somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাসের গা শিউরে উঠা ২৫ টি দুর্ধর্ষ ও টপ সিক্রেট কভারট 'এজেন্ট ও মিলিটারি' অপারেশন...... B:-) B:-) B:-)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব সম্প্রতি প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর গত কয়েকদিনে এই বিষয় নিয়ে মোটামটি নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ কিছু ব্যাপার জানতে পারলাম। যদিও আজকাল কোন সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেয়া হয় ব্যাপক হারে সিভিলিয়ান হত্যার মাধ্যমে। যেমনটি ফ্রান্স করছে রাক্কা শহরে বম্বিং করার মাধ্যমে। যেখানে অনেক সিভিলিয়ান নিহত হচ্ছে। তবে এক সময় সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেয়া হত সেই সব সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে হত্যা করার মাধ্যমে। আর এসবের সাথে জড়িত থাকতো অইসব দেশের সিক্রেট এজেন্সি গুলা। আর এসব অপারেশনের বিভিন্ন কোড নেইম থাকতো। এরকম একটি অপারেশন হল “অপারেশন রেথ অফ গড”। ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর গ্রুপ দ্বারা মিউনিখ অলিম্পিকের ১১ এথলেট কে হত্যাকারীদের পরিকল্পনাকারীদের ধরে হত্যা করার জন্য তৎকালীন ইস্রাইলের প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার এই অপারেশন চালানোর অনুমতি দেন ইস্রাইলের সিক্রেট এজেন্সি মোসাদকে। ২০ বছর ধরে চলা এই অপারেশন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকলেও এই অপারেশনে তাদেরও অনেক ‘কোলাটেরল দ্যামেইজ’ হয়েছিল।

সেরকম ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এবং ডেডলিয়েসট ২৫ টি কভারট অপারেশন নিচে তুলে ধরা হল---

২৫. অপারেশন পেপারক্লিপঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান ইনটেলিজেন্ট এজেন্সি এই অপারেশন টি চালায়। এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জার্মান নাৎসি বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করে তাদের আমেরিকাতে চাকরী বা গবেষণার ব্যবস্থা করে দেয়া। বলা হয়ে থাকে যে এই অপারেশনে আমেরিকান ইনটেলিজেন্ট রা প্রায় পুরোপুরি সফল হয়েছিল।

২৪. প্রজেক্ট এমকেআলট্রাঃ
এম কে আলট্রা হল এই অপারেশনের কোড নেইম যেখানে ইউএস সরকারের সিক্রেট এজেন্সি সিআইএ এর সাইন্টিফিক ইন্তিলিজেন্স ডিভিশন এই অপারশন টি চালিয়েছিল। এই অপারেশনের মূল বিষয় ছিল কিভাবে মানুষের “মাইন্ড কন্ট্রোল” করা যায়। এই অপারেশনে সাবজেক্ট হিসেবে বেশ কিছু আমেরিকান এবং কানাডিয়ান নাগরিক ব্যবহার করা হয়েছিল তাদের অজান্তেই। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে তাদের এলএসডি প্রয়োগ করা হয়। হিপনোটাইজ করা হয়, একাকীত্বের যন্ত্রণা দেয়া ছাড়াও করাও হয় সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেণ্ট।

২৩. অপারেশন এন্ত্রপয়েডঃ
এই অপারেশনটি চালানো হয় নাৎসি অফিসার রেইনহার্ড হেদ্রিচ কে হত্যা করার জন্য। চেকস্লোভাক সরকারের অনুমতি নিয়ে ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্টরা ১৯৪২ সালের ২৭মে প্রাগে এই অপারেশন চালিয়েছিল। আহত অবস্থায় হেদ্রিচ ধরা পড়লেও এই মাত্র কিছুদিন পরে ৪জুন ১৯৪২ সালে তিনি মারা যান। অবশ্য তাঁকে হত্যার প্রতিক্রিয়া ছিল ভয়াবহ। জার্মান সরকার এর প্রতিক্রিয়ায় প্রাগে অনেক গ্রাম ধ্বংস সহ অনেক সিভিলিয়ান হত্যা করেছিল।

২২. বে অব পিগ ইনভ্যাসনঃ
কিউবার বিদ্রোহী প্যারা মিলিটারি গ্রুপ ব্রিগেড ২৫০৬ দ্বারা ১৯৬১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই হামলা চালানো হয় ফিদেল ক্যাস্ট্রো সরকারের উপর। আমেরিকান সি আই এ এর অর্থায়নে এবং প্রপার ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমেরিকার সরাসরি মদদে এই হামলা চালানো হয়। চরমভাবে ব্যর্থ ওই হামলা মাত্র তিনদিনের ক্যাস্ট্রো সরকার নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিল।

২১. অপারেশন রেথ অব গডঃ
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ১১ জন ইস্রাইলি এথলেটকে হত্যা করা হয় ইতিহাসে যা “মিউনিখ ম্যাসাকার” নামে পরিচিত। সেই হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং অপারেশনে অংশ নিয়ে বেঁচে যাওয়া কয়েকজনকে খুঁজে বের করে হত্যা করার জন্য তৎকালীন ইস্রাইলি প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার ইস্রাইলি সিক্রেট এজেন্সি মোসাদকে এই নির্দেশ দেন। ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এবং ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ গ্রুপের অনেক কে খুঁজে বের করে মারার জন্য এই অপারশন রেথ অব গড চালানো হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে এই অপারেশন চালানো হয়।

২০. অপারেশন নেপচুন স্পেয়ারঃ
নাইন ইলিভেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল কায়েদার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে ওসামা বিন লাদেন কে ধরা বা হত্যার উদ্দেশ্যে এই অপারেশন চালানো হয়। আপাত ওপেন এই অপারেশন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এখনো পুরো পৃথিবীতেই বিদ্যমান। তবে ইউএস তাদের এই অপারেশন কে সফল মনে করে থাকে।

১৯. অপারেশন ভালক্যরিইঃ
এ অপারেশন মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানে জরুরি অবস্থা চলাকালীন যে কোন সিভিল ব্রেকডাউন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চালু রাখা হয়েছিল। ২০শে জুলাই হিটলার হত্যার (আত্মহত্যা বা গ্রেফতার)পর নাৎসি অফিসারদের গ্রেফতার তাদের নিরস্ত্র করা এবং জার্মান শহরগুলা দখল করার জন্য এই অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এই অপারেশনের মূলে ছিলেন জার্মান আর্মি অফিসার জেনারেল ফ্রেদ্রিক, মেজর জেনারেল হেনিং ভন ট্রেস্কও, কর্নেল ক্লুস ভন। অনেক লম্বা প্রস্তুতির পর এই অপারশন চালানো হয় ১৯৪৪ সালে, তবে এটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

১৮. অপারেশন ক্যাউসঃ
প্রেসিডেন্ট লিনডন বি জনসনের আন্ডারে সিআইএ এই স্পাইং অপারেশন টি চালায়। মূলত বিদেশি ছাত্র বা এরকম কিছুর মাধ্যমে বাইরের কোন থ্রেট দেশের জন্য আছে কিনা সেটা বের করার জন্যই এই অপারশন চালানো হয়। বর্তমানেও এই অপারেশন চালু আছে আমেরিকাতে। যেটা স্তিং অপারেশন নামে পরিচিত।

১৭. প্রজেক্ট ফোর জিরো ফোরঃ
ভিয়েতনাম ব্যর্থতার পর মূলত লাউস বিমান বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য আমেরিকান বিমান বাহিনী প্রজেক্ট ফোর জিরো ফোর চালু করে। এর কাজ ছিল লাউটিয়ান বিমান বাহিনীকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া।

১৬. প্রজেক্ট আযুরিয়ানঃ
প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার আমেরিকান সরকার খরচ করে প্রজেক্ট আযুরিয়ান সফল করার জন্য। ১৯৬৮ সালে ডুবে যাওয়া কে-১২৯ নামে একটি সোভিয়েত সাবমেরিন রিকভার করার জন্য এই অপারেশন। ১৯৭৪ সালে এই অপারেশন মূলত চালানো হয় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, নিউক্লিয়ার মিসাইল এবং কিছু গোপন একুপমেন্ত উদ্ধার করার জন্য। এই মিশন চালানোর জন্য “দা হুঘ গ্লমার এক্সপ্লোরার” একটি শিপ ও বানানো হয়েছিল।

১৫. একুস্টীক কিটিঃ
সিআইএ এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডিভিশনের চালানো এই প্রজেক্ট টি মূলত করা হয় সোভিয়েত এম্বেসি এবং ক্রেমলিনে স্পাইং করার জন্য। ১৯৬০ সালে করা এই অপারশনে বিড়াল ব্যবহার করা হয়। ক্রেমলিন এবং এম্বেসি গুলোর গোপন আলাপ শুনার জন্য বিড়ালের গায়ে মাইক্রোফোন এবং ব্যাটারি এবং লেজের সাথে একটি এন্টেনা সংযুক্ত করে এই অপারেশন চালানো হয়। কিন্তু বিড়ালের ক্ষুধা জনিত সমস্যার কারনে এই অপারেশন পরিবর্তন করতে হয়।

১৪. আবু ওমর কেইসঃ
এই অপারেশনের আন্ডারে সিআইএ মিলানের ইমাম আবু ওমরকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে ইতালি থেকে গ্রেফতার করে মিশরে নিয়ে আসে। এক্সট্রিমিস্তদের সাথে তার কানেকশন রয়েছে বলে তাকে প্রচণ্ড অত্যাচার করা হলেও পরে চাপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে ইতালি সরকার সিআইএ এর ২৬ জন এজেন্ট কে ওই অপারেশনে জড়িত থাকার কারনে বিচারের সম্মুখীন করে।

১৩. প্রজেক্ট ফুবেল্টঃ
রিচার্ড নিক্সন সিআইএ এর সার্ভিস এবং এক্সপারটাইস শাখাকে এই অপারেশন চালানোর অনুমতি দেন যাতে করে চিলি সরকারকে ম্যানুপুলেশনে রেখে সাল্ভেদর আলেন্দে যাতে ভীষণ ক্ষমতার অধিপতি না হয় এবং ক্ষমতায় আসতে না পারে। প্রজেক্ট ফুবেল্ট কার্যকর করা হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মণ্টাল্ভা কে মিলিটারি ব্যবহার করে যে কোন কঠিন সিধান্ত এক্সিকিউট করার জন্য।

১২. অপারেশন গোল্ডঃ
১৯৫০ সালে সিআইএ এবং ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট রা সোভিয়েত ইউনিয়নের আর্মির গোপন তথ্য এবং ওদের যাবতীয় খবরাখবর জানার জন্য তাদের (সোভিয়েত)লাইন ভেঙে ডুকার যে অপারেশন টি চালানো হয় ইতিহাসে এটি অপারেশন গোল্ড নামে পরিচিত। এর জন্য বার্লিনে সোভিয়েত হেড কোয়ার্টারের সাথে নিচে দিয়ে টানেল বানানো হয়েছিল এবং তাদের ল্যান্ড লাইন ইণ্টারসেপ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই অপারশন এক্সিকিউট করার আগেই মোলে জর্জ ব্লাইক ওই টানেলের খবর জেনে ফেলেন এবং অপারেশন অংকুরেই বিনষ্ট করে দেন।

১১. অপারশন মেরলিনঃ
এই মিশনের উদেশ্য ছিল একটি বানোয়াট এবং ফ্লড নিউক্লিয়ার ব্লুপ্রিণ্ট সৃষ্টি করে ইরানকে দেয়া যাতে তারা তাদের নিউক্লিয়ার গবেষণা এবং কাজ খুব তাড়াতাড়ি বা সহজে শুরু করতে না পারে। যখনই সবকিছু ঠিকঠাক মত ঠিক তখনই একদল রাশিয়ান সাইন্টিস্ট ভুল ধরিয়ে দিয়ে ইরান কে সব কিছু জানিয়ে দেয় এবং ইরান আরও শক্তিশালী এবং সতর্কতার সহিত তাদের নিউক্লিয়ার প্রজেক্টের কাজ শুরু করে।

১০. প্রজেক্ট এমকে নাওমিঃ
এম কে নাওমি ছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত চলা সি আই এ এর একটি রিসার্চ প্রজেক্ট। এই অপারেশনের তথ্যগুলো মূলত গোপনীয় হওয়ার কারনে জানা যায়নি। এটি মূলত প্রজেক্ট ডেল্টা এর পরে শুরু করা হয়। এটি বায়ালজিক্যাল অস্ত্র তৈরি এবং এরকম আক্রমন থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে চালানো হয় বলে অনেকের ধারনা।

৯. অপারেশন মকিংবার্ডঃ
১৯৫০ সালে সি আই এ এর চালানো এই অপারশন এর কাজ ছিল মিডিয়াকে ইনফ্লুয়েন্স করে নিয়ন্ত্রণ করা।

৮. অপারেশন কুফিরঃ
আরভেঞ্জ এর আমলে যে সব কম্যুনিস্ট নেতারা গুয়েতেমালাতে পালিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য এই অপারেশন চালিয়েছিল সিআইএ। কুফির অপারশনের মাধ্যমে সি আই এ অইসব নেতাদের মুভমেন্ট ফলো করত। মূলত চে গুয়েভেরার জন্যই সিআইএ আই মিশন শুরু করেছিল।

৭. অপারেশন মিয়াসঃ
সিআইএ এই অপারেশন টি চালু করেছিল মূলত সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আফগান মুজাহিদীন দের দেয়া স্তিঙ্গারস মিসাইল গুলো আবার ফেরত পাওয়ার জন্য। এটা আসলে ঠিক এর উল্টো একটি অপারেশন ডিজল্ভ করার জন্য চালানো হয়েছিল। অপারেশন টি ছিল “অপারেশন সাইক্লোন” যেটার মাধ্যমে তাদের অস্ত্র দেয়া হয়েছিল। প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করলেও রিকভারি রেইট তেমন সফলতার মুখ দেখেনি।

৬. অপারেশন ওয়াসটাবঃ
গুয়েতেমালার সাথে মস্কোর খুব ভাল সম্পর্ক প্রমান করে নিকারাগুয়ার সাথে যেন একটি সমস্যা সৃষ্টি করা যায় সেই চিন্তা থেকেই সিআইএ একটি ফেইক রাশিয়ান সাবমেরিন বানিয়ে নিকারাগুয়ার কাছাকাছি পাঠিয়ে দেয়া হয়। যেটি প্রমান হলে হয়তো তৎকালীন গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট গুজমেন কে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করা যাবে। সি আই এ এই অপারেশন টি সফল মনে করলেও এটি আসল উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি।

৫. ফনিক্স প্রোগ্রামঃ
সিআইএ, ইউ এস স্পেশাল ফোরস, অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনিং টিম, সাউথ ভিয়েতনাম সিকিউরিটি ফোরস যৌথভাবে ভিয়েতনাম কঙ্গো বাহিনীকে নিরস্ত্র করার জন্য অপারেশন ফনিক্স প্রোগ্রাম শুরু করেছিল। তবে সৈন্য দের আক্রমনের বদলে ওই যৌথ বাহিনী অই এলাকার মানুষদের অপহরণ করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। বলা হয়ে থাকে সাধারণ সিভিলিয়ানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হত, অত্যাচার করে মেরে ফেলা হত।

৪. প্রজেক্ট এমকে অফেনঃ
ইউএস প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং সিআইএ যৌথ ভাবে এই অভিযান চালায়। এটি মূলত তাদের হাতে আটককৃত ভিক টিম দের উপর বিভিন্ন প্রকার ড্রাগস আর টক্সিক্যাল পদার্থ প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল যে এর কার্যকারিতা কেমন।

৩. প্রজেক্ট রেজিস্টেন্সঃ
এটি মূলত একটি ডোমেস্টিক প্রজেক্ট ছিল যেটি এক্সিকিউট করত সিআইএ এর ডোমেস্টিক অপারেশন ডিভিশন (DOD)। মূলত রাষ্ট্রের ভিতরে সি এর এ এর পারসনেল বা তাদের পরিবারের উপর কোন থ্রেট আছে কিনা এটা জানার জন্যই এই প্রজেক্ট রেজিস্টেন্স।

২. স্টারগেইট প্রজেক্টঃ
স্টার গেইট প্রজেক্ট আসলে অনেকগুলা প্রজেক্টের একসাথে করা নাম যাকে বলা হত আম্ব্রেলা প্রজেক্ট কোড। এটার মাধ্যমে মিলিটারি কার্যক্রমের কারনে কারো উপর মানুষিক চাপ পড়ছে কিনা। অথবা কোন একটি অবস্থা দূর থেকে দেখে কিভাবে এর উপর জাজমেন্ট করা হবে এসব ঠিক মত বের করার জন্য এই প্রজেক্ট চালানো হয়।

১. অপারশন আইভি ভেলসঃ
অপারেশন আইভি বেলস হল ইউএস নেভি, সিআইএ, এনএসএ এর একটি যৌথ মিশন। যেটার কাজ ছিল কোল্ড ওয়ার পিরিয়ডে সোভিয়েত রাশিয়ার যত কমুনিকেশন লাইন ছিল তাতে গোপন ওয়্যার টেপ সংযুক্ত করা। রোনাল্ড পেলটন নামে এনএসএ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা যিনি অবসরে যাওয়ার তিনমাস আগেই চরম অর্থকষ্টে পরেন তিনি ১৯৮০ সালে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার এম্বেসি তে গিয়ে টাকার বিনিময়ে এই ইনফরমেশন বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে রাশিয়া সেট করা সেইসব ডিভাইস উদ্ধার করে। ১৯৮৫ সালে আমেরিকান সরকার রোনাল্ড পেলটনকে গ্রেফতার করে। ১৯৯৯ সালে রাশিয়ান সরকার তাদের গ্রেট পেট্রিওটিক ওয়ার মিউজিয়ামে সেই সব ডিভাইস মানুষজন দেখার জন্য জনসাধারণের সামনে নিয়ে আসে।

উপরের সবগুলা অপারেশন বিবেচনা করলে দেখা যাবে বেশীরভাগ অপারেশনের সাথে সিআইএ জড়িত। অর্থাৎ বলা চলে বিশ্ব অশান্তি সৃষ্টির মূলে খুব ভাল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই এজেন্সি টি। আল কায়েদা থেকে শুরু করে হালের আইসিস সৃষ্টির মূলেও বলা হয়ে থাকে সিআইএ জড়িত।

এবার পাঠকদের জন্য একটা কুইজ। অপারেশন ‘রেথ অব গড’ এর উপর নির্মিত ‘মিউনিখ’ মুভিটি যারা দেখেছেন তাদের কাছে জানতে চাচ্ছি সিনেমাটির কোন এক জায়গায় একজন মোসাদ এজেন্ট বাংলাদেশের কথা বলে থাকে। বলতে হবে কোন জায়গায় এবং কেন বলে?? :) :) :)

লেখাটির লিঙ্কঃ এইখানে ক্লিক করুন!!

বিদ্রঃ ভুল বানান মার্জনীয়। ভুল বানান পেলে কমেন্ট বক্সে লিখে দিলে খুশি হব।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×