মানুষ তো অর্থহীন কথা বলতেই বেশি পছন্দ করে, কিংবা সে জানে না যে সে অর্থহীন কথা বলে যাচ্ছে, অথবা খুব সাধারন মানুষও খুব অর্থবহ কথা বলে বসে হঠাৎ।
এমন কথা যা ভাবায়,
এমন কথা যা রহস্য তৈরি করে,
এমন কথা যা কোন কিছু চিন্তা করতে বাধ্য করে,
এমন কথা যে মন উদাস করে দেয়,
এমন কথা যে মন ভালো ও করে দেয় কখনো কখনো ।
একবার এক সম্ভবত সিজোফ্রেনিয়ায় কিংবা ঐ ধরনের কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত রিকশাচালকের রিক্সায় চড়েছিলাম , সারা পথ সে কথা বলল একা একাই বলছিলেন। দেখা গেল শুকনা খটখটে রাস্তা দেখে বলছেন, হায় হায় কোমর সমান পানি!! রিক্সা নিয়া সাঁতার কাটতে হবে, আবার বলছিলেন, মানুষ তোমরা দুনিয়ায় এত আনন্দ করো! এত তোমাদের ব্যস্ততা! দুনিয়াটা তো একটা স্বপ্ন! খালি চক্ষু খোলা আর বন্ধ করার ব্যাপার! আল্লাহ এত বড় দুনিয়া বানিয়েছেন শুধু কয়েক মুহূর্ত দেখার জন্য, চিরকাল থাকবার জন্য নারে পাগলেরা। যদি ও সচেতনভাবে কথা বলছিলেন তা নয়, আনমনে; অজান্তে তবু অর্থবহ নয় কি?
যাই হোক আজকে একটা অদ্ভুত খবর পড়লাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে, সেখানে শিরোনাম ছিল কোন পেশার মানুষ বেশি পরিমাণে অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখিন হয়ে থাকেন, উত্তর ছিল নার্সিং পেশা , কারন এরা বেশি সংখ্যক মৃত্যু দেখেন এবং সে সময় নাকি অদ্ভুত সব ঘটনার সম্মুখীন হন যা বাস্তবে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না, তাই বলে তারা মানসিক রোগী নয়, জগত অনেক রহস্যময়, তাই কিছু রহস্যময় গল্প লেখার প্রচেষ্টায় আমার এই হ্যালুসিনেশন গল্পগ্রন্থ।
প্রকাশকঃ এক রঙা ঘুড়ি
প্রচ্ছদঃ নবী হোসেন
বই মেলা 2019
কৃতজ্ঞতা রইলো আমার বইয়ের প্রকাশক নীল সাধু দাদাকে, আর কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা মাই ভেরি কেয়ারিং ফ্যামিলি সামহোয়্যারইনব্লগের সকল সহ ব্লগারদের প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৮