মনে পড়ে কি তোমার অরুণিমা,
রক্তিম ঠোঁটের নিচে কালো বিন্দুর মত সেই ছোট্ট তিলটার কথা?
তোমাকে ভাল লাগার প্রথম চিহ্ন ছিল যে ওটাই...
খুব যত্ন করে আগলে রেখো ওটাকে,
কোন একদিন তোমাকে নয়...
হয়তো ঐ তিলটাই আমি চেয়ে বসবো।
ফিরিয়ে দিতে পারবে না কিন্তু সেদিন আমাকে,
তোমাকে কাছে পাওয়ার ঐ একটাই পথ যে জানা আছে আমার!
ভালোবাসার এই মহা তীর্থ ভ্রমণে-
যদি প্রত্যাখ্যাত হই কোনদিন কোনভাবে,
তাহলে সেদিন আমার কেবল একটাই চাওয়া থাকবে তোমার কাছে!
হয় আমার হও, নাহলে ঐ তিলটা আমাকে দিয়ে দাও...
ফিরিয়ে দিতে পারবে না কিন্তু সেদিন আমাকে!
তুমি সুন্দরী হলে ঐ তিলটা তোমার সৌন্দর্যের ধারক,
তুমি রূপবতী হলে ঐ তিলটাই তোমার রূপের জৌলুষ!
আমি তোমাকে নয় ঐ তিলটাকে চাই...
আমার প্রথম পছন্দ সে তো কেবল আমারই প্রাপ্য,
তোমার কাছে বাড়তি চাওয়া বলতে আমার আর কিছু নাই!!
পুনশ্চঃ- স্কুল জীবনে সনেট কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে ‘জঘন্ন্য কবি’ বলার অপরাধে বাংলা স্যারের কাছে অসম্ভব রকমের পিটানী খেয়ে বুঝেছিলাম, কবিরা যাই লিখুক না কেন আম জনতার দ্বায়িত্ব হল সেটা কেবল পড়া; সমালোচনা করা নয়। সেই থেকে আজ অবধি আমি কবি বা কবিতা, চাইলেও কোনটিকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারি না।
আসলে যখনই সমালোচনা করতে যাই, তখনই চোখের সামনে সেই মাইরের দৃশ্যটা এমনভাবে ভেসে ওঠে যে; সাথে সাথে গায়ে কাঁপুনি দিয়া জ্বর আসে। মনেহয় কবিকে খারাপ বলার অপরাধে এই বুঝি বাংলা স্যার হুঙ্কার দিয়ে বেত উচিয়ে আমাকে পিটাইতে আসতেছে। বড়ই দুশ্চিন্তার কথা!
তবে কই জানি পড়ছিলাম, সাহিত্য জগতের সব থেকে কঠিন সৃষ্টি হইল কবিতা। কারণ কবিতা এমন একটা জিনিস, যা খুব অল্প কথার মাধ্যমে পাঠককে অনেক বেশি কিছু বুঝানো লাগে। যেটা চাইলেও সবাই পারে না।আর আমি সেই পারে না দলেরই একজন অতিশয় নগন্য সদস্য।
তবে ব্লগে আমার একজন গুণমুগ্ধ পাঠক আছেন। আমি যাই লিখি না কেন, সেটাই নাকি তার কাছে অনেক ভাল লাগে। যদিও তিনি যে একটু বাড়িয়ে বলেন সেটা হয়তো সকলেরই জানা। তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনি অনেকবার করে রিকোয়েস্ট করতেছেন, আমি যেন কিছু একটা লিখি। তাকে কথা দিয়ে ছিলাম কিছু একটা লিখবো। কিন্তু কি লিখবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
যদিও মাথার মধ্যে বেশ কয়েকটা আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু সেগুলো লিখতে অনেক সময়ের দরকার। যেটা আপাতত আমার কাছে একদমই নেই। তবে কথা যখন দিয়েছি তখন কিছু তো একটা লিখতেই হবে। অতএব হরমন যুক্ত পল্টি মুরগী খাওয়া মাথাটাকে ঝাঁকিয়ে কি লিখবো কি লিখবো করতে করতে শেষ পর্যন্ত এইটাই লিখে ফেললাম।
কেমন হয়েছে জানি না! হয়তো খুব জঘন্ন্য হয়েছে পড়তে। তথাপি, ব্লগে এটাই আমার প্রথম কবিতা পোস্ট সেই খাতিরেও অন্তত সবার কাছে একটা ফাস্ট কনসেশান তো পেতেই পারি...
আর যার অনুপ্রেরণাতে এই কবিতার জন্ম হল, সেটা যদি তাকে উৎসর্গ করতে না পারি তাহলে কি হয় বলেন? অতএব নীলপরি, এই কবিতা কেবলমাত্র আপনাকেই উৎসর্গ করা হলো। আশাকরি খারাপ লাগলেও সেটা নিজগুনে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারণে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! ভাল থাকবেন সবাই! শুভ কামনা রইলো সবার জন্য...