বাবু ভাই-এর সাথে আমার পরিচয় খুব বেশি দিনের না। ২০১১-তে আমার বন্ধু খালেদ সাইফুল্লাহ্, ঢাকা সাইক্লিং ক্লাব-এর প্রয়াত সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম মাসুম এবং আমি এই চারজন এক সাথে ইফতারি করার সময় পরিচয়। বাবু ভাই এভারেষ্ট-এর সাথে জড়িত বিধায় মুসা ইব্রাহীম এর কথা উঠল - বাবু ভাই খুব আস্থার সাথে বলল মুসা নেপাল থেকে স্যাটেলাইট ফোন দিয়া গুটি কয়েক ব্যক্তির সাথে কথা বলছিল তাদের ভিতর উনিও একজন যার সাথে মুসা কথা হয়েছিল। বাবু ভাই এখনও বলেনাই মুসা এভারেষ্ট সামিট করে নাই। কিন্তু উনি বলছে অন্য পর্বতগুলোর কথা যেগুলেতে বাবু ভাই নিজে ছিল লাংসিসারি যেটার সনদ সে নিতে চায়নাই যেহেতু প্রতারনা হয়েছে। উনি ’চুলু ওয়েস্ট’ আভিযানের প্রতারনা তুলে ধরেছে।
এবার আসি উনার বেকারত্ব-র কথায়-----
২০১২ তে আমি বাবু ভাই এর কাছে ক্যামেরা শিখতে ইচ্ছা পোষন করলাম। উনাকে ফোন দিলাম উনি শিখাতে রাজি হলো। আমি বললাম কিছু মনে করবেন না ভাই কত টাকা দিতে হবে। উনি বলল আসো দেখা করো। আমি ছবির হাট-এ গিয়ে দেখা করলাম। উনার সাথে কথা হলো শিখার তারিখ ও সময় নিলাম। টাকার কথা বলতে অন্য দিকে চোখ ঘুরাইয়া ফেলল। আসার সময় আমার বন্ধু মনা'র সাথে দেখা হলো ও ভ্রমন বাংলাদেশের সেক্রেটারি। নির্ধারিত দিনে ক্লাস করলাম পকেটে ব্যাংক কার্ড ও টাকা সাথে নিয়ে গেলাম। অসাধারন ক্লাস করলাম। আমি নিজে ডিজাইনার তাই আমিও খুব মনোযোগি ছাত্র। ক্লাস শেষে বাবু ভাই-কে টাকা দিতে চাইলাম নিতে রাজি হইলনা। আমার মাথায় ছিল ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা দিতে হবে কিন্তু উনি কোন টাকা নিলনা। আমি খুব অবাক এবং বিরক্ত টাকা নেয়না কেন। পরে বুঝলাম মানুষ-কে শিখানো তার নেশা যা টাকার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূরর্ন তার কাছে। তার কিছু দিন পর অফিস-এর কাজে থাইল্যান্ড এবং জাপান চলে যাই। এর পর আর ক্লাস করা হয়নাই।
কাল এটিএন-এ মুন্নি সাহার অনুষ্টানে যেভাবে বাবু ভাই এর সাথে আচরন করা হইল খুব কষ্ট পাইলাম। মুসা আর অন্যরা উনাকে বেকার বললেন। আমার প্রশ্ন উনি বেকার হইলে কি? বাবু ভাই-এর সাথে যাইয়া পর্বত-এর চূড়ায় না উইঠা শুধু সার্টিফিকেট নিয়া দেশের মানুষরে বোকা বানাইয়া মজা লুটবেন আর উনি সত্য বলতে পারবেনা। বেকার হইলে কি সত্য বলা যাবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯