সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর র্যাঙ্কের একজন কর্মকর্তা স্বস্ত্রীক খুন হয়েছেন। ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী স্বপ্না রহমান তার মেয়ে ঐশির উগ্র জীবন যাপনে বাধা দেয়াতে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ধারনা করছে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ঐশ্যি লেখাপড়া করত একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও লেভেলে। এটা অবশ্যই বাবা-মা মেয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে বাংলা মিডিয়াম রেখে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়েছেন। আজকাল অনেক গার্জিয়ানই বাংলা মিডিয়ামকে হেয় করে সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে গর্ব বোধ করেন। কারণ তাদের কাছে এদেশীয় কালচার থেকে বিদেশী বিজাতীয় বিধর্মীদের কালচার বেশি ভাল লাগে।
আর ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি হলে বিধর্মীদের স্বজাতীয় কালচার শিখবে এটাই স্বাভাবিক। ইংলিশদের কাছে মদ-নেশা-লিভটুগেদার কালচার তো স্বাভাবিক বিষয়, যা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি হলে ইচ্ছা অনিচ্ছায় শিখতে হয় বাঙালী বাচ্চাদের। সিলেবাসে সেক্সপিয়ারের অবৈধ সম্পর্কের রোমান্টিক গল্প তাদের লিভ টুগেদার করতে উৎসাহ দেয়। আর ঐশিও এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মেয়েকে বিজাতীয় কালচারের স্কুলে ভর্তি করালেও তার কালচার পছন্দ হচ্ছিল না মা স্বপ্না রহমানের। কারণ বাঙালী মুসলমানদের দৃষ্টিতে ইংলিশ কালচার অনৈতিক ও উগ্রতা ও হারাম। কিন্তু এই অপকর্মে বাধ সাধতেই মেয়ের হাতে খুন হতে হলো বাবা ও মাকে।
আফসুস মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানের জন্য, যারা নিজেরাই মেয়েকে দিয়ে গর্ত খুড়েছিল আর সেই গর্তে নিজেরাই প্রাণ দিল। সুতরাং সময় থাকতে বাকিরা এই বিজাতীয় বিধর্মীদের নিয়ম-নীতি প্রবর্তিত স্কুল থেকে সতর্ক হোন।
সুত্র