somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পথে ঘাটে পর্ব (১৫)

২৬ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত ৯ টা। ক্লাস শেষ করে বের হয়ে ক্যাম্পাস থেকে একটু অদূরে দাঁড়িয়ে আছি, রিক্সার জন্য, এই গলিতে কখনোই সঙ্গে সঙ্গে রিকশা পাওয়া যায় না। ঠিক ওই মুহূর্তে মনে কি চলছিল কি ভাবছিলাম না ভাবছিলাম মনে করতে পারবোনা এক অতি সুদর্শন যুবক ইতি ইতি বলে রাস্তার অপজিট সাইট থেকে চিৎকার করে ডাক দিলো। আমি তার দিকেই চেয়ে আছি তার দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসা দেখছি, এমন করে খুব কাছের কেউ আমার দিকে দৌড়ে এলে বেশ ভালো লাগতো, কিন্তু সে আমার কেউ না তাকে আমি সত্যিকার অর্থেই চিনি না।

সে লম্বা, সে ফর্শা, নাক উঁচু স্লিম এবং সুদর্শন যুবক। বেশির ভাগ মেয়েরাই এর প্রেমে হাবুডুবু খাবে অথবা খাচ্ছে, ব্যাপারটা হয়ত যুবকের নিজেরও অজানা নয়।
কাছে এসে বলল কেমন আছো!? (কেমন আছো!!!! আল্লাহ সে আমাকে তুমি করে বলছে কেন!!??) বললাম ভালো। তার নেক্সট কথা তোমার মোবাইল নাম্বার দাও, আমার কাছে যে নাম্বার আছে ওটার কল তুমি রিসিভ করোনা। (উনি জানেনা আমি প্রায় কোন কলই রিসিভ করিনা, প্রয়োজন হলে কল ব্যাক করি)
আমি মিথ্যা বললাম আজই একটা নাম্বার নিয়েছি কিন্তু মনে নেই, সিম টা মোবাইলে অ্যাটাচ করে কাগজ ছিরে ফেলে দিয়েছি।
ছেলেটি দুঃখিত হয়ে বলল তুমি বোধহয় আমাকে চেন নাই আমি ডি,ইউ তে ছিলাম।
বললাম ও আচ্ছা।
একদিন ডি,ইউ’র ভিসির বাড়িতে তোমাদের কি একটা সুট চলছিল আমি ওখানে ছিলাম।
আমি মনে করতে পারলাম না। আবারো ও আচ্ছা বললাম।
আমি আমার নাম্বার দেই তুমি প্লিজ আমাকে কল কর তোমার সাথে খুব জরুরি কথা আছে।
আমি বললাম আমার মোবাইলে চার্জ নেই, মোবাইল বন্ধ নাম্বার সেফ করব কিভাবে!! সে বলল তুমি দাঁড়াও আমি ওই দোকান থেকে তোমাকে নাম্বার লিখে এনে দেই আমার কাছে কাগজ কলম কিছু নেই, আমি ঠিকাছে বলে দাঁড়িয়ে রইলাম। সে অপরিচিত এটা ঠিক কিন্তু ঠিক ঠাক কিছু তথ্য আমার সম্পর্কে বলেছে now I just want to see what’s going on there lol.
আমি এর মধ্যে রিকশা পেয়ে তাতে উঠে পরেছি, সে দৌড়াতে দৌড়াতে একটি কাগজ হাতে নিয়ে ছুটে এলো তাতে তার নাম আর মোবাইল নাম্বার লেখা। হাঁপাতে হাঁপাতে একটা কথাই বার বার বলছিল প্লিজ কল মি প্লিজ প্লিজ (আমাদের সমাজে মেয়েরা কেন জানি খুব সহজলভ্য আজকাল এটা মে বি ফেইসবুকের কল্যাণে)।
বাসায় ফিরে তার নাম লিখে সার্চ দিলাম, প্রথম সার্চেই তাকে পাওয়া গেলো দেখলাম সে মিউজিক ভিডিও মেকিং কাজ করে, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ও জব করে। তারপর ফোন করলাম সাথে সাথেই রিসিভ করলো। বলল শোন মেয়ে আমি কোন ভান ভনিতায় গেলাম না সরাসরি বলি আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।
আমি বললাম তুমি মিউজিক ভিডিও বানাও?
কই দেখছ?
তোমার এফবিতে সব তো পাবলিকে দেয়া তাই দেখতে প্রব্লেম হয়নি। একেক ভিডিওতে একেক মেয়ে এন্ড ভেরি ক্লোজ । (ছেলে চুপ)
একটাতে দেখলাম তোমার মিউজিক ভিডিও মেকিং ছবি, এত বাজে ক্যামেরা দিয়ে ও কাজ করা যায়?
বাজে ক্যামেরা বলতে তুমি কি বোঝাতে চাইছ? আমার ক্যামেরার দাম কত তুমি জানো? আমি একেকটা মিউজিক ভিডিও তে কত টাকা খরচ করি একটা এডিটিং এর পেছনে তুমি জানো? এবং আমাদের এখানে যে আর্টিস্টরা কাজ করে তারা কত মেধাবী তুমি চিন্তা ও করতে পারবেনা।
আমি বললাম আর্টিস্ট বলতে তো তোমাকেই দেখেছি , একটা মিউজিক ভিডিও তে দেখলাম তুমি নিজেই নায়ক আবার নিজেই ভিলেন। and it was really very bad work my dear with a old model camera .
এই পর্যায়ে ছেলেটি রাগে হতবিহব্বল হয়ে গেলো হ জ ব র ল করে কি কি বলল কিছুই বোঝা গেলনা।
এর পর অনেক দিন পর তার আর একবার ফোন এসেছিলো, সম্ভবত তার মিউজিক ভিডিও তৈরিতে হেল্প চেয়ে। আমি তাও মানা করে দিলাম। এবং সে কোনদিন আর আমায় ফোন করেনি। অভিমানী প্রেমিক।

বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮



ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে।যারা এখনো শুনেন নাই তাদের জন্য লিংক দিয়ে দিচ্ছি শুনেন ,কসম খোদার বেপক বিনোদন পাবেন।আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় অফিসে টোকাইরা হাগু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×