ ডি করা হয় । রবীন্দ্রনাথ , নজরুল তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
বিল গেটস যেসব পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন নি , সেই সব পরীক্ষায় ভাল করে তার বন্ধু তারই প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কাজ করেছেন একথা তো বিল গেটস এর নিজের জবানীতেই জানা যায় ।
তাই যারা ফেল করেছে বা কাঙ্ক্ষিত ফল পায় নি তাদের প্রথমে অভিন্দন্দন।অভিন্দন্দন বাকিদেরকেও ।
ফলাফলের ফলাফলে আর কোন আত্মহত্যা যেন না হয় ।