কতদিন যে বেচে থাকবো তাইবা কেমনে বলি। তবে এ ক'দিন যে বেঁচে ছিলাম তাতে মনে হচ্ছে আর না বাঁচাই ভালো। কোন দিন কি কোন বৃদ্ধকে আন্তরিক হয়ে জিেজ্ঞস করেছিলেন," আসলে আপনি কতোদিন বাঁচতে চেয়েছেন?" না আমি কখনো এটা জানতে চাইনি। আমার ধারনা তিনি অকপটে বলে দিবেন , "নারে ভাই আর না, এবার যেতে পারলেই হয়।"
কেউ কেউ এসবের ব্যতিক্রম হতে পারেন। অতি সুখিদের বেলায়ও এমন হয়েছে। আসলে অতিসুখি বলেতো কেউ নেই তা পাঠক মাত্রই জানেন। সে প্রসংগ থাক। বাঁচা মরায় আসা যাক। আমি নিজে আর কতো কাল বাঁচবো এ নিয়ে একটা চিন্তা করছিলাম আর তখন আমার এক বন্ধু এসে হাজির হলো। জিজ্ঞেস করতেই বলে দিই ব্যপার এই। সেতো শুনে লাফিয়ে পড়ে আর কি।" কিরে বন্ধু এতো হাসির কী হলো?"
"আচ্ছা তু্ই কি জানিস তুই এখনো বিয়েই করিস নি?" তার হাসিমাখা উত্তর।
আসলেই তো আমি যে এখনো বিয়েই করিনি। পরবর্তী প্রজন্ম তবে কি বিলোপিত হবে? না তাতো হতে দেয়া যায় না! আমি তো বিশ্বকে শুন্য বানিয়ে যেতে পারি না। আমি বানাবো শুন্য, আমার মতো আর একজন হলে তো জনশুন্য ধরনী। ভাবতে বসি আবার। তবে কি বিয়ের পর আরো ক'টা সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্তই আমি?
এ কেনো আমি? মরবো কেনো? বাঁচবো কেন?
জবাব নেই আমার মাঝে। সুখের আশায়? সুখ কী? আনন্দের আশায়? আনন্দ কী? কেউ কি পেয়েছে কখনো?
মাচরাঙা অনেক্ষণ অপেক্ষার পর একটি মাছ পেলে খুশি হয়। কিন্তু কেন?
এ তো নির্ঘাৎ তার বাঁচার স্বপ্ন। বাঁচার ইচ্ছের কারনে সে কষ্ট পায় আবার আনন্দও! এ তো অদ্ভুত রে বাবা।
পাঠক এই জন্যে আবার যেনো আপনারা মরতে না বসেন। মরার জন্যে বলছি না। বাঁচার জন্যে ও না। বলছিলাম, বেঁচে আছি কোন কারনে? ক্ষুধার তাড়নে সুখ যে আমার কাছে সত্যিই সুখ বলে মনে হয়। কতো কষ্ট পাওয়ার পর সামন্য পরিক্ষায় পাশকেও আনন্দের মনে হয়।
এইতো বাঁচা, মরার আগের মূহুর্ত! নাকি মায়ের গর্ভ থেকে এই মাত্র আবির্ভাব?
১. ১২ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:৪৪ ০