বাংলা নিউজ ২৪ এর রিপোর্ট:
বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ায় ঢাকা হুমকি দিয়েছে এ চুক্তি না হলে ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হবে না।
ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার রজিত মিত্রকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে তলব করে এ কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বাংলানিউজ ২৪ কে জানান: তিস্তা চুক্তি না হলে ট্রানজিট নিয়ে সম্মতিপত্র স্বাক্ষরে বাংলাদেশ তার অনাগ্রহের কথা হাইকমিশনারকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস নিজ এ প্রসঙ্গে বাংলা নিউজ ২৪ কে বলেন: ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিলো। তাতে আমরা সন্তুষ্ট না হয়েই সামনাসামনি কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি।
প্রসঙ্গত, তিস্তা চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায় যখন দেখা গেলো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সফরসঙ্গী হিসেবে সেদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমান বানসাল আসেন নি।
তিস্তা নদীর পানিবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোটামুটি একটা সমাধানে দুই পক্ষ আসার চেষ্টা করে আসছে। তবে শেষ মূহুর্তে তাতে বাদ সাধেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মূলত তার প্রতিবাদের মুখেই তিস্তা চুক্তি ভেস্তে গেছে।
রিয়েল টাইম নিউজ নেটওয়ার্ক এর রিপোর্ট:
ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- বহুল আলোচিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থানে সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ। তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে ভারত সরকারের পাঠানো লিখিত ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্তারকে মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়।
এ সময় তাকে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস জানান, ‘ভারতের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ। তিস্তার চুক্তি না হলে ট্রানজিট ইস্যুতে বাংলাদেশ কোন সিদ্ধান্ত দেবে না।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পর মনমোহনের সফরে সেদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমার বানশাল ঢাকায় না আসায় তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় বেগ পায়।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভী সাংবাদিকদের জানান, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়ে গেলো।
তবে পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এখনো আশায় বুক বাধছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৫টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ৩০ মিনিট একান্তে বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে দুদিনের সফরে ঢাকা আসেন মনমোহন সিং।
প্রথম আলোর রিপোর্ট:
তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই বাতিল হওয়ায় ট্রানজিটের সম্মতিপত্রে সই করছে না বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রজিত মিত্তিরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তিনি মন্ত্রণালয়কে জানান, প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের এ সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। তবে শিগগিরই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনারের এ বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ট্রানজিটের সম্মতিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্ত হয়।
তথ্যসূত্র: রিয়েল টাইম নিউজ নেটওয়ার্ক
তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ ২৪
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮