ঘুম থেকে উঠেই একটি সুন্দর সকাল কে না চায় বলুন? বিশেষ করে ছুটির দিনের সকাল গুলো। আর আপনার পাশে যদি থাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটি, তাহলে তো সকালটা অবশ্যই রোমান্টিক মুডের হওয়া চাই। অনেকেই হয়তো ভাবছেন সকালের আবার রোমান্টিকতা কী! সকালটা তো ব্যস্ততার সময়। প্রতিদিন সকালে উঠেই তো নাস্তা বানানো, অফিসে যাওয়া কিংবা বাচ্চাকে স্কুলে নেয়ার ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। ছুটির দিনেও কি কাজ কিছু কম থাকে? এর মধ্যে রোমান্টিক হওয়ার সময় কোথায়?খুব বেশি কিছুই করতে হয় না একটি সকালকে রোমান্টিক করে তুলতে। প্রয়োজন শুধু একটু ইচ্ছা শক্তি ও ভালোবাসার। সকালটা রোমান্টিক হলে সারাদিনের কাজের উপর এর প্রভাব পড়বে। সুন্দর একটি ভালোবাসাপূর্ণ সকাল শুরু করলে সারাদিন আপনার মন ভালো থাকবে এবং কাজে কর্মে উৎসাহ বাড়বে। আসুন দেখে নেয়া যাক সকালটাকে রোমান্টিক করে তোলার ৪টি সহজ উপায়।
আলিঙ্গন করুন
ভাবছেন এক সঙ্গেই তো ঘুমাচ্ছেন প্রতিদিন সঙ্গীর সাথে, তাহলে আবার আলাদা ভাবে সকালে জড়িয়ে ধরার প্রয়োজন কী… তাই না? সকাল বেলা এমনিতেই বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না। আর তাই ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানায় যতক্ষন থাকবেন সেই সময়টুকুকে রোমান্টিক করে তুলুন। সকাল সকাল আপনার সঙ্গীটিকে ভালোবেসে আলিঙ্গন করে ঘুম থেকে ওঠান। সকাল বেলার একটুখানি ভালোবাসা বিনিময়ে দুজনের সম্পর্ক রোমান্টিক থাকবে চিরকাল।
পছন্দের গান ছাড়ুন
সকাল বেলা গান শোনার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই দুজনে মিলে চা কিংবা কফি খেতে খেতে দুজনের প্রিয় কোনো গান শুনুন। তবে গানটা অবশ্যই হালকা ধরণের রোমান্টিক গান হতে হবে। গানের বদলে শুধু মিউজিকও শুনতে পারেন। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বিছানায় বসে দুজনে দুই কাপ চা/কফি নিয়ে গান শুনে সময় কাটালে সারাদিন বেশ ভালো থাকবে মন।
তৈরী করুন পছন্দের নাস্তা
স্ত্রীরা সকালের নাস্তা বানানোর সময় সঙ্গীর পছন্দের দিকে গুরুত্ব দিন। আপনার সঙ্গীটি কি খেতে ভালোবাসেন কিংবা তাঁর কি খাওয়া উচিত সেটা সব সময় মাথায় রেখে নাস্তা তৈরী করুন। নিয়মিত একই ধরণের একঘেয়ে নাস্তা না বানিয়ে চেষ্টা করুন খাবারে বৈচিত্র্য আনতে। মাঝে মাঝে নাস্তাটা সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। নাস্তার উপর সস দিয়ে এঁকেই জানিয়ে দিতে পারেন ভালোবাসার কথা। আজকাল অনেক স্বামীই স্ত্রীকে সাহায্য করেন ঘরের কাজে। ছুটির দিনে স্বামীরাও তাই সাহায্য করতে পারেন ভালোবাসার নারীকে। দেখবেন খুনসুটি করতে করতে চমৎকার একটা নাস্তা পর্ব অতিবাহিত করা যাবে।
দুজনে হেঁটে আসুন পার্ক থেকে
আপনার বাসার আশে পাশে যদি হাঁটার সুন্দর কোনো জায়গা কিংবা পার্ক থাকে তাহলে দুজনে মিলে ছুটির সকালে কিছুক্ষন হেঁটে আসুন। সম্ভব হলে রোজই যান। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে হাঁটলে দুজনে দুজনকে কিছুটা সময়ও দেয়া হয় আবার শরীরের বেশ কিছু ক্যালোরিও কমে। তাছাড়া সকালে হাঁটার ফাকে পার্কের সবুজ গাছপালা আর সকালের রোদে মনটাও বেশ ভালো হয়ে যায়। হাঁটার ফাঁকে পার্কের বেঞ্চে বসে দুজনে কিছুক্ষন গল্পও করে নিতে পারেন, সেরে নিতে পারেন সংসারের আলাপ।