আঙ্গুর
আঙ্গুরের বসত এখন ও সেখানে
ঘন-কুয়াশা-ঝরা গাঢ় এক রাত্তিরে
ষাট বছর আগে যেখানে জন্মেছিলো
শ্বেতপালকের বক ওড়া বাঁশ বাগানের নিচে
শনের ছাউনি তলে কুঁড়েঘরে
পেরিয়েছে শৈশব কৈশোরের চৌকাট
উদ্ভিন্ন-যৌবনা কামিনী হয়ে ওঠা
পৌরুষী দৃষ্টিগুলোর কামুক চাহনির পরে
সময়ের নাও কিছুদূর বয়ে গেলে
পিতা মাতার অন্তিম নিশ্বাস
সব কিছুরই সাক্ষি পোড়া দুই চোখ
দিনে দিনে যে চোখ রফ্ত করেছে মানুষ-পড়া
সংসারের চড়ুইভাতি পাতা হয়েছিলো
তিন চার পুরুষের সাথে
ললাট লিখনে মৃত্যু হলো কারো
অথবা কারো তালাক নামের তিনটি শব্দ
দু’টি জীবনের মাঝে আনে চির বিচ্ছেদ
অতঃপর বার বার ফিরে আসা
কুঁড়েঘরের পৈতৃক দুর্বা বিছানো আঙ্গিনায়
দু’টি শিমলতা নাগরানীর মতো
একে অপরের সাথে পেঁচিয়ে উঠেছে মাচাঙ্গে
ছেদ বিহীন আজন্ম সাথি যেনো
লাল সাদা শিমফুল পরীদের নোলক
বেড়ার ছাউনিতে একটি লকলকে কুমড়ো লতা
ক’টি মুরগী ছানার কুক কুক শব্দ
যাদের পেছনে কাটে জীবনের ক্ষনগুলো
কেটে যায় পৃথিবীর আবর্তনে
দিন শেষে রাত, ফের রাত্রী শেষে ঊষা
কখনো দু’মুটো খেয়ে কখনো উপবাসে