somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ফটোগ্রাফি

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফটোগ্রাফি বিষয়টি ঠিক কবে আমার মাথায় এসেছিল মনে করতে পারছিনা, ছোট থাকতে দেখতাম বড় ভাই বোন ক্যামেরায় রিল ভরে যার যার নিজের ছবি তোলে, (তখন মোবাইল ক্যামেরা অথবা ডিজিটাল, ডি,এস,এল,আর ক্যামেরার যুগ বাংলাদেশে চলে এসেছিল, কিন্তু টেকনোলজি থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল তখনো এক বিশাল জনগোষ্ঠী, আমাদের পরিবার সেই বিশাল জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।) রীল ক্যামেরাটা ছিল দুবাই থেকে আমার বাবার পাঠানো, আমি খুব ছোট হওয়ায় ওটার একচেটিয়া ব্যাবহার শুধু বড় ভাইবোনদের।

তারা নিজেদের ছবি তোলার পরই মাঝে মাঝে করুনা হলে আমার দুই একটি ছবি তুলত কিন্তু আমার কাছে আমার নিজের ছবি তোলার চাইতে আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলতে খুব বেশি ইচ্ছে করতো, কিন্তু সে কথা বলার সাহস কি আর আমার ছিল! তাই ইচ্ছেটাকে কঠিন শাসনে দমন করে রাখতাম। তবু একদিন খুবি দুঃসাহসিক এক কাজ করে বসলাম আমি কিছু ঘাসের ছবি তুললাম, চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম বড় ভাইবোনেরা তখন নতুন এক জায়গা খুজে পেয়েছে ছবি তোলার। আমি কিছু না বলে চুপচাপ ক্যামেরাটা বড় ভাইয়ের হাতে দিয়ে দিলাম, কেউ কিচ্ছুটি টের পায়নি।

ভেতরে ভেতরে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে ছিলাম কবে ছবি প্রিন্ট করবে! কবে আমি আমার তোলা ছবিটা দেখব, তখন ঠিক জানতাম না যে এটাকে ফটোগ্রাফি বলে, সাংবাদিক ছাড়া সবাই নিজের ছবিই তোলে আমার অন্তত তাই ধারনা ছিল , আমার আশেপাশের জগতটা ছিল বেশ সংকীর্ণ! এখনও অনেকটা সেরকমই আছে। যাই হোক অধীর আগ্রহে আমি অপেক্ষা করছি আমার তোলা ঘাসের ছবিটি দেখার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ছবি প্রিন্ট করে আনার পর দেখলাম আমার তোলা ছবিটা নেই।তারা ছবির নেগেটিভ দেখে জ্বলে গেছে ভেবে আর ওটা প্রিন্টই করেনি। যাক তবু সান্ত্বনা ছিল তারা অন্তত বুঝতে তো পারেনি যে ওটা জ্বলে যাওয়া ছবি না, আমার তোলা ছবি। বুঝতে পারলে কি ঝড় তুফানই না যেত আমার উপর দিয়ে!!!

আমি প্রিন্ট দেখতে চাইলাম কিন্তু সবার ছোট বলে নিন্মতম মান মর্যাদা কিংবা অধিকারের কিংবা ভাললাগা মন্দ লাগার বালাই ছিল না সেসময়(এখনও নেই) আমার ফটোগ্রাফি বিষয়ে আসি। তারপর আমার আর সেই ছবি কোনদিনও দেখা হলনা, এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর আমার কোন এক স্কুল প্রোগ্রামের জন্য আমি ক্যামেরার বায়না ধরি বড় ভাইয়ের কাছে, বান্ধবীদের সাথে ছবি তুলবো, ভাই এর দয়া হল সে আমাকে ক্যামেরায় রীল ভরে দিল অনুষ্ঠানে নেয়ার জন্য। আগেই বলেছি সে সময় মানুষ মোবাইল Use করা শুরু করেছে কিন্তু আমি মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলা দূরে থাক হাতের নাগালেই পাইনি, আমায় মাথায় তখন কাজ করতো ডি,এস,এল, আর ক্যামেরা। যা আমার বাবাকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পর ও কিনে দেয়নি, এটা আমার বেলায় হত, আমার কোন আবদারই বাসায় Granted হত না।

যাই হোক, সেদিন আমি পুরনো দিনের রিল ক্যামেরা নিয়ে গেলাম স্কুলে, অনেক ছবি তুললাম বান্ধবীদের সাথে উত্তরা ৭ নাম্বার পার্কে। (উত্তরা ৭ নাম্বার পার্ক আমার জীবনে নস্টালজিক জায়গা)তখন হঠাৎ দেখি কি ঘাসের উপর একটা প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে, জীবনের সেকেন্ড ফটোগ্রাফি ছিল ওটা, এবং এবার ছবি প্রিন্ট ও করা হল, ছবিগুলো প্রিন্ট করার পর সব এক সাথে নিয়ে গেছি বান্ধবীদের দেখাতে, সেখানে ঘাসের উপর প্রজাপতির উড়ে যাওয়া দৃশ্য দেখে খুব মুগ্ধ হয়ে এক বান্ধবী বলল বাহ! আমি ওর বাহ!তে যার পর নাই খুশি হয়ে গেলাম , শুধু যে খুশি হলাম তাইই না, ছবিটি সুন্দর একটা খামে ভোরে ওকে উপহার দিয়ে দিলাম। সেই ছিল আমার প্রমান বিহীন ফটোগ্রাফির শুরু।


Bubble



পথোসঙ্গী



উচ্ছাস




শুভ ভোর



ভীষণ একাকিত্তে



কাকেরা



আমাদের রাজপথ



বন্য


ইতিহাস কথা (পানাম সিটি)



ভীষণ একলা


ফুলের স্নিগ্ধতা


চড়ুই



সূর্য ডোবার ক্ষণে


মেঘ ভর্তি আকাশ।


বাবুটা.......


নিরিবিলি ভালোবাসা


কুয়াশা দিগন্ত


দিগন্ত জুড়ে আলো


বুনো ফুল ।


নদী ও নৌকা


Device Nikon D5100
Thanks For watiching
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×