লজ্জায় আসলে আমাদের কথা বলায় উচিত না। আমরা সবসময় বলি হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ। কিন্তু অপ্রিয় সত্যি কথাটা কেউ কখনো সাহস করে বলে না। যারা বলে তারা এক বুক চাপা কষ্ট নিয়ে লোক দেখানো দেশ প্রেম ছাড়া আর কিছুই না।
ভালকে ভাল, আর খারাপ কে খারাপ বলা আমাদের সবার কর্তব্য। ফরহাদ রেজা আর আব্দুল রাজ্জাক, বর্তমানে দলে লৌহায় পরে থাকা মরিচিকার মত, তাদের অবসর গ্রহন করানোর সময় । নাসির এবং তামিম ইকবালের মত খেলোয়াড়দের ভাব কমানোর জন্য কয়েকটা ম্যাচ না খেলানোই বেটার। তারা মনে করে আমরা ভাল খেলি কিংবা খারাপ খেলি তাতে বাংলাদেশের কি আসে যায়, আমরা তো দলে সহজেই স্থান পাচ্ছি ।
ফরহাদ রেজা কে নিয়ে সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট- “ফরহাদ ক্রিকেটীয় নয়, অন্য কোনো কারণেই দলে আছে”-
অনেকেই বলতে পারেন ভাই নাসির এবং তামিম কিন্তু ভাল খেলেছে। তাই আমি বলি ভাই থামেন..! আগে কি খেলেছে সেটা বড় কথা না। বর্তমানে কি রখম পারপর্ম করতেছে সেটায় দেখার বিষয়। গত বছর ভাল খেলেছে, তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে আর চলবে না, বর্তমানে কি করছে সেটায় দেখায় বিষয়। দলে আরো অনেক ভাল ভাল উদিয়মান প্রতিভা আছে, আমরা তাদের কাজে লাগাতে পারি। দলের ভাল কয়েকজন খেলোয়াড়কে কে নেওয়া হয় না। দেশের জন্য খেলা, সেখানেও স্বজনপ্রীতি। ক্যাপ্টেনসির মনগড়া সিদান্ত, খেলাতে একতা নাই বললেই চলে, কেউ কোন অংশে কারো কাজ হতে কম নয়। কারো কথা কেউ কানেই তোলে না। যে যার মত মনগড়া মন নিয়ে খেলা খেলে।
মনে কি আছে মাশরাফির সেই মাঠের মাঝখানে বসে থাকার করুণ দৃশ্য-
মনে কি আছে গতবারের এশিয়া কাপের সেই করুন আজাহারি তাদের সাথে সাথে কাঁদিয়েছিল বাংলার মানুষকে-
জিয়া/মমিনুল, সোহাগ গাজীর মত ভাল খেলোয়াড়দের সাজ ঘরে বসে বসে খেলা দেখতে হয়। আর অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার মত কাংগাল গুলা দিব্যি খেলে যায়। আজ পর্যন্ত ফরহাদকে একটা ছক্কা মারতে দেখিনি, বলে কিনা অলরাউন্ডার। অনেক বার লজ্জা খাবার পরেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তাদের ঘুম এখনো ভাঙ্গতেছে না। সিলেকশনে স্বজন প্রীতি যদি বন্ধ না হয়, তাহলে এভাবে লজ্জার ভরাডুবি হতেই থাকবে। তাই চাই সংশোধন।
টি-টিয়েন্টি দল ঘোষণা যখন হয়েই গেছে, ফরহাদ রেজা এবং রাজ্জাকের মত খেলোয়ারদের ইনজুরি দেখিয়ে হলেও দলের বাইরে রেখে অনান্যেদের দলে নেওয়া হোক। আমরা স্বজন প্রীতি চাই না, চাই যারা ভাল খেলে তাদেরতে দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হোক।
১৬ কোটি মানুয়ের দেশ। খেলাটা আমাদের তাই,স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে আমাদের দিকটা দেখুন। আমরা পরাজিত হতে রাজি আছি, তবে ভাল খেলে উপহার দিয়ে হারলেও ক্ষতি নাই, কিন্তু নিজেদের ভুলের জন্য যখন হারতে হয়, সেটা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যদি এভাবে চলতে থাকে এমনি একদিন সময় আসবে বাংলাদেশের খেলায় দেখা বন্ধ করে দিব।
ক্রিকেটকে ভালবাসি, নিজের দেশকে ভালবাসি।
জয় আমাদের হোক এটায় প্রত্যাশা।