গভীর রাতে হলে ফিরি,
মাছের শরীরের ওম নিয়ে শুয়ে আছে শীত আমার বিছানায়।
আমি তাকে শুয়ে থাকতে দিই।
টেবিলের সাদা আলো জ্বালাই।
জ্বলে কেমন নিঃশব্দে।
টেনে নিই কাগজ, ম্যাটাডোর হাইস্কুল কলম।
মাথার ভেতরে বইছে ঢেউ।
ঢেউয়ের মাথায় ফসফরাস।
চিন্তারা বাড়ে, সন্ধ্যার মতন বিষণ্ণ করে যায়...
কী এক অদ্ভুত সন্ধ্যা...
সেই পলাতকা প্রেম আমার। আহ!
ঘন্টা দুই পেছনে চলে যায় সময়।
চাদর জড়ানো রিকশাওয়ালার পা প্যাডেলের গতি বাড়াতে পারেনা। কেমন জবুথবু...
মগবাজার মোড় পাড় হই সন্ধ্যার শীতল বাতাসে।
হর্ন, জ্যাম বড় ক্লান্ত হয়ে আছে শহরের গন্ধে...
সন্ধ্যে শেষ হয়ে গেছে কখন। নয়াটোলা, চেয়ারম্যান গলি, নীল রঙা দালান।
প্রাক্তন প্রেমিকার উষ্ণ অভ্যর্থনা, তাদের আটতলা নতুন বাড়ি..
নুডুলস, ছোলা মুড়ি আর চা,
গল্পে গল্পে কেটে যায় সময়...
এইরকম সন্ধ্যে এই শহরে আসলে মানুষ কেন বিষণ্ণ হবে না? কোন উত্তর আছে?