কথাছিলো ভালোবাসার কাছে যাবো;
বসবো, ছোঁব, কথা বলবো, পাশাপাশি হাঁটবো, নরম ত্বকে স্পর্শ করবো;
একসাথে দেখবো স্বর্ণালী সকাল, আনন্দের উচ্ছ্বাস, ঝকঝকে দুপুর, বর্ণিল বিকেল আর সাতরঙা গোধূলি!
কিন্তু হলনা, বাঁধ সাধলো দুর্যোগ!
ঠিক আছে নাহয় পরেই যাবো তোমার কাছে, ওভাবে পেতে তোমায়। দেখতে তোমায় আর মন-প্রান সপে দিতে; তোমার তরে।
সব চাওয়া আর আকুলতা এতো-এতো অল্পতেই পেয়ে গেলে আকাঙ্ক্ষা আর আকর্ষণ যদি কমে যায়!
তাই এই ভালো, নিজের কাছে নিজেরই সান্ত্বনা।
তাই অবশেষে সেই প্রেমের কাছেই!
একটুখানি সবুজ পাহাড়!
তবে নাহয় দেখে আসি রঙিন রাঙামাটি!
একই সাথে পাহাড়-ঝর্ণা-অরণ্য আর নান্দনিক জলাশয়......
নরম ঢেউহীন লেকে ভাসবো,
জ্বলজ্বলে দুপুরে ছুটে বেড়াবো এদিক-ওদিক;
খুঁজে ফিরবো সুখের অশ্রুর অবগাহনের ঝর্ণা!
দুইপাশ জুড়ে সবুজ পাহাড়েরা বাঁধবে ওদের মায়ার বাঁধনে;
আবেগের আবেশ ছুঁয়ে দেবে ঝিরঝিরে বাতাস!
হব একাকার পাহাড়ে-অরণ্যে-ঝর্ণায় আর জলাশয়!
সেই সুখ স্বপ্নেই হলাম ঘুমে বিভোর।
ভোর হতে হতেই তুমি আচ্ছন্ন করে দিলে তোমার অজস্র সুখের আবেশ দিয়ে!
কিভাবে?
এই যে তুমি দেখা দিলে সকালে মেঘ হয়ে,
ছুঁয়ে গেলে নিশ্চুপ আবেগে, ঝিরঝিরে ঠাণ্ডা বাতাস হয়ে,
স্পর্শে জাগালে শিহরণ, এক পশলা বৃষ্টি হয়ে;
বাঁকা চোখে তাকালে, গাড়ির কাঁচে জমে থাকা বৃষ্টি হয়ে;
আর আমাকে ভাসিয়ে দিলে, ভিজিয়ে দিলে, হারিয়ে দিলে অজানায়;
তোমার একমুঠো নীরব আবেগের অঝোর ধারায়.........
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯