somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ হারলে আমি কি কি করব, কি কি করব না!!!!!!!!!

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিরোনাম দেখে ধাক্কা খাবেন না।আগে আসুন একটু জানি। প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে সকল মতের সকল পথের মানুষদের এক করে রেখেছে ক্রিকেট। টু বি মোর স্পেসিফিক বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। ৭১’এর পর পুরো বাংলাদেশের সবাইকে একসাথে আনন্দ করার উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে এই ক্রিকেট টিম। এক সাথে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বলে চিৎকার করার উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে এই ক্রিকেট টিম। কিন্তু এই উপলক্ষ্য এনে দেয়ার মঞ্চ কি ওভার নাইট হয়ে গিয়েছিল?? না, হয়নি। অনেক আপ অ্যান্ড ডাউন এর ভিতর দিয়ে আজ এই উপলক্ষ্য আমাদের মাঝে এসেছে। না আমি আজকে গত দেড় যুগ ধরে এসব চড়াই উতরাই নিয়ে আলোচনা করবনা। আলোচনা করব আজ বহুল আলোচিত এশিয়া কাপ ফাইনালে হারি বা জিতি আমরা দর্শকরা বা বাংলাদেশের মানুষরা কি করব!!!!

দুএকদিন ধরে ফেইসবুকে নিউজ ফিডে ঘুরছে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ জিতলে কে কি করবে। অনেকে অনেক কিছু লিখছেন। যার আলোচনা ইতোমধ্যে ব্লগবাসী ও জেনে গেছে। যে কোন খেলায় একটা দলের জন্য দুই ধরনের ফেইট লেখা থাকে। হার অথবা জিত। কিন্তু জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে একটা ব্যাপার আমরা খুব সযতনে এড়িয়ে যাচ্ছি সেটি হল হারলে আমরা কি কি করব। হারের কথা বলায় কেউ আমাকে গালাগাল করবেন না দয়া করে। একজন বাংলাদেশি সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি কখনো চাইব না বাংলাদেশ হারুক। কিন্তু একজন সেন্সিবল স্পোর্টস লাভার হিসেবে এটাও জানি হার জিত আছেই। এখন আমাদের দেশের মানুষরা এইটা বলতে পারি স্পোর্টস লাভার হিসেবে প্যাশনেইট হলেও ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে অনেকে ফ্যানাটিক। আমাদের ঘরেই এর উৎকৃষ্ট উদাহরন আমার আব্বা। তামিম ইকবাল যদি একটা চার মারে লাফ দিয়ে বলবে এই রকম ব্যাটসম্যান আমার বাপে তাঁর জন্মে দেখেনি। ঠিক পরের বলে যদি আউট হয় তাহলে বলবে এর মত বাজে ক্রিকেটার আমার বাপ তাঁর জন্মে দেখেনি। এটা হল প্রকার ভালবাসা। কিন্তু এই ভালবাসা দেখাতে গিয়ে আমরা অনেকে ফ্যানাটিক হয়ে যায়। এর আরেকটা উদাহরন তাসকিন এর হাতে ধনীর কাটা মুণ্ডুর ট্রল ছবিটা। একজন প্রকৃত এবং সেন্সিবল ক্রিকেট লাভার কখনো এই ছবিটা মেনে নেবে না। কিন্তু এই ছবি অনেক শেয়ার করছেন এবং মজা করছেন। তবে আমার এটা ভেবে খুশি লাগছে যে আমার পরিচিত চেনা জানা অনেকে এই ছবির সমালোচনা করছেন বা এর প্রতিবাদ করছেন।

ছিলাম বাংলাদেশ হারলে কি কি করব এবং কি কি করব না সেই আলোচনায়। চলুন একটা ছোটখাট লিস্ট বানানো যাক যেটা আমি শপথ হিসেবেও ব্যবহার করব।

• বাংলাদেশ হারলে খেলায় হারজিত আছে সেই ভেবে ফলাফল গ্রহন করব।
• বাংলাদেশ হারলে খেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে অবশ্যই সমালোচনা করব, তবে অবশ্যই গঠনমূলক।
• খেলায় ভুল ডিসিশন থাকতে পারে, যেটাকে খেলার অংশ হিসেবে দেখা হয়। সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলে যেন নিজের জায়গা থেকে গালাগাল শুরু করে না দেই। সমালোচনা অবশ্যই হবে।

• প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নিয়ে বাজে এবং ট্রল করা পিক, নিউজ কোন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ায় করবনা।
• প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পেইজে গিয়ে গালাগাল করব না।
• বাংলাদেশের কোন প্লেয়ারের পেইজে গিয়ে গালাগাল করব না।
• তাদেরকে নিয়ে ট্রল করবনা।
• তাদের পরিবারের সদস্যদের গালাগাল করব না।
• তাদেরকে দালাল, কালা পারা না টাইপ ট্যাগ দিব না।
• তাদেরকে নিয়ে বাজে পিক, ট্রল শেয়ার করব না।
• রাস্তায় নেমে ভাংচুর করবনা।

এরকম আরও অসংখ্য ব্যাপার আছে যা আমি ব্যাক্তিগতভাবে করব না যা আমাকে একজন ফ্যানাটিক সমর্থক হিসেবে প্রমান করে। আপনিও ভেবে দেখতে পারেন। আর জিতলে????? হোয়াট এভার ইউ ওয়ান্ট টূ ডু জাস্ট ডু। হু ইউ গোয়িং টু স্টপ ইউ!!!! ;)

পৃথিবীর বুকে দর্শক হিসেবে আমাদের একটা নাম আছে। প্রায় খেলা দেখতে বলসে আমি এটা ক্রিকেট কমেন্টেটরদের বলতে শুনি। পুরো বিশ্বের কাছে আমরা প্যাশনেইট ক্রিকেট লাভার।

ক্রিকিনফো সাংবাদিক অভিষেক পুরোহিত এর বাংলাদেশি দর্শকদের ব্যাপারে লেখা একটা কলামের কিছু লাইন হুবুহু কপি করে—
Love is blind, they say. They must have had Bangladesh cricket fans in mind when they said it. In fact, this love goes further than mere blindness. It is only one side that is being blind to the other's faults here. For how much this love takes out of Bangladesh fans - time, money, emotion, their voices, with so much cheering - what they get in return can charitably be only called crumbs.

হ্যাঁ আমরা কি পাই না পাই এটা ব্যাপার না। কিন্তু ক্রিকেট আমাদের দুহাত ভরে দিয়েছে। হারিজিতি ব্যাপার না। মনে রাখবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম বর্তমানে রাইট ট্র্যাকে রয়েছে। এখান থেকেই শুরু হবে সামনের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে রাজত্ব।

পাশে যখন আগেই ছিলেন এখন থাকেন। দুহাত ভরে পাবেন। একটু অপেক্ষা।
মনে রাখবেন 'Patience is bitter, but its fruit is sweeter'!!!!!!!!!!!! B-) B-) B-)

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×