প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার জন্য কাক কেন মানুষকূল বেছে নেয় তা কখনোই আমার মাথায় আসে না। মানুষকূল না হয় স্বর্গে থাকা কালে, গন্দমফল খাওয়া্র ভুলে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে এই মর্তে। কারন প্রকৃ্তির ডাকে সারা দিতে হবে। বুঝলাম পৃথিবী হলো প্রকৃ্তির ডাকে সারা দেয়ার জায়গা, হয়তো স্বর্গে কোন সুব্যাবস্তা নাই। তাই বলে কাক... মানুষকূল... প্রকৃতি... কোনভাবেই মাথায় আসে না। এইবার বলি মূল ঘটনা -
ইমরান কাক ডাকা সকালে ঘুম থেকে উঠলো কাকের কর্কশ কা কা ডাকে। প্রকৃ্তির সকল কাজ সেরে, এক খানা প্যান্ট পরে ছুটলো DBBL এর লিখিত পরীক্ষা দিতে। হাতে তার কখনো টাইম মেশিন শোভা পায় নাই । টাইম নিয়ে তার তেমন কোন মাথা ব্যাথাও নাই ।কারন সময় তার আপন গতিতেই চলে, পরের গতিতে নয় । মোবাইল এ মাঝে মাঝে ভূল করে দু একবার সময় দেখে, তাও একান্ত প্রয়োজনে । সে দিনও সময় নিয়ে তার তেমন কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। তাই রিক্সায় চড়ে হেলে দুলে গিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাল । হেলে দুলে না যেয়ে উপায়ও নাই কারন আমাদের দেশের রাস্তাগুলো ওভাবেই বানানো। যাই হোক, পরীক্ষা দেওয়ার আগে তার মনে হলো এক কাপ চা আর তার সাথে একটা টা খেলে মন্দ হয় না । বৃটিশরা ফ্রি ফ্রি চা খাওয়াইয়া এমন একটা বদ অভ্যাস বানাইয়া গেছে যে, চা না খেলে এখন আর ঘুমই ভাঙ্গে না।
মনের সুখে চোখ দুটো বন্দ করে ইমরান গরম চায়ে চুমুক দিল আর উপর থেকে কাক মামাও এক পশলা গরম গরম ঢেলে দিল । পরবি তো পর তাও আবার কিনা চায়ের ই কাপে, মেজাজটা কি আর ঠিক থাকে? দাঁতে দাঁত ঘষে উপরের দিকে তাকিয়ে শুধু বললো "শালা, যদি একবার সুযোগ পাইতাম, তাইলে তুকে বুঝাইতাম, গাছের ডালে বসে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে কেমন মজা লাগে !! "
মেজাজটা খারাপ করে এ্যাডমিট কার্ডটা হাতে নিয়ে গেটে ঢুকতেই দারোয়ান জিজ্গেস করলো " মামা কই যান?" এ্যাডমিট কার্ডটা দেখিয়ে বললো "কই আর যাবো, পরীক্ষা দিতে, তোমার কোন সমস্যা আছে?" "অকি মামা আন্নের কাছে কি ঘড়ি নাই, পরীক্ষা তো আধাঘন্টা আগে শ্যাষ অইয়া গ্যাছে" ... আমি যেন চিড়িয়াখানার চিড়িয়া, দারোয়ান হালায় একটা CLOSE-UP হাসি দিলো ৩২ টা দাঁত বার কইরা। রাগে আর দুঃখে ইমরানের চোখ আবারও বন্দ হইয়া আসে, আবারও তার কানে ভাসে সকালের বেলার সেই ঘুম ভাঙ্গা ডাক... কা কা কা... আবারও সে পায় সেই গরম আনুভব... ওওওহ সিটটটটট !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৭