ব্লগটা শুরু করছি এক কানার কানাপনা নিয়ে।
এই কানার নাম দৈনিক প্রথম আলো।
যার কাজ দৈনিক প্যাহ্লা সুবাতে ভারত মাতাকি রোশনি এ বংগভূমিতে ছড়ানো।
সে কারনেই তার নাম প্যাহ্লা রোশনি।
যাই হোক , এই কানার কি কানাপনা নিয়ে কান মুচড়ালাম ?
মূল ঘটনাটার বিষয়বস্তু জামাতের রেজিস্ট্রেশন।
আবার বলছি জামাতের রেজিস্ট্রেশন।
দৈনিক কানা আলো'র ছবিটা দেখুন যেটা তারা আগস্টের ২ তারিখে ছাপিয়েছে।
সী সাম থিং মিসিং ?
যদি না ধরতে পারেন তবে আমি ধরিয়ে দিচ্ছি।
যেই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এতবড় শিরোনাম করলো তারা সেই রেজিস্ট্রেশনের এতবড় একটা তথ্য গায়েব করে দিলো।
কিভাবে ?
তাদের তথ্যের ক্রম দেখুন।
১৯৫৯ এ হ্যান হয়েছে , ১৯৬৪ তে ত্যান হয়েছে - ফাইন।
১৯৭২ এ শেখ মুজিব শাসনামলে জামাত রেজিস্ট্রেশন বাতিল সহ নিষিদ্ধ হয়েছে।
১৯৭৯ এ জিয়ার শাসনামলে জামাত প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ পায়।
২০১৩ সালে আবার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হল দলটির।
প্রশ্ন হল - জিয়ার আমলে জামাত সাইনবোর্ড - প্যাড নিয়ে রাজনীতি শুরু করে , কিন্তু ইলেকশন কমিশনে রেজিস্ট্রেশন পায়নি।
বারংবার আবেদন করেও পায়নি , ঠিক যেমনভাবে গোলাম আযম পায়নি নাগরিকত্ব।
তাহলে শেখ মুজিব শাসনামলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশে পুনর্বার জামাত ইলেকশন কমিশনে রেজিস্ট্রেশন পায় কবে ?
দিস ভাইটাল ইনফরমেশন ইজ মিসিং , থরোলী মিসিং !
ভাবছেন অনিচ্ছাকৃত ?
উহু , সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত।
কারন এরা ভারতের স্বার্থের মিডিয়া ভ্যানগার্ড।
আর অন্যদিকে ভারতের পলিটিকাল এজেন্সী বাংলাদেশ আওয়ামী ভারত লীগ যেটা গত ৪ বছরে পাছা উদোম করা ফরেন পলিসিতে ধরা পড়েছে।
এর সর্বশেষ সংযোজন নিজের দেশের পোলাপানকে ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চা বানিয়ে নেটের ব্যান্ডউইথের দুধ না দিয়ে ৫০ গিগা ব্যান্ডউইথ ইন্ডিয়ায় রপ্তানি করা।
এর আগের গুলো বলতে গেলে শেষ হবেনা।
এখানে দেখুনঃ পরীক্ষা দিতে আসুন , মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন : প্রশ্ন - ভারত জুজু এবং পাকিস্তান জুজু - কোনটি আসলে বাস্তবে আছে ?
সে কারনে আওয়ামী লীগকে সার্ভ করে ট্রান্সডিউসিং ম্যানারে ভারতকে সার্ভ করে এরা।
এ কারনেই আওয়ামী লীগকে আড়াল করতে হবে , কাদার ছিটা থেকে আওয়ামী ইউনিফর্মের সাদা পাজামা সাফ রাখতে হবে।
কথাটা এ কারনে বললাম - যেই জামাতের ইলেকশন কমিশনে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ঘটনায় এই ইয়ার-লাইন গুলো বলা হল , সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইয়ার-লাইন হ্লঃ
১৯৮৬ তে পুনরায় এরশাদ শাসনামলে জামাত নির্বাচন কমিশনে রেজিস্ট্রেশন লাভ করে , এবং লালদীঘির ময়দানের স্বউক্তি সিদ্ধ জাতীয় বেঈমান শেখ হাসিনা তার আওয়ামী লীগকে নিয়ে সেই ১৯৮৬' র নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।
সেই ১৯৮৬'র জাতীয় বেঈমানির ইলেকশনে জামাত জাতীয় সংসদে ১০ টি আসন পায়
ছবিঃ ২২ মার্চ / ১৯৮৬ , রয়টার্স , এরশাদ -হাসিনার গোপন আলাপ
দৈনিক কানা আলো'র ছবিতে এই ইয়ার-লাইনটা বাদ দেয়া হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ - জাতীয় পার্টি মহাজোটকে সেইভ করার জন্য।
কারন জামাত স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচন করার জন্য পুনরায় যেই রেজিস্ট্রেশন পায় - সেই ১৯৮৬ নির্বাচনী নাটকের মূল খল নায়ক এরশাদ আর খল নায়িকা শেখ হাসিনা এখন ভাই - বোন।
সমঝ গায়া ?
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে।
এই মামলার বাদী ছিলো - তরিকত ফেডারেশন এর সাবেক মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাদপুরী সহ আরো ২৫ জন।
মামলাটি দায়ের হয় - ২০০৯ এ।
এই মামলার রায়ে ৩ জন বিচারকের [ জাস্টিস এম মোয়জ্জেম হোসেন , জাস্টিস এম ইনায়েতুর রহিম, জাস্টিস কাজী রেজাউল হক] সংখ্যা গরিষ্ঠ রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয় যেটি এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করা হয়েছে , কিন্তু রায়ের গ্রাউন্ড / ভিত্তি এখনো জানানো হয়নি।
মামলার আরজিতে আরপিও'র ৯০ [বি] ১ [বি] ২ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে জামাতের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য রিট করা হয়।
সেই আরপিও প্যারাগ্রাফ অনুযায়ী -
[১]
বিদেশী কোন দলের এদেশী শাখা হিসাবে কোন দল রেজিস্ট্রেশন পাবেনা।
আমার মেমোরী যদি ভুল না করে ২০০৮ ইলেকশনের আগে ঠিক এই গ্রাউন্ডে প্রফেসর মুন্তাসির মামুন ইলেকশন কমিশনে গিয়েছিলেন জামাতের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করানোর আবেদন নিয়ে, এবং সেটা মিডিয়াকে বলেছেন মুভি ক্যামেরার সামনে।
আরটিভি'র আর্কাইভে পাওয়া যাওয়ার কথা।
সেটা সম্ভবত এই রায়ের ভিত্তি না।
কারন সেই শাখা বিষয়ক আর্গুমেন্টের পর " জামায়াতে ইসলামী , বাংলাদেশ " থেকে নাম পরিবর্তিত হয়ে "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী" হয়ে গেছে জামাত।
[২]
নাম , পতাকা , চিহ্ন সংক্রান্ত কিছু যদি রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়।
দাড়িপাল্লা নিয়ে ১৯৭১'র কারনে অনেকের অসহ্যতা থাকতে পারে আবেগিক দিক থেকে , তবে ইম্প্যাসিভ জাজমেন্ট - এখানে ক্ষতিকর কিছু নাই।
অবশ্য যারা দাড়িপাল্লা প্রতিক বিরোধী তারা আমাকে তাদের দলে পাবেন।
কিভাবে সেটা পরে বলছি।
আর জামাতের দলীয় পতাকা ভালোভাবে কখনো খেয়াল করিনি।
তবে আমার মনে হয় না - এসব পতাকা - ফতাকা এখানে কোন ইস্যূ।
সো জামাত পাসড ইট।
[৩]
কোন দলের গঠনতন্ত্রে / পরিচালনা পদ্ধতিতে রেসিয়াল ডিস্ক্রিমিনেশন [লিংগ / ধর্ম / নৃতত্ত্ব / সংস্কৃতি] থাকতে পারবে না।
আমি এই আরপিও ক্লজটার সাথে একমত নই।
এটা সংবিধানের ক্লজ হতে পারে।
কোন দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাকে কম্পালসরি এই ক্লজ ফলো করতে হবে।
কিন্তু ঐ দলের গঠনতন্ত্রে কিংবা পরিচালনা পদ্ধতিতে এই ক্লজ কম্পালসরি মানতেই হবে - এটা আমি একমত নই।
আমাকে এখনি রেসিস্ট ভেবে বসার কারন নেই।
কেন একমত নই সেটা পরে বলছি।
তবে এটা এই মামলার রায়ের একটা সম্ভাব্য গ্রাউন্ড হতে পারে।
[৪]
দলের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধান পরিপন্থি হয়।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানে ফোর পিলার হিসাবে ১৯৭২'র মুজিববাদকে প্লাগ-ইন করেছে যেটাকে আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' বলে।
মূল কুস্তা-কুস্তি / বলী খেলাটা আসলে সেক্যুলারিসম বা ধর্ম নিরপেক্ষতা শব্দটায়।
বাকী ৩ টা ৫ মিনিটের তর্কে নক ডাউন করা যায়।
এই সেক্যুলারিসমের সাথে জামায়াতের দলীয় গঠনতন্ত্রের কনফ্লিক্ট হওয়ার কথা। তবে তারা সম্ভবত এই সরকারের আমলে ২০১০ এ শামসুল হুদার কমিশনে সংশোধিত দলীয় সংবিধান জমা দিয়েছিলো যেখানে রয়ে সয়ে এখনকার জাতীয় সংবিধানের সাথে 'কোন মতে চলে যায়' একটা ভার্সন জমা দিয়েছিলো।
সুতরাং - এই ক্লজটা একটা কারন হতে পারে , তবে ৫০ - ৫০।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন ১০০ % এটাই কারন।
আমি আসলে ২০১০ এ সেই সংশোধিত জামাতের দলীয় গঠনতন্ত্র পড়ি নাই।
তবে পত্রিকায় যতদুর পড়েছি তাতে মনে হয়েছে জনগনের রায়ের ভিত্তিতে আল্লাহর উপর আস্থা স্থাপন করে সততা এবং ন্যায় ভিত্তিক শাসন কার্য পরিচালনা টাইপ কিছু একটা তারা লিখসিলো।
এটার রাফনেস কম , ফাইন নেস খারাপ না।
সুতরাং এটা যদি রায়ের কারন হয়ে থাকে তবে আপিল বিভাগে জামাত জেতার সম্ভাবনা বেশী।
কিন্তু ওদিকে মুখপটু ব্যারিস্টার তানিয়া আমির মোটামুটি বলেই দিয়েছেন - এটাই কারন।
কত পাগল ছাগল যে বাপের নাম বেঁচে এখন ব্যারিস্টার হয় !
রংগ ভরা বংগ দেশ !
এবার আসি - আমার অবস্থান কোথায় সে বিষয়ে।
আমি নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে।
কিন্তু উপরের ৪ টা কারনের জন্য নয়।
ঠিক কারনেই আমার অবস্থান ভিন্ন।
সেটা ২ ভাগে বলি।
[১]
১৯৭১ এ বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থানের কারনে আমি নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে।
সেক্ষেত্রে আপিল ফাপিলে কাজ হবেনা।
ঠিক একই কারনে ১৯৭০'র নির্বাচনে জামাতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিলের পক্ষে আমি যেটা বলেছিলাম দাড়িপাল্লা প্রতীক প্রসঙ্গে।
[আমি ধরে নিয়েছি ৭০'র নির্বাচনে জামাতের প্রতীক ছিলো দাড়িপাল্লা]
ঠিক একই কারনে জামায়াতে ইসলামী নামটা ইরেজ করার পক্ষে।
[সেভেন্টি ওয়ানে এই শব্দটার ভুমিকা ছিলো 'বাংলাদেশ' শব্দটার বিরোধী]
এই প্রতীক আর শব্দটা বাতিলের পক্ষে আমি।
ইন অ্যানি ম্যানার।
জামাত নিজে থেকে করে ফেললে আরো ভালো হত।
নিজে থেকে না করলে কোর্ট-কাচারির রাউট দিয়ে হয়ে গেলেও আমি খুশী।
তাহলে জিজ্ঞেস করতে পারেন - আপনার অবস্থানটা আসলে কি ?
জামাতের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পক্ষে না নিষিদ্ধের পক্ষে ?
আমার অবস্থান সেভেন্টি ওয়ানে 'বাংলাদেশ' শব্দটার বিরোধী কোন প্রতীক বা শব্দ নালিফিকেশনে।
[২]
আমি বলেছিলাম যে রেসিয়াল ডিস্ক্রিমিনেশন দলগত পর্যায়ে আমি অ্যালাও করি।
কেন করি ?
কারন দুনিয়ার কোথাও ইউটোপিয়া নাই।
আর নন-ইঊটোপিয়ান দুনিয়ায় রাজনীতি হল - ক্লাবিং অফ স্টেক হোল্ডার।
এই স্টেক হোল্ডার অনেক কিছুর ভিত্তিতে হতে পারে।
ধরে নিলাম - বাংলাদেশ তাতি সমাজ - এটা একটা নিবন্ধিত দল।
ধরে নেয়া যাক মোট তাতি ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ।
তারা বলল- আমাদেরকে জোটে নিয়ে আমাদের ভোট পেতে চাইলে এই শর্ত মানতে হবে।
আই ডূ ওয়েল্কাম।
বাংলাদেশ চাকমা ইউনিটি ।
তাদের হাতে ৫ লাখ ভোট আছে।
তারা একই ভাবে বলল বিএনপি - কিংবা আওয়ামী লীগকে আমাদেরকে জোটে নিয়ে ভোটের শেয়ার বাড়াতে হলে আমাদেরকে এই সুবিধা দিতে হবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর।
আই ডু ওয়েলকাম।
আবার ধরুন - বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য।
তাদের হাতে ৪৫ লাখ ভোট আছে।
তারা বলল আমাদের এই ৪৫ লাখ ভোট পেতে হলে , আমাদের শেয়ার পেতে হলে এই এই সুবিধা দিতে হবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর।
আই ডু ওয়েলকাম।
প্রথম টা পেশা ভিত্তিক , দ্বিতীয়টা নৃতত্ত্ব ভিত্তিক , তৃতীয়টা ধর্ম ভিত্তিক।
লেট ইট বি এ গেম ফর অল।
৩ টা দলকেই নিবন্ধন দিতে হবে - আমার মতে।
যার যার স্বার্থ আদায়ের জন্য তার তার রাজনৈতিক এন্টীটিকে আমি ১০০ % স্বীকৃতি জানাই।
তাতি - চাকমা - হিন্দু ভাই ভাই , এক লগে মুড়ি খাই, এত খাতিলের কাম নাই।
সুতরাং দলগত পর্যায়ে কোন ডিস্ক্রিমিনেশন থাকতে পারবেনা - এটা ফালতু নিয়ম।
আল্টিমেটলী - পলিটিক্স ইজ ক্লাবিং অফ স্টেক হোল্ডার।
সব স্টেক হোল্ডারকে এখানে থাকতে দিতে হবে।
এখন আসি এই ব্লগটার শিরোনাম প্রসঙ্গে।
[১]
বিলিয়ার্ডের বল পকেটে পড়বেনা - এর মানে কি ?
এর মানে জামাত যদি জাতীয় রাজনীতিতে থাকতে চায় থাকতে পারবে।
রেজিস্ট্রেশন বাতিল , নিষিদ্ধ - গরম সিদ্ধ যাই করা হোক - তারা জাতীয় রাজনীতিতে থাকতে পারবে।
রেজিস্ট্রশন বাতিল হলে আবার পাবে রেজিস্ট্রেশন - ড্যাম শিওর।
নিষিদ্ধ হলে আবার সিদ্ধ হবে - ড্যাম শিওর।
'কিভাবে' সেটা জানতে চাইলে এই ব্লগটা পড়ুন - এভাবে
সেই ব্লগ থেকে এই কথাগুলো রিপিট করলাম।
শেখ মুজিব নিজের হাতে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগ শব্দটিকে বাকশালের বর্শা দিয়ে নিহত করেছেন......
শেখ মুজিব নিজেও নিহত হয়েছেন......
তাতে কি বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের মৃত্যু ঘটেছে ?
না , ঘটেনি................
কেন ঘটেনি ?
কারন বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের ভোটারদের মৃত্যু ঘটেনি...........
একটা দলের ভোটারদের মৃত্যু যতক্ষন না ঘটে ততক্ষন দলটিরও মৃত্যু ঘটেনা......
শেখ হাসিনা নিজেও জানেন ৭০'র নির্বাচনেও আওয়ামি লীগ ১০ % ভোট মিস করেছে......
এই ভোট গুলো কাদের ?
জামাতপন্থিদের......
মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগেও যেমন তাদের ৭-৮% ভোট ছিল মুক্তিযুদ্ধের ঠিক অব্যবহিত পরেও ঠিক একই ভোট তাদের ছিল......
মুক্তিযুদ্ধের পরে জামাত মরে যায়নি , কারন তাদের ভোটাররা মরে যায়নি.........
ঠিক যেমনি ভাবে শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ মরে যায়নি , কারন তাদের ভোটাররা মরে যায়নি.......
জামাতের ভোটাররা যতদিন থাকবে ততদিন জামাতও থাকবে...........
শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই জানেন এসব...
জামাতকে নিষিদ্ধ করে দিলে তারা নতুন মার্কা , নতুন নাম নিয়ে আসবে......
ঠিক তুরস্কের একে পার্টির মত...........
কোন কিছুই হের ফের হবেনা...........
মাঝখান দিয়ে হাসিনার রাজনীতির স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ স্টান্টবাজিটা মার খাবে......
সুতরাং আমার অবস্থানটা হল - আওয়ামী হাংগামা হুজ্জত লুটপাট খুনাখুনি লীগকে আমি তীব্র ঘৃণা করলেও আমি নিষিদ্ধ করতে চাইনা।
কারন করে লাভ হবে না।
তাদের ভোট ব্যাংককে নিষিদ্ধ করা যাবেনা।
একই কারনে জামাত নিষিদ্ধ করা না করা নিয়েও আমার কোন গায়ে মাখার কিছু নাই।
কিন্তু জামায়াতে ইসলামী শব্দগুলো মুছে গেলে , দাড়িপাল্লার মত প্রতীক বাদ হয়ে গেলে হাসিনার রাজনীতির স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ স্টান্টবাজিটা মার খাবে।
দেয়ার ইজ মাই ফোকাস - সৎ ভাবে স্বীকার করলাম।
তবে জামাত যদি না থাকে জাতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে লাভবান হবে বিএনপি।
কারনটা আবার ঐ ব্লগ থেকে দেই -
বাংলাদেশের প্রো রাইট ভোট তখন একচেটিয়া বিএনপি উপভোগ করবে.........
ঠিক যেমনি ভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ তে ১০০ % প্রো লেফট ভোট এর কেক আওয়ামি লীগ একাই গেলে...
আর আম্বিয়া , ইনু , খালেকুজ্জামানদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়.........
জামাতকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে প্রো রাইট ভোট ব্যাংকের কিছুটা জামাতের কাছে থাকবে......
ডিভাইড অ্যান্ড রুল থিওরির এত মজা হাসিনা মিস করতে চান না !
তারা মুছে যেতে চাইলে নিজ ইচ্ছায় সেটাও পারবে।
তবে আমার মনে হয়না তারা মুছে যেতে চাইবে।
কারন জামাত - আওয়ামী লীগের মত দল গুলোর পলিটিকাল পোলারাইজেশনে পার্থক্য থাকতে পারে, বৈপরীত্য থাকতে পারে।
কিন্তু এদের কাছে রাজনীতি ২য় ধর্ম।
তবে আওয়ামী লীগারদের কাছে রাজনীতি-ই ১ম ধর্ম বলে আমার পর্যবেক্ষণ।
সুতরাং যে জামাত করে সে জামাত ছেড়ে দেয়াটা ব্লাসফেমী বলে গন্য করে।
একই অবস্থা আওয়ামী লীগে।
সুতরাং সে দলের গতিবিধি দেখবে , নতুন নাম - মার্কার জন্য অপেক্ষা করবে।
তবে সেই একি নবী মওদুদিকেই মানবে।
যেমন আওয়ামী লীগাররা শেখ মুজিবকে মানে।
একি পীর গোলাম আযম কেই মানবে।
যেমন আওয়ামী লীগাররা শেখ হাসিনাকে মানে।
সো , বল পকেটে পড়বেনা।
[২]
তাহলে অন্য কোন বলকে ডিসলোকেট করবে ?
মুলত অন্য বলকে ডিসলোকেট করার জন্যই মাহবুব-শফিক জোড় স্ট্রিট পলিটিক্সের বিলিয়ার্ডের বোর্ডে এই 'জামাতের রেজিস্ট্রেশন' বলটাতে টোকা দিয়েছেন।
উদ্দেশ্য এই বল পকেটে না গেলেও অন্য বলকে ডিসলোকেট করা।
সেটা কেমন ?
সাইদীর মামলার রায় নিয়ে ক্যালেন্ডারে একটা রেড ব্লক ছিলো।
জুনের লাস্ট উইক থেকে জুলাই এর ফার্স্ট উইক।
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম নিয়মে মামলার আপিলের রায় বিষয়ক ৩ মাসের স্টিপুলেশন বাতিল হয়ে গেসে।
এই রেড ব্লকটা পেছানোর জন্য।
এই সাইদীর মামলা নামক বলে এখন আর টোকা দিতে চান না শেখ হাসিনা।
এই মামলার রায়টাই মূল ঝামেলা।
যেটা আমি আগেও বলেছি।
জামাতের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলেও এই রায় এবং এক্সিকিঊশন একটা 'প্যান্ডোরার বাক্স'।
ইট রিমেইনস সেম স্টিল।
সুতরাং এই রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যেই ভয় পাচ্ছে পাওয়ার পলিটিক্সে রাজপথে জামাত শিবিরের হাতে মার খাওয়ার - সেই ভয় থেকে 'জামাত রেজিস্ট্রেশন' বলে টোকা দিয়েছে।
তারা জানে ক্ষমতা আবার পেতে চাইলে স্কিল পলিটিক্সের কোন সুযোগ-ই তাদের নাই।
কেলেংকারি - লুটপাট - খুনাখুনী আর ভারতের গোলামি করে তাদের রাজনৈতিক বসন বলতে কিছুই নাই।
৫ সিটি কর্পের ইলেকশন রেসাল্ট অনেকটা পাতিলের ৫ টা ভাতের মত।
জয় মিয়া এখন টিয়া পাখি বাবা পদ্ধতিতে র'র চিঠিপড়া শোনাচ্ছেন দলের লোকজনকে - আমাদের লীগের পাতিলে ভাত পচে নাই - আমার কাছে তথ্য আছে !
লাভ নাই , পাগলামি একদিন - দুইদিন - তিনদিন মানবে মানুষ , ছ্যাচার দিন ঐ পাড়ের বাপরা আসবেনা বাঁচাতে।
তারা যদি দেশ চালাতে পারতো - সেটা অনেক আগেই পারতো।
দেশের গায়ে জর তুলে দিয়েছে ১০০ + ফারেনহাইট।
হয় এই জরে দেশ মরবে , নয়তো জরের ভাইরাস মরবে।
জর ভালো মত যাওয়া মানে আওয়ামী লীগ ভালো মত যাওয়া।
সো পাওয়ার পলিটিক্সের জর বাধিয়ে দেশের রাজপথের অবস্থা গরম করে দেশকে মেরে নিজেরা বেঁচে থাকতে চাইবে আওয়ামী লীগ নামের এই মীর জাফর বদমায়েশের ডাকাত দল।
এখানে বিএনপি পিছিয়ে আছে।
কিন্তু জামাত 'ঘাউড়া'।
১ কিল খাবে তো ১ কিল দেবে।
আর পাওয়ার পলিটিক্সে মার খেলে কেয়ারটেকার আসবেই।
এরপর আওয়ামী লীগের সুখ সময়
সুতরাং - যুদ্ধাপরাধের বিচারের কার্ডের পর জামাতকে ঠান্ডা রাখার জন্য এখন রেজিস্ট্রেশন কার্ড খেলছে আওয়ামী লীগ।
এটা নিয়ে আবার কোথাও গওহর - রাজ্জাক দর কষাকষি হবে।
এটা দিয়ে দরাদরির ভেতরে ব্যস্ত রেখে যদি রাজপথ থেকে জামাতকে সরানো যায় - দি ইজ দা ডিসলোকেশন আওয়ামী লীগ পুশড ফর।
কিন্তু 'রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বল' দিয়ে ইলেকশনে অংশ নেয়ার বলটা সাময়িকভাবে ডিসলোকেট করতে পারলেও সাইদীর মামলার রায় আর এক্সিকিউশনের বলটা বেশ ভারী।
এটা নড়বে না।
আই ডোন্ট থিংক ব্যারিস্টার রাজ্জাক হ্যাজ অ্যানি হোল্ড অন ইট।
সুতরাং রাজপথ থেকে এদেরকে ডিসলোকেট করানো যাবে না এই 'রেজিস্ট্রেশন' বলে হিট করে।
পাওয়ার পলিটিক্সের এই বলটা ডিসলোকেট করার মত আরেকটা ভারী বল কিংবা টার্ন অফ হিট - কোনটাই নাই - যতটুকু দেখছি।
এতকিছু সব-ই আওয়ামী লীগ করতে চায় পাওয়ার পলিটিক্স দিয়ে আবার ক্ষমতা ডাকাতি করতে।
নিজে যেটা চাইঃ
ভালো হইতে পয়সা লাগেনা।
কেয়ারটেকার ভালোয় ভালোয় দেন।
খালেদা জিয়া বলসেন - বিএনপি কোন প্রতিশোধের রাজনীতি করবে না।
ভালোয় ভালোয় কেয়ার টেকার দিয়ে চলে যান।
এটাই উত্তম।
যদি জর বাড়াতে চান - তো পরিনতি ভালো হবেনা।
ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর মুনকার - নাকীর সেশন শুরু হবে আপনাদের !
পাওয়ার পলিটিক্সে জামাত নিয়ে খেলা হয়তো যায়।
কিন্তু আম পাবলিক 'শ্যাখের গুষ্ঠির মায়েরে বাপ' বলে লুঙ্গিতে কোচ মেরে পাওয়ার পলিটিক্সে নামলে পুরা বিলিয়ার্ড বোর্ড ছ্যারাব্যারা হয়ে যাবে।
পাবলিকের মার বলে কথা , এর উপরে প্লেয়ার নাই।
রিমেমবার - দেয়ার ইজ অ্যা বল নেমড 'হেফাজত' টু - যেই বলটার কারনে ৫ সিটি কর্প বিএনপি'র পকেটে গেসে।
দে আর ভেরী কানেক্টেড টু পাবলিক !
জর বাড়তে থাকলে পাবলিক নিজেই খেলতে নামবে - যেমন নামসিলো সেভেন্টি ওয়ানে , যেমন নামসিলো নাইন্টিতে।
সংযুক্তিঃ
আশা করি এ আমলেরটা নিয়ে পেট ভরলে ঐ আমলেরটার কারনে পেট মোচড় দেবে না
[১]
জামাত এখন অনিবন্ধিত দল , সাইনবোর্ড - প্যাড সর্বস্ব দল।
জিয়াউর রহমানের আমলেও জামাত সাইনবোর্ড - প্যাড সর্বস্ব দল ছিল , ব্যাপক চেষ্টা করেও পায় নাই নিবন্ধন যেটা ১৯৮৬ তে এরশাদের আমলে শেখ হাসিনার জাতীয় বেঈমানির ইলেকশনে পায়।
তো এই আওয়ামী লীগের আমলে সাইনবোর্ড - প্যাড সর্বস্ব অনিবন্ধিত জামাতকে নিয়েই যদি উনাদের পেট ভরে যায় , তো আশা করি জিয়ার আমলের সাইনবোর্ড - প্যাড সর্বস্ব জামাতকে নিয়ে উনাদের পেটে মোচড় দেবে না ?
নাকি মশাইরা ?
[২]
বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ১৯৯২ তে সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই আমিনুল হক ছিলেন এটর্নী জেনারেল।আমিনুল হকের ব্যাপক চেষ্টার পরও আদালত গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলো রাস্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যাওয়ার পরও।
সেই আপিল বেঞ্চে ছিলেন - জাস্টিস হাবিবুর রহমান শেলী , জাস্টিস লতিফুর রহমান , জাস্টিস এ টি এম আফজাল এবং জাস্টিস মোস্তফা কামাল (আব্বাসউদ্দিনের ছেলে)।
এত আনইনফ্লুয়েন্সড ভাবে মাম্লাটার মীমাংসা হওয়ার পরও কিছু মিথ্যুক ত্যানা প্যাচায়া বলে বিএনপি সরকার , খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছে।
তারা খুব ভালো করে জানে এটা দিয়েছে আদালত , আদালতের উপরের বর্ণনা করা বেঞ্চ।
বিএনপি - খালেদা জিয়া কিংবা সরকার ছিলো রাস্ট্রপক্ষ যাদের প্রতিনিধি ছিলেন বাদী আমিনুল হক।
আশাকরি একই ভাবে এই মামলার বেলায় এইসব দালালরা ক্রেডিট নিতে চাইবে না যে জামাতের নিবন্ধন বাতিল আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব ?