জনাব চিমা মস্তকে হুল হুল হতাশার চুম্বন আর ব্যার্থতার তীব্র আলিঙ্গনে জীবনের প্রতি বিকর্ষন জনিত আকর্ষনে সিদ্ধান্ত নিল আত্মহুতি দিবে। ভেবে ভেবে রাত ভোর করে, পদ্মা সেতুর নকঁশার উপরে দাঁড়িয়ে, চোখ বন্ধ করে সিদ্ধান্ত নিল পৃথিবীকে গুড বাই জানাবে। শেষ বারের মতো নোংরা পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য দর্শনের জন্যে আঁখি নেত্র বৃত্তাকারে ঘুরালো। আটকে গেল এক অপার সৌন্দর্যে - দূরে বালুভূমিতে একটি ছেলে উচ্ছসিত ভাবে সূর্যোদয় দেখে লাফাইতেছে। জনাব হুল হুলের দর্শন হঠাৎ ভিন্ন রুপে ফ্লাশ করে বাক খেল - দুই হাত বিহীন একটি ছেলে, পরনে একটা হাফ প্যান্ট পরে সূর্য্যের উদয়ে যদি উচ্ছাসিত হতে পারে তাহলে আমি হুল হুল কেন জীবনে নতুন সূর্য উদয় করাতে পারবো না? আত্মহুতি কোন সমাধান হতে পারে না, এ যে বিরাট একটা ভুল, আফসুস !
নব বোধদয়ের সূর্য উদয় করার জন্য হুল হুল ছেলেটির কাছে ছুটে গেল, বুকের মাঝে ঝাঁপটে ধরে উষ্ণ কৃতজ্ঞতা জানালো – তুমি না থাকলে হয়তো আর কোন সকাল হতো না, তুমি না থাকলে সূর্যোদয় এতো মধুর লাগতো না, তুমি না থাকলে জীবনের মর্ম এতো কাছ থেকে দেখতাম না।
ধুর মিয়া কি কইবার লাগছেন, সূর্য দেইখা লাফানের কি আছে, হালার পিঁপড়ায় পাছায় কামড়াইছে, পারলে একটু চুলকে দেন। পিপঁড়ার কামড়ে সিরাম বিষ, পারলে একটু চুলকান পিলিজ !!
এ যাত্রায় হুল হুলের জীবন অবসান হইল না আবার পাছা চুলকানোর মাধ্যমে জীবন দর্শন বদলানো গেলো না। কারন জীবনের মূল্য কি তা সে জানে না। আমরা অনেকেই জানি না, খালি চুলকে যাই-একবার পাছায় আর একবার মাথায়, কোন কূল কিনারা নাই, ভাবতে ভালোবাসি তাই ভেবে যাই -
আমি যদি পন্য হতাম
ওজনানুপাতে একটা মূল্য পেতাম
আকর্ষনীয় মোড়কে জড়িয়ে
অতি যত্নে হিসেব কষে
বিক্রয় মূল্য দিতো ছাপে ।
প্রথমে কোন এক মহাজন এসে
অল্প কিছু লাভের আশে
কিনে রাখতো বাক্সে ভরে
পুনরায় আমায় বেঁচবে বলে ।
তারপর, কোন এক শুভ ক্ষনে
খুচরা বিক্রেতা নিবে কিনে
সাজিয়ে রাখবে তাকের মাঝে
পুনরায় আমায় বেচঁবে বলে ।
থাকতাম আমি পথ চেয়ে
আমার জন্য গ্রাহক আসবে
মূল্য দিয়ে কিনে নিয়ে
ছিলে, কেঁটে, লবন লাগাবে...
অবশেষে তৃপ্তির সাথে
পন্যটার জীবন যাবে হারিয়ে
ভাবছেন পন্যের সার্থকতা কি এখানে?
চোখ বুঝে দেখলাম ভেবে
ওর জীবনটা তাওতো একটা মূল্য পেয়েছে !!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৮