somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামের বিড়ম্বনায় কিছুটা বেকায়দায় (রম্য লেখা)

২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ নামকে বড় করে আবার নাম মানুষকে বড় করে। কেউ কেউ আদর করে নামকে ছোট করেও ডাকে যেমনঃ কামরুজ্জামান কাদির সংক্ষেপে কাকা আর জুলকার তানিম সংক্ষেপে হয় জুতা। আজকের লিখাটা মূলত সেরকম কিছু নামের বিড়ম্বনা নিয়ে যতটা বেকায়দা-

বিড়ম্বনা ১ – আফিসের নতুন ড্রাইভার নিয়ে কলিগের বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছি মাইক্রো বাস করে, পথি মধ্যে গাড়ির ষ্টার্ট বন্ধ। কি ব্যাপার গাড়ি বন্ধ হলো কেন? স্যার গাড়ির মনে হয় কোথাও সমস্যা হয়েছে, দাড়ান দেখতাছি। ধর্য্য চ্যুত হয়ে জিঙ্গেস করলাম- তুমি কি বুঝতে পারতেছ কোথায় প্রবলেম? জি স্যার গাড়ির একটা স্ক্রু ঢিলা হয়েছে। তুমি তো জানতে আজকে লং ড্রাইভে যেতে হবে, তুমি গাড়ি চেক করাওনি কেন? মেজাটা চরমে উঠে গেল, পাশে বসে থাকা বড় ভাইকে বললাম দেখছেন শালা কত বড় মফিজ, গাড়ি প্রপার চেক না করেই লং ড্রাইভে বের হইছে ! কথা শেষ না হতেই বুঝলাম আমি বেকায়দায় কারন যাকে বলতেছি তার নাম মফিজ ভাই ! অবশেষে স্ক্রু ঢিলা মাইক্রোটি আরেকটি মাইক্রোর সাথে বেধেঁ ফিরে আসি ঢাকাতে, পথি মধ্যে একটিবারও তাকাতে পারিনি মফিজ ভাইয়ের দিকে।

বিড়ম্বনা ২ – প্রয়াত চলচিত্র অভিনেতা দিলদার তার কৌতুক অভিনয়ের জন্য একসময় ব্যপক জনপ্রিয় ছিল। আমরা বন্ধুরাও তার বিশাল ভক্ত ছিলাম। বাস্তবে দিলদারের দেখা পেলাম নুরুল ইসলাম স্যারকে দেখে, অবিকল দিলদার তাই আড়ালে তাকে আমরা দিলদার স্যার বলেই ডাকতাম। অনেক কষ্টে ক্লাশে হাসি চেপে রাখতে হতো। কিন্তু আনোয়ার কোনদিন চেপে রাখতে পারেনি। ক্লাশের পড়া শিখে এসেও সে কোনদিন বলতে পারেনি। স্যারও একসময় বুঝল তাকে পড়া ধরে লাভ নেই তাই প্রতিদিন হে হে করে হেসে দুটো বেতের বাড়ি দিয়ে চলে যেতেন। কিন্তু একদিন স্যার আনোয়ারকে কি মনে করে পেঁপে ইংরেজি জিঙ্গেস করলো। আনোয়ার তার স্বভাবমতো হে হে করে হেসে ফেলল। স্যারও হে হে করে বলল -তুই পেঁপে দেখেসিস? জি স্যার দেখেছি, হে হে তুই পেঁপে খেয়েছিস? জি স্যার খেয়েছি, তাহলে হে হে পেঁপে ইংরেজি বলতে পারিস না কেন, বলেই দু ঘাঁ। আচ্ছা হে হে তুই একটা অনুবাদ কর – আমার একটা গরু আছে। স্যার, ইউ আর এ কাউ । পুরা ক্লাশ থ মেরে গেলাম, শালা বলে কি ! দূররা মারার মতো স্যারের বেত্রাঘাত-আই এম এ কাউ বলতে পারিস নাই, ইউ আর এ কাউ বললি কেন? ভুল হয়ে গেছে স্যার, আপনি কাউ না আপনি দিলদার! বেকায়দা, পুরা বেকায়দা ! সারা ক্লাশের কেউ সেদিন বেত্রাঘাত থেকে রক্ষা পেল না।

বিড়ম্বনা ৩- “ চিন্তা কর’ছ মাখন !” কথাটা বন্ধুরা মজা করে প্রায়ই বুলতাম। কিন্তু কথাটা এমন ভাবে রটে যাবে যা কেউ ভাবি নাই। প্রাইমারী স্কুলে হাফ প্যান্ট পড়া বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মুরুব্বিরাও কোন কিছু হলেই- “চিন্তা কর’ছ মাখন। যেন মাখনের চিন্তা করা ছাড়া আর কোন কাজ নাই, সারা রাজ্যের চিন্তার ইজারা নিয়েছে একাই !

মাখন চাচাও ব্যাপারটা একসময় লক্ষ্য করে চিন্তায় পড়ে গেলেন। আসলে ঘটনা কি ? সবাই তার অগোচরে কেন এই কথা বলে? বিহাইন্ড দ্যা সিন এ কারা? কথায় আছে না যেখানে রাতের ভয় সেখানে আন্ধকার হয়। সেদিনও বন্ধুদের আড্ডায় কথার প্রেক্ষিতে বলে ফেললাম “চিন্তা কর’ছ মাখন” কিন্তু কেউ লক্ষ্য করি নাই যে মাখন চাচা পিছনে দাঁড়িয়ে। আফসুস, দে দৌড়... শুধু শুনলাম- “মাখন কেন একা চিন্তা করবে, মাখনের এতো চিন্তা করার কি দরকার”। তারপর থেকেই মাখন চাচার গন্ধ নাকে আসলে অন্য পথে যেতাম ঘুড়ে ।

আসলে আমাদের সবার ই চিন্তা করে কাথা বলা চাই, পিছনে না আবার বেকায়দায় পড়ে যাই !
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:০৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×