somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাবলো এসকোবার

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
"পাবলো এমিলিও এসকোবার গাভিরিয়া(Pablo Emilio Escobar Gaviria)”

(December 1, 1949 – December 2, 1993)

কলম্বিয়ার বিখ্যাত কোকেন সম্রাট। সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন "ডন পাবলো" নামে। যদিও "The Lord" "The Magician" সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিলেন। তিনিই হলেন অপরাধ জগতের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ধনী অপরাধী।
৭০ ও ৮০ দশকে দক্ষিণ আমেরিকায় মাদক ব্যবসার কথা বললেই তার নামও বলতে হয়। তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আর দক্ষিণ আমেরিকায় কোকেন এর অবাধ সরবরাহ তার হাত ধরেই ঘটেছিল।

১৯৪৯ সালের ১ ডিসেম্বর Rionegro শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক আর তার মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরেই তিনি বেড়ে উঠেন আর এখানে কৈশর জীবন থেকেই জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতের সাথে। দশ বছর বয়সেই তার আইন ভঙ্গের হাতেখড়ি হয়। গভীর রাতে চলে যেতেন কবর স্থানে, সেখান থেকে সমাধি ফলক চুরি করে বিক্রি করে দিতেন চোরাকারবারিদের কাছে।
শিক্ষিকা মায়ের চাপেই কোনমতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন কিন্তু এখান থেকেই শেষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোবার আগেই পুরোপুরি ভাবে জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতের সাথে।

সতেরো বছর বয়সে চুরি ছেড়ে দেন, সেই সময়ের মেডিলিনের(কলম্বিয়ার একটি শহর) বিভিন্ন প্রতাপশালী ব্যক্তিবর্গের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন । এই ছিলো তার অপরাধ জগতের দ্বিতীয় স্তরে পদার্পণের সোপান । কিডন্যাপিং, র‍্যানসমের পর্ব এখানে-ই শুরু হয় । ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট হওয়ার। প্রেসিডেন্ট হবার স্বপ্নের পাশাপাশি তার আরেক স্বপ্ন ছিলো তিনি হবেন অঢেল সম্পদের মালিক। এভাবেই সুযোগের অপেক্ষাতে ছিলেন। এই সুযোগটা আসে ১৯৭৫ সালে মেডিলিনের অন্যতম ডিলার ফ্যাবিও রেস্ট্রেপোর মৃত্যুর মাধ্যমে। যদিও ফ্যাবিওর মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাবলোকে-ই দায়ী করা হয়।

১৯৭৫ সাল থেকেই পাবলোর স্বর্ণযুগের শুরু হয়। কোকেন ব্যবসায়ই ছিল তার প্রধান ব্যবসা। তার এই কোকেনের প্রভাব ছিল প্রচুর। কোকেন দিয়েই তখন পুরো কলম্বিয়া কাপিয়ে দিয়েছিলেন। আমেরিকা আর কলম্বিয়ার কোকেন রাজ্যের প্রায় পুরোটাই ছিল পাবলোর দখলে। তার সরবরাহ করা কোকেনই দখল করে নিয়েছিল কোকেনের বাজার। আমেরিকার ৮০ ভাগ কোকেনই ছিল পাবলোর সরবরাহ করা। পাবলো শুধু ভয়ঙ্করই ছিলেন না, অসম্ভব বুদ্ধিমানও ছিলেন। কোকেন পাচারের নিত্যনতুন পথ বের করে নিতেন। বিমানের চাকার মাধ্যমেও তিনি কোকেন পাঠিয়ে দিতেন বিভিন্ন দেশে। এতে বিমান ক্রুদের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হতো। এরপর আস্তে আস্তে নিজেই কিনে নিলেন ১৫ টা বিমান। তার কোকেন পাচারের সংস্থা ছিল মেডেলিন কার্টেল। ১৯৯৩ এ পাবলোর মৃত্যুর পর মেডেলিন কার্টেল বন্ধ হয়ে যায়। একটা সময়ে এই মেডেলিন কার্টেলের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১৫ টন কোকেন পাচার হতো যুক্তরাষ্ট্রে।
পাবলোর মোট ডিলারের সংখ্যা ছিলো শতাধিক। সবাইই নিজ নিজ জায়গায় ক্ষমতাবান ছিলেন। তবে ‘এল প্যাট্রন’ অর্থাৎ অভিভাবক হিসেবে মানতেন পাবলোকে। প্রতি মাসে $২৫০০’এর শুধু রাবারের ব্যান্ড কেনা লাগতো শুধু টাকা বাধাইয়ের জন্য ,এতো পরিমাণে টাকা ছিলো পাবলো এস্কোবারের। আবার প্রতিবছর তার আয়ের ১ বিলিয়ন ডলার “Store House” থেকে ইদুর খেয়ে ফেলত। ১৯৮০ এর দশকে তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল $30 billion. ১৯৮৯ সালে বিখ্যাত “FORBES” সাময়িকীতে পৃথিবীর সপ্তম ধনী হিসেবে নাম আসে এ কোকেন সম্রাটের।





এক-ই সাথে নায়ক এবং খলনায়ক দুটি রোল-ই প্লে করতেন তিনি, সরকার পক্ষের লোকের কাছে তিনি ছিলেন ত্রাসের চেয়েও বেশি কিছু আর জনগণের কাছে ছিলেন “রবিনহুড”। কলম্বিয়ার অধিবাসীদের কাছে তিনি ছিলেন দেবতার সমতুল্য। মেডেলিন এর অত্যন্ত দরিদ্র কয়েক হাজার অধিবাসীদের জন্য এসকোবার ৪৫০ টি বাড়ি বানিয়ে দিয়েছিলেন এবং এর অধিবাসীদের কোন ভাড়া দিতে হতো না। এছাড়াও তিনি মেডেলিন এর অধিবাসীদের জন্য এসকোবার পার্ক, চিড়িয়াখানা, স্কুল, হাসপাতাল, বিশাল স্টেডিয়াম, চার্চ, গরীব অধিবাসীদের জন্য বিশাল আবাসিক প্রকল্পের জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করেছিলেন।

পাবলো ছিলেন চার হাজারের অধিক খুনের প্রত্যক্ষ আসামী। তার নির্দেশে হাজার হাজার খুন হতো। কলম্বিয়াতে তখন বলা হতো “তুমি যতই ক্ষমতাশালী ও গুরুত্বপূর্ণ হও না কেন যদি এসকোবার তোমাকে খুন করতে চায় কেও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।“ এসকোবার এর নৃশংসতার শিকার ছিল বিচারক, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ত্রেট, পুলিশ এমনকি নিজের দলের লোক পর্যন্ত।

কলোম্বিয়ার বেশির ভাগ সৎ রাজনীতিবিদ, বিচারক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা এই মাদক সম্রাটের ভয়াবহ উত্থান ও ক্ষমতাকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভালো চোখে দেখেনি। এসকোবার এর ক্ষমতা এতোটাই বেশি ছিল যে তাকে আইনের আওতায় আনা একপ্রকার অসম্ভব ছিল। এসকোবার তার শত্রুকে দমন করবার জন্য নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করতো যা তার নিজের ভাষায়- “PLATA O’ PLOMO” অর্থাৎ “SILVER OR LEAD” । সোজা কথায় প্রথমে তাদের বিশাল অংকের ঘুষ এর লোভ দেখানো হতো এবং যদি প্রথমটিতে অর্থাৎ “PLATA OR SILVER” এ কাজ না হয় তখন তাদের পরিণতি ছিল “PLOMO OR LEAD” অর্থাৎ এসকোবার তখন তার শত্রুকে পরিবার সহ খুন করবার সরাসরি নির্দেশ দিতো।

“Sometimes I am God….When I say a man dies….He dies that same day.” – Pablo Escobar



সংবিধান থেকে এক্সাট্রাডিশন(বিদেশে পলাতক আসামীকে সেই রাস্ট্রে অর্পন করা যে রাস্ট্রে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে) আইনকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলার জন্য সরকারকে দশ বিলিয়ন ডলার অফার করেন, কিন্তু সরকার তা মানেননি। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভবনে হামলা চালিয়ে ১১ জন বিচারককে হত্যা ছিল তার নৃসংশতার চরম নিদর্শন।
১৯৮৯ সালের ২৭শে নভেম্বর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে মারার জন্য “আভিয়াঙ্কা ফ্লাইট ২০৩” নামের যাত্রীবাহী একটি বিমান বোমা মেরেও উড়িয়ে দেন। এতে বিমানের ১১০ জন যাত্রীই প্রাণ হারান। তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সেই ফ্লাইট এ ছিলেন না বলে বেঁচে যান। এছাড়াও কলম্বিয়ার বিচারমন্ত্রি “রডরিগো লারা” কে এসকোবার এর “কিলিং স্কোয়াড” খুন করে কারন লারা কলম্বিয়ান কংগ্রেসে এসকোবার এর বিরোধিতা করেছিল। এসকোবার এর নির্দেশে “প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী” এবং “মাদক বিরোধী” লুই কার্লোস গালান কেও তার নির্বাচনী জনসভাতে প্রকাশ্যভবে হত্যা করা হয়।

এরপর যখন কলম্বিয়া সরকার আচ করতে পারলো পাবলোকে তারা একা রুখতে পারবে না তখন সহ তারা সহায়তা নিলো আমেরিকার। তাদের সহায়তা নিয়েই পাবলোকে তারা ধীরে ধীরে কোণঠাসা করা শুরু করলো। এখানে পাবলোর কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো, পাবলো সরকারের সাথে চুক্তি করে সে আত্মসমর্পণ করবে কিন্তু আত্মসমর্পনের পর থাকবে নিজের তৈরী জেলে । বিশাল এরিয়া জুড়ে পাবলো এসকোবার তৈরী করলেন জেলখানা, যা শুধু ছিলো নামমাত্র জেলখানা, “সবকিছু” ছিলো এই নামমাত্র জেলখানায় । পাবলো বুঝতে পারেননি তার এই একটি মাত্র ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল জীবনের বিনিময়ে শোধ করতে হবে। ১৯৯৩ সালের ২রা ডিসেম্বর তার ৪৪তম জন্মদিনের পরদিন পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে তার মৃত্যু হয়। যদিও তিনি পুলিশের গুলিতে নাকি আত্মহত্যা করে মারা গেছেন তা পরিষ্কার নয়। কারন কোনো এক সময় পারিবারিক বৈঠকে পাবলো বলেছিলেন পুলিশের হাতে তিনি কখনো মরবেন না, যদি দেখেন মৃত্যু সুনিশ্চিত তখন তিনি কানের নিচে গুলি করে আত্মহত্যা করবেন। তার লাশ যখন পাওয়ায় তখন তার বুকে, পায়ে আর কানের একটু নিচে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। এতে ধারনা করা হয়, তিনি সুইসাইড করেছিলেন।



প্রায় পচিশ হাজার মানুষ হয়ে ছিলো তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়, আর কোনো অপরাধীর সৎক্রিয়ার সময় এত মানুষ হয়েছিল বলে জানা নেই। যদিও এতো লোক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না,কারন সাধারন জনগণের কাছে তিনি ছিলেন “রবিনহুড” । কলম্বিয়ার খুব কম সাধারণ স্তরের মানুষ ছিলো যে পাবলো এসকোবারের সাহায্য পায়নি । পাবলোকে যতো মানুষ ঘৃণা করতো তার দ্বিগুণ পাবলোকে সম্মান করতো



কোকেন সম্রাট পাবলো নিজেও কখনো কোকেন নেননি শুধুমাত্র ফ্যামিলীর কথা ভেবে। এমনকি এই কোকেন সম্রাট নিজের হাতে হাজারো খুন করলেও তার সন্তানদের সামনে সিগারেটও ধরাতেন না আবার তাদের সামনে কাউকে সিগা্রেটের ধোয়া পর্যন্ত ছাড়তে নিষেধ করতেন।





পাবলো এসকোবারকে নিয়ে তৈরি করা বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ও সিনেমাঃ
1. Sins of My Father.
2. The true story of killing Pablo.
3. Pablo Escobar [Documentary]
4. The Two Escobars (2010)
5. Escobar: Paradise Lost

তথ্যসুত্রঃ

১. উইকিপিডিয়া
২. ইউটিউব
৩. TFP

ইমেজ কার্টেসীঃ
১.গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×