দুর আকাশে ঐ দেখা যায় ,কালো মেঘের বাড়ী
বোশেখের এ ভর দুপুরে, মেঘগুলো সব,
জুটছে সারি সারি।
সূয্যি মামা মেঘের ছায়ায় বসে বসে ঝিমোয়,
মাঝে মাঝে চমকে দেখে, কত হল সময়।
হঠাৎ করে বাতাস বন্ধ স্তব্ধ চারদিক
গরুবাছুর ছুটে দেখ হয়ে হতচকিত।
শোঁ শোঁ করে বাতাস আসে অগ্নিকোনায় নেচে
দিঘির পাড় ভিজিয়ে দেয় ভাঙ্গা ঢেউয়ের সেচে।
ধূলোর ঝড়ে গা এলিয়ে শুকনো পাতা ওড়ে
ঘূর্ণি পথে উর্দ্ধে উঠে যাবে কী আকাশ ফুঁড়ে?
সিঁদুর মুখো আম গুলো যে গাছের ডালে ডালে
ঝরে যাবার ভয়ে বেটা বোঁটা ধরে ঝুলে।
বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা সাথে ভীষন ঝড়ো বাতাস
মট মট করে টিনের চাল, বাইরে ক্ষুব্ধ গুমোট আকাশ।
এক দমকায় ছত্রখান নৌকায় তোলা পাল
বেসামাল সেই নদীর ঢেউয়ে শক্ত করে মাঝি ধরে হাল।
হাট মাঠ সব লন্ড ভন্ড উড়ে যায় কুঁড়ে ঘর
দু-হাত তুলে দুঃখী কাঁদে, খোদা ! আমি কি তোমার পর ?
ফলবতী ফসল সব সবুজ মাঠের 'পরে
কষ্ট পেয়ে নুইয়ে পরে সৃষ্টি রক্ষা করে।
আকাশে চলে তারকা যুদ্ধ মেঘে মেঘে বিজলী চমকানী
বজ্র ভয়ে রুদ্ধ ঘরে খোকা খুকি আজ বড্ড অভিমানী।
কিছুক্ষন পর সবই শান্ত, সবাই বলে একী হলো একী !
কালবৈশাখীর খন্ড প্রলয় ক্ষান্ত হলো নাকি ?
নিমিষেই সব ওলট পালট এ কী হল নিয়তির
'কালবৈশাখী' সে তো ময়ূর পালক, "বাংলার প্রকৃতির।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২৭