সিভিল ৬৪(জি) ব্যাচের আমন্ত্রণে হঠাৎ করেই ০৭.০২.২০১৬ তারিখে ঘুরে এলাম, কুমিল্লা জেলা। ছাত্রদের সাথে চমৎকার একটি দিন কাঁটালাম। সাথে ছিল ঘোরা-ঘুরি, খাওয়া-দাওয়া, মজা করা, ফুটবল খেলা আর ছবি তোলা। প্রথমে গেলাম, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে। চলুন, ছবিগুলো দেখে নেয়া যাক।
০১। বিনম্র শ্রদ্ধা-০১
০২। বিনম্র শ্রদ্ধা-০২
০৩। বিনম্র শ্রদ্ধা-০৩
০৪। বিনম্র শ্রদ্ধা-০৪
০৫। বিনম্র শ্রদ্ধা-০৫
০৬। বার্মায় যুদ্ধ ১৯৪১-১৯৪৫
তারপর চলে এলাম, শালবন বিহারে। পাশেই ছিল, ময়ামতি জাদুঘর। কিন্তু সেদিন বন্ধ থাকার কারণে যেতে পারলাম না। এবার দেখে নেয়া যাক, শালবন বিহারের ভিতরের ছবিগুলো। বলে রাখা ভালো, বিহারে প্রবেশ করতে জনপ্রতি খরচ হবে বিশ টাকা।
০৭। শালবন বিহার-০১
০৮। শালবন বিহার-০২
০৯। শালবন বিহার-০৩
১০। শালবন বিহার-০৪
১১। শালবন বিহার-০৫
শালবন বিহারের বিপরীত পাশেই আছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। তবে মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছিল নাকি নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারি নাই। তাই মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে ছবি তুলতে পারা যায়নি। তবুও দূর থেকে যেক’টা তুলতে পেরেছি, তাই দিলাম।
১২। বিগ্রহ-০১
১৩। বিগ্রহ-০২
১৪। নির্মানাধীন মন্দিরের মডেল
এরপাশেই দ্বিতীয় তলাতে ছিল ছোট আরো একটি বৌদ্ধ মন্দির। এখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা হয়। তারই কিছু ছবি।
১৫। বিগ্রহ-০৩
১৬। ঘণ্টা
১৭। বিগ্রহ-০৪
খেলাধূলা আর একটু বিশ্রাম করে চলে আসি, ইটাখোলা মন্দির ও বিহার ঘুরতে। সেখানে একটি বৌদ্ধ বিগ্রহ আছে, যার উপরের অংশটুকু চুরি হয়ে গেছে। তাই এখন এটিকে লোহার বেড়ি দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এবার ইটাখোলা বিহারের ছবি।
১৮। ইটাখোলা বিহার
এরপর সেখান থেকে চলে আসি বার্ড, মানে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে। আমরা কোন পরিকল্পনা ছাড়া সেখানে গিয়েছিলাম। তাই ভিতরে প্রবেশ করতে অনুমতি লাগে, সে বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলাম। সেখানে যার সাথে কথা বললে অনুমতি পাওয়া যায়, তিনি তখন অনুপস্থিত। তাই সবাইকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। আমি একটু ঘুরেই চলে আসি। কারণ সবাইকে ছাড়া ঘুরতে খারাপ লাগছিল। দু'টো ছবি তোলা হয়েছিল।
১৯। ফুলের বাগান-০১
২০। ফুলের বাগান-০২
এসব ঘুরতে ঘুরতে প্রায় দুপুর তিনটার বেশি বেজে যায়। তাই সবাই মিলে একটি হোটেলে দুপুরের খাওয়া শেষ করে, হোটেলের বাহিরে কিছুক্ষণ বসে বেরিয়ে পড়ি, শিব ও চন্ডী মায়ের মন্দির তথা চন্ডীমুড়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙে মন্দিরে পৌঁছাতে একজন ছাড়া বাকি সবাই হাঁপিয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া করে সবার মাঝে একটু ঘুমঘুম ভাব আর ক্লান্তি চলে এসেছিল। তবে মন্দিরে গিয়ে সবাই সেসব একদম ভুলে গেল। কারণ অনেক উঁচুতে থাকা মন্দিরের পরিবেশ আর প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয আমাদের ক্লান্তি এক নিমিষেই দূর করে দেয়।
২১। মন্দির
২২। শিব মন্দির
২৩। চন্ডী মন্দির
মন্দিরে কিছুটা সময় অতিক্রম করে, মন্দিরে পাশেই টিলার মতো দু'টো উঁচু জায়গায় ঘুরতে যাই। উঁচু-নিচু রাস্তা, আমাদের মধ্যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি এনে দিয়েছিল। উপরের ঠান্ডা পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে। প্রকৃতির রূপ বান্দরবানের মতো সুন্দর না হলেও একদম খারাপ লাগেনি। সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম, জনশূন্য এরকম উঁচু টিলার শেষ প্রান্তে একটি চায়ের দোকান দেখে। কারণ দূর থেকে দেখতে একটি বসত বাড়ির মতো লাগছিল। যাবো কি যাবো না বলে যখন গেলাম, তখন খুব খুশি হয়েছি। কারণ তখন আমাদের চায়ের খুব দরকার ছিল। এই সেই চায়ের ঘর।
২৪। চায়ের ঘর
সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বসে চা খেলাম আর আড্ডা দিলাম। ইচ্ছে হচ্ছিল, আরো কিছুটা সময় কাঁটিয়ে দেই। কিন্তু সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বাস, ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবার পরিকল্পনা ছিল। তাই সবাই মিলে বাসে ফিরে গেলাম।
ভালো থেকো, কুমিল্লা। সবাইকে ধন্যবাদ।
♠♠ সকল ছবি নিজে সংগৃহীত।
পূর্বের ছবি ব্লগ সমূহ:
♦ ছবি ব্লগ-০১।
♦ ছবি ব্লগ-০৩। রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান।
♦ ঘুরে এলাম আহসান মঞ্জিল, ছবি ব্লগ-০৫।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩