আজ আমাদের খুলনায় হয়ে গেলো বহুল আলোচিত মেয়র নির্বাচন যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থী বেশ ভালো ব্যাবধানে জয়লাভ করেছেন। যদিও প্রচারণা শুরুর আগে আওয়ামীলীগের নিজস্ব জরিপ বলছিলো তারাপথ জেতার মত পজিশনে নেই। তারপর শুরু হলো প্রচারণারর ঝড়। আমার বেশ কিছু ঠিকাদার বন্ধুরা যখন ভোট চাইতে আসলো তখন জানতে পারলাম তালুকদার আব্দুল খালেককে জিতিয়ে আনতে না পারলে তাদের বিল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা ভোট চাইতে এসেছে। এরপর আসলো খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নী ডাক্তাররা। এভাবে একে একে গোপালগন্জ সমিতি, রাজশাহীর সাবেক মেয়র, তেরখাদা সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা সমিতি ইত্যাদি ইত্যাদি আসতে লাগলো। দৈনিক পাঁচ থেকে সাতটা গ্রুপ আসতে লাগলো ভোটের জন্য। একসময় প্রচারণা শেষ, ভোটের আগের দিন শুরু হলো টাকার খেলা। এতদিন শুধু শুনেছি ভোটের আগেরদিন টাকা ছড়ানো হয়, এবার নিজ চোখে দেখলাম। আমি নিজেও অফার পেয়েছিলাম।
এত কিছুর পরও আওয়ামীলীগ জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত ছিলো বলে মনে হয় না। তাই আসল খেলা শুরু হলো আজ সকালে। প্রশাসন থেকে টিপস দেয়া হলো ১ ঘন্টার জন্য ফ্রী স্টাইলে সিল মারার সুযোগ দেয়া হবে প্রতিটি কেন্দ্রে। হলোও তাই।
আসলে আওয়ামীলীগ পরাজয় হলে আমি অবাক হতাম। কারণ যেভাবে ক্ষমতার ব্যবহার, অপজিশনকে প্রশাসন দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা, ফ্রী স্টাইলে টাকা বিলানো, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ১ ঘন্টার ফ্রী স্টাইল সিল মারার সুযোগ পেয়েও না জিততে পারা আসলেই একটি ব্যর্থতা। ফ্রী স্টাইলে সিল মারার ঘটনাগুলো ইউটিউবে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
যাই হোক ভালোই ভালোই ভোট শেষ হয়েছে এর জন্য আলহামদুলিল্লাহ ☺☺।