২০১২ সালে স্টাডি ট্যুরের একাংশে ৪ দিন পার করেছিলাম হায়দ্রাবাদ ঘুরে। হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী, সালার জাঙ্গ যাদুঘর, রামুজী ফ্লিম সিটি এবং হায়দ্রাবাদী মুক্তা......অফিসিয়াল ট্যুরের বাইরে এই ছিল হায়দ্রাবাদের দিনগুলিতে। আজ সেই দিনগুলো নিয়েই লিখতে চলছি। আজকের পর্বে আমরা হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানির চেখে দেখব এবং সালার জাঙ্গ যাদুঘর ঘুরে দেখব। সেই সাথে পথে-পথে যা দেখা যায়!
ভিশাখাপট্টম থেকে হায়দ্রাবাদ আসতে আসতে ট্রেন বৃষ্টির কারনে দেরী করায় তিন ঘন্টা লেটে প্রায় দুপুরের দিকে হায়দ্রাবাদ পৌছালাম। হায়দ্রাবাদ যেন ফ্লাই-ওভারের শহর। এমনই একটি ফ্লাই-ওভার ধরে এগোতে থাকলাম হোটেলের দিকে।
আমাদের থাকার জায়গা ছিল মানোসরোবর হোটেলে যা ঠিক মার্কিন কনস্যুলেটের পাশেই অবস্থিত। হোটেল বিলাশবহুল ছিল কিন্তু চারপাশটা নিরাপত্তারর চাদরে মুড়ে থাকায় বাইরে বের হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানোটা বোরিং ছিল।
দুপুরের খাবার সারতে সবাই মিলে চলে গেলাম হায়দ্রাবাদের বিখ্যাত প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টে। হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানির জনক বলা চলে এদেরকে। কম দামে সুস্বাদু এবং ভরপেট বিরিয়ানি, প্যারাডাইসের এটাই চমক।
বিরিয়নি অর্ডার করা মাত্রই চলে এল। আমি কোনমতেই পুরোটা শেষ করতে পারলামনা। সাথের সবারই একই অবস্থা। স্বাদ, সেতো অমৃত! ঔদিন বুঝেছিলাম হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি কেন বিখ্যাত।
বিরিয়ানি পর্ব শেষ করে আমরা রওয়ানা করলাম সালার জাঙ্গ যাদুঘরের উদ্দ্যেশে। পথে লক্ষ্য করলাম হায়দ্রাবাদের পথে পথে নানা রকম তোড়ন এবং হায়দ্রাবাদের একসমযের অধিপতিদের ভাষ্কর্য। একটা-দুইটা নয়, এমন অনেকগুলোই দেখলাম চলার পথে।
লেকের মাঝে স্ট্যাটু অফ লিবার্টি স্টাইলে স্ট্যাটু বুদ্ধের বিশাল একটি স্ট্যাটু দেখলাম কিন্তু সময়ের অভাবেই চলার পথে যেটুকু দেখার দেখতে হল।
যাদুঘরে প্রবেশের পরই মীর ইউসুফ আলি খান যিনি ৩য় সালার জাঙ্গ নামে পরিচিত এবং এই যাদুঘরের বেশীরভাগ সংগ্রহের মালিক যিনি তার সাথে পরিচিত হলাম।
এই ছবিটি গুগল থেকে নিতে হল কারন যাদুঘরে ঢুকতে ক্যামেরা রেখে যেতে হবে তাই মীর সাহেবের ছবি তুলেই ক্যামেরা ব্যাগে রেখে দিয়েছিলাম।
ছবি তুলতে পারিনি তাই গুগলের সাহায্যে আপনাদেরকে যাদুঘরের দুটি বিশেষ সংগ্রহ দেখাচ্ছি। প্রথমেই এই মিউসিকাল ক্লকটি যার মধ্যে থাকা ছোট্ট্ একটি।মানুষ প্রতি ঘন্টায় বেরিয়ে এসে সুন্দর করে ঘন্টা বাজায়। সবাই বসে থাকে দৃশ্যটি দেখবে বলে যদিও সময় ছিলনা তাই আমরা আর অপেক্ষা করিনি।
যাদুঘরের আরেক বিষ্ময় হল এই ভাষ্কর্যটি যা একই সাথে মানব-মানবী দুজনের রূপ ধারন করে আছে।
যাদুঘরে যা কিছু দেখার দেখে বাইরে এসে এই।পুরাতন ফায়ার ট্রাকের দেখা পেলাম। পুরাতন কিন্তু এখনও চকচকে।
যাদুঘর দেখে সময় আর ট্রাফিক জ্যামের কারনে চার মিনার না গিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। বুদ্ধকে আবারও দেখলাম সন্ধ্যার নীলচে আলোয়।
হোটেলে ফিরে কিছুটা সময় সুইমিং পুলে সঙ্গীদের ঝাপাঝাপি দেখলাম। নিজে একবার নামলেও ঠান্ডার কারনে উঠে পড়লাম।
ডিনার এবং ঘুম, এভাবেই পার হয়েছিল হায়দ্রাবাদের প্রথম দিন। কাল ২য় দিনে আমরা ঘুরব বিখ্যাত রামুজী ফ্লিম সিটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক কিছু দেখব এত্তগুলো ছবির সাথে
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪