ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী যৌন হয়রাণী ঘটনায় অভিযুক্ত শিশির কুমার দে কে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা প্রমান হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ৪ ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিশির কুমার দে, কর্তৃক যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন। ঐ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি ছাত্রীদের অভিযোগ সঠিক বলিয়া তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।
কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখান করেন।
যার ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পূর্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ইতিমধ্যে ঘটনার প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও ছাত্রীরা কোন সূ-বিচার না পাওয়ায় গত ৭ ই জুলাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। তখন সুষ্ঠ বিচারের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।
বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ হলে তার নির্দেশে বরিশাল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি তদন্ত করেন। সকল তদন্ত কমিটির তদন্তের সত্যতা প্রমান হওয়ায় বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সহকারী শিক্ষক শিশির কুমার দে কে বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। যার বরখাস্ত পত্র নং- ৮৯/১২(১১)গ/১১, তারিখ ২৩/০৭/১১।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহসান হাবীব পাটওয়ারী জানান অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শিশির কুমার দের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন কল্পে তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকে বহিস্কারের সংবাদ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে পৌছালে তারা অভিযুক্ত শিক্ষক শিশিরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
সোর্সঃView this link