আমার ভালোবাসা
আমার ভালোবাসা হুতুম পেঁচার মতো প্রহরে প্রহরে হুম হুমা হুম করে না, সে সচরাচর, সাবলীল।
গলির মোর ফেরা বাসের মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ হাইড্রোলিক হর্ন সে বাজায় না, সে এক নিশব্দ ফেরারী।বিভিন্ন পদের সাপ্তাহিক পদের লিস্ট সে না, সে একদম ই অগোছালো, আছে নিত্য প্রয়োজনের টুকিটাকিতে।
আমার ভালোবাসা, আঁকিয়ের মার্জিত আঁচর না....সে তো বাচ্চাটির হাতের বাধাহীন পেন্সিলে আঁকা এ্যাবরো থ্যাবরো ছবি , রমরমা রঙিন ক্যানভাস।
আমার ভালোবাসা থাকে না গড় গড় মুখস্ত রাখা কবিতার লাইনে, সে ভাসে আমার ভুলে যাওয়া কাব্য স্রোতে, ইতস্তত প্রতিটা পদে
আমার ভালোবাসা, ঠক ঠক করে মধ্যরাতের দরজা ঠেলে না, বিরক্তিকর টেলিফোন রিং থামিয়ে বলে না, " হ্যালো কে" ? গন গনে রোদ মাথায় করে এনে সে ঠান্ডা জল খোঁজে না, তার গরম চা চাই ই চাই।
আমার ভালবাসা, উন্নত লিখিয়ের লেখা হয়ে সকালে পত্রিকার কোনে কোনে নিজেকে খোঁজে না, উখোর পঠুয়ার ও চোখের আড়ালে থাকে, সে আমার লাজুক টুইটুম্বুর গৃরস্থী, আমার লাল ডায়রিতেই তার বেশ স্বতস্ফূর্ততা ।
কোন খুচরো নেই আমার ভালোবাসাতে, সে নিজেই একদম কড়কড়ে একশ টাকার নোট। আমার ভালোবাসা নেই কোন ফার্স্ট ফুডের কামড়ে, নেই কোন দামী সরাবের বোতলে, অথবা মাত্ করে দেওয়া বডি স্প্রে তে।
সে ব্যস্ত সময় কাটায় তোমার বুকে, তোমার পিছু ছোটা , তোমার ই গন্ধ কাতর অন্ধ ঘাস ফড়িং। সে পড়ে থাকে এখানে সেখানে নিত্য নৈমত্তিক সভ্যতার ধুলা গুনতে।মধ্য দুপুরের আগুনজ্বলা কৃষ্ণচূড়া তার পছন্দ, সে লেবু খায়, তারপর ও পোষায় না, যতক্ষন না দাঁতে চিবিয়ে তেতো স্বাদ নিচ্ছে।
সে নাক্ষ্যাংছড়ি যায় পূর্ণিমা দেখতে, আলো কালো রাবার বাগানে বুক ভরা জোছনায় দুটো চাঁদ দেখা যায়।