গণতন্ত্র চর্চার অংশ হিসেবে কিছুদিন বিরতিতে এবার শুরু হয়ে গেছে হরতাল । দেশের মানুষ চায়, নাকি চায় না তার উপর গুরুত্ব না রেখেই যেই বিরোধী দলে থাকে গণতন্ত্র চর্চার ফল হিসেবে দেশবাসীকে কেবল হরতাল ই ই দিয়ে যায়। হরতাল কেবল ক্ষতিই ডেকে আনে , দেশের পর্যটনে ক্ষতির কিছু দিক এই তুলে দিলাম , ,
২০১৩ সালের অক্টোবর মাস শেষ হয়ে নভেম্বরের দিকে। অক্টোবর থেকে মার্চ হল পর্যটনের পিক সময়। আর বাকি মাস গুলোতে হোটেল মোটেল গুলো প্রায় খালি থাকে ( কিছু বিশেষ এলাকা বাদে)। বছরের শেষ কক্সবাজার,কুয়াকাটা, রাঙামাটি, বান্দরবান সহ ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি এলাকাগুলোতে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটে যা অকল্পনীয়
এই ছবিটিই দেখুন
কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ এবং লাগাতার হরতালের জন্য মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়ছে।
অনেকেই পরিবার পরিজন অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছেন যেগুলো বাতিল করতে হচ্ছে। হোটেল মালিকদের হচ্ছে ক্ষতি। অক্টোবর থেকে মার্চ বিশেষ করে কক্সবাজার মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে, এবার আর হয়তো এমন হবে না।
গত রোজার ঈদের আগেই ঘোষণা হয়ে যায় ঈদের পর হরতাল। বেড়াতে যাওয়া তো দুরের কথা মানুষ দেশের বাড়িতে ঈদও করতে যেতে পারে নি।
বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াবের সভাপতি হাসান মনসুর সহিংস রাজনীতি পরিস্থিতির কারণে এ শিল্পের সর্বনাশের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত পনের বছরের মধ্যে পর্যটন শিল্পে এরকম খারাপ সময় আর আসেনি।
>> পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার বিদেশি পর্যটক এসেছেন। অথচ, গত বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল।
>> যমুনা রিসোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার আগে তাদের রিসোর্টে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ জন বিদেশি পর্যটক থাকার জন্য বুকিং দিতেন। এটা কমতে কমতে এখন শূন্যের কোটায় এসেছে।
>> মার্চ মাসে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭৯ লাখ ৭ হাজার টাকা। আর এ বছর মার্চে এ খাতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা
>> ২৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাতকানিয়ায়-লোহাগাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক ৬ দিন ধরে আটকা পড়ে। পর্যটকদের ভোগান্তির এই খবর দেশব্যাপী আলোচিত হয়। এ ঘটনার পর বিরূপ প্রভাব পড়ে পর্যটন শিল্পে।
২০১০ সালে দেশে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা গুলোতে সরকারি পর্যটন কোম্পানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যটন কোম্পানি গুলো অংশ নিচ্ছে। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা আমাদের দেশের নামটাই এখনও জানে না , জানলেও অনেকে আবার ভারতের অংশ মনে করে, , পর্যটনের মাধ্যমে যখন দেশ বিশ্ব দরবারে পথচলার একটি নতুন পথ পাচ্ছে তখন তা বার বার রুদ্ধ হচ্ছে হারতালের মাধ্যমে। চীন ও ইতালি থেকে প্রতি মাসে অনেক পর্যটক বাংলাদেশে আসে কিন্তু এই বছর তাদের সংখ্যা কমে গেছে।
ছোট একটি ঘটনা দিয়ে ইতি টানছি :
ব্লগার অরফিয়াস ভাইকে অনেকই চিনেন। ভ্রমণ পাগল একজন মানুষ এবং তার একটি ট্যুরিজম কোম্পানি আছে । কিছুদিন আগে এক কানাডিয়ান দম্পতি এসেছেন বাংলাদেশ ঘুরতে কিন্তু তারা বুঝতে পারল কিছু গরবল আছে , , ভাই কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব খোলাসা করে বলেন , এবং তাদের অভয় দেন যে সমস্যা নেই , আমরা গ্রামে বেড়াতে যাই সেখানকার খেতে খাওয়া মানুষেরা হরতালের ধার ধারে না, সুন্দরবন-৮ লঞ্চ করে তারা রউনা হলেন বরিশালের দিকে।
সকল রাজনীতিবিদের নিকট আকুল আবেদন হরতাল দিয়ে দেশটাকে আর ধ্বংস করবেন না। ধন্যবাদ
>> বানান ভুল ও গুরুচণ্ডালী দোষ মার্জনা করবেন
>> সকল তথ্য সংগৃহীত