গতকাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পারমানবিক দুর্ঘটনা ‘চেরনোবিল বিপর্যয়’ এর ৩০ বছর পুর্তি। এই দুর্ঘটনা সোভিয়েত সরকারের একটা ত্রুটি ছিল সন্দেহ নাই। কিন্তু তার চেয়েও বড় ভুল তারা করেছে দুর্ঘটনা ঘটার পরের পদক্ষেপগুলোতে।
তখন চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। আমেরিকা এবং রাশিয়র মধ্যে সুপারপাওয়ার হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এমতাবস্থায় সোভিয়েত ইউনিয়নের ভয় হয়, এই দুর্ঘটনা সারা বিশ্বের দরবারে তাদের মাথা হেঁট করে দিবে। তাই তারা পুরো ঘটনা চেপে গেল। সারা বিশ্ব দূরে থাক, খোদ সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষও সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকল এ বিষয়ে। হিরোশিমায় যে পারমানবিক বোমাটা ফেলা হয়েছিল তার চাইতে চারশত গুণ বেশি তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় এ দুর্ঘটনার ফলে। এ সময়ে দরকার ছিল দ্রুত আশেপাশের এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু সেটা করতে হলে আগে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার তো করা চাই!
সুদূর সুইডেনের সেন্সরে সর্বপ্রথম বাতাসে তেজস্ত্রিয় রশ্মির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ধরা পড়ে!
ঘটনার দুইদিন পরে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ ১৫ সেকেন্ডের একটা বিবৃতি দেয়। “There has been an accident at the Chernobyl nuclear power plant.”, “assistance has been provided”, “an investigative commission has been set up”.
কিন্তু এ ঘটনার পর গর্বাচেভ নতুন পলিসি glasnost গ্রহন করতে বাধ্য হয় যেখানে তথ্যের ব্যাপক প্রবাহের কথা বলা হয় যেটা থাকলে চেরনোবিল দুর্ঘটনার ফলাফল অনেকাংশে কমানো যেতো। এবং এই নতুন পলিসিই একসময় সোভিযেত ইউনিয়নের পতনের অন্যতম কারন হযে দাঁড়ায়।
#Moral_of_the_story:
ধামাচাপা দিয়ে গদি রক্ষা করা যায়না। Transparency brings long-term benefit.
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৪