খবরের শিরোনাম যখন এমন, “চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে ১০ কোটি টাকার ইয়াবা আটক”-তখন আতঙ্ক লাগে। প্রশাসন এবং মিডিয়া কি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাদকের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে? মাদক তা সে যে কোন মূল্যেই বিক্রি হোক না কেন, তা রাষ্ট্র এবং প্রশাসন দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে না। কিন্তু তাই করা হচ্ছে। এতে মুনাফালোভী মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাবে, নৈতিকতার ও মানবিকতার কোন তোয়াক্কা না করেই অতি মুনাফার হিসাব কষে অনেকেই জড়িয়ে পড়বে এই অবৈধ মাদক ব্যবসায়।
পুলিশ প্রশাসন হয়তো টাকার অংকে বিচার করে নিজেদের মোটাদাগে নিজেদের সাফল্যকে উজ্জল করছে; কিন্তু মিডিয়া কি করছে? তারা কি বিষয়টি ভেবে দেখছে না, তারা যে সংবাদ পরিবেশন করছে তা যে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে সে ব্যপারে কে তাদের স্মরণ করিয়ে দেবে? তারাই তো তৃতীয় নয়নের কাজ করবেন।
অনেকে বলে থাকবেন তবে কিভাবে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত? হ্যাঁ, মাদকের সংখ্যা উল্লেখ করাই তো যথেষ্ট। সংবাদের মাদকের সংখ্যা, পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাক্ষাতকার, মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব্ সম্পর্কে চিকিৎসকের অভিমত, সমাজ বিজ্ঞানীদের সাক্ষাতকার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের অভিমত ইত্যাদি প্রতিটি সংবাদের সাথে বারবার প্রকাশ ও প্রচার করার প্রয়োজন রয়েছে। যা ঐ টাকার অংকে মাদকের মুল্য নির্ধারণ করার চেয়ে ঢের বেশি জরুরী।
সুতরাং এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় যে, মাদকের সংবাদ প্রকাশে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়া টাকার অংকে পরিমান প্রকাশ না করে সংখ্যা প্রকাশ এবং সেই সাথে বারবার মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের যুবসমাজকে সচেতন করবেন।