একটি মাঝারি সবুজ পাহাড়,
রঙিন জুম ক্ষেত,
থরে থরে সাজানো ফসলের গাছ,
নাম না জানা পাহাড়ি ফুল,
লাল-নীল-হলুদ-সাদা-কমলা-বেগুনী-গোলাপির ব্যাঞ্জনা।
ঝকঝকে নীল আকাশ,
ধপধপে সাদা মেঘ,
পাখিদের উড়ে চলা,
বন বাদাড়ে কোকিলের কুহুতান,
শীত শেষের মৃদু কুয়াশা,
বসন্তের ছোঁয়া মাখা বাতাসের শিহরণ,
ছোট্ট একটি জুম ঘর,
তার উন্মুক্ত বারান্দা,
বাঁশে-ডালে-কঞ্চিতে আর সজ্জিত শুকনো পাতায়,
এক কোনে একটি মাটির চুলো,
ধোঁয়া ছেড়ে আগুনের চোখ রাঙানো,
টিনের মগে চা পাতা,
ধোঁয়া ওঠা গরম জল,
মিলনে রঙিন হওয়া।
জুম ধরে নেমে যাওয়া,
নামতে নামতে ঘেমে যাওয়া,
দুই পাহাড়ের মাঝে ছড়া,
স্বচ্ছ জলের বয়ে চলা,
অন্য পাহাড় বেঁয়ে উঠে চলা,
চলতে চলতে ক্লান্ত হওয়া,
আবারো একটু নেমে যাওয়া,
ঝর্ণা দেখে শান্ত হওয়া,
ভিজে ভিজে শীতল সুখ পাওয়া,
গুনগুনিয়ে গেয়ে গেয়ে চলা,
ধীরে ধীরে ফিরে চলা,
উদাস গলায় উদাত্ত সুর,
মধ্য দুপুরে গনগনে রোদ,
গাছের ছায়ায় শীতলতার খোঁজ,
ঝিরঝিরে বাতাসে মন নিখোঁজ,
কারো মায়ায় টঙে ফেরা।
শেষ দুপুরে জুমের ভাত,
সবুজ তরকারীতে, টকটকে ঝোল!
মাতাল হাওয়া, ক্লান্ত শরীর,
ঢুলুঢুলু চোখ, প্রশান্তির ঘুম,
শেষ বিকেলের ঝড়ো হাওয়া,
ঘন কালো মেঘ, গুমোট আকাশ,
নীরব প্রকৃতি, স্তব্ধ পাহাড়,
মুষলধারে বৃষ্টি, সহস্র ঝর্ণা!
থেমে যাওয়া ঝড়, নির্মল প্রকৃতি।
থরে থরে সাজানো পাহাড়,
যেন ক্রোশ জোড়া সবুজ সিঁড়ি!
সাতরঙা রঙধনু, বর্ণিল গোধূলি,
ঝুপ করে নামা সন্ধা, রাত্রির আহ্বান।
ঝিকিমিকি তারা, জোনাকির আলো,
ভরা জ্যোৎস্না, বাঁশরীর সুর।
অজানা, অসীম আর অনিঃশেষিত সুখে,
সকল অসুখ বিলীন.........!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০১