পরিবেশনা শিল্প ‘দেশ’ এর একটি দৃশ্য
কোন সুপারম্যান কিংবা ম্যাজিশিয়ানের ভেলকি নয়, গিয়েছিলাম একজন মেধাবী আর পরিশীলিত শিল্পীর উপস্থাপনায় নিমজ্জিত হতে। আকরাম খান নিবেদন করলেন ‘দেশ’। দিনটি ছিল ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ঠাসা মানুষ তাঁর অসামান্য শারীরিকভাষা দর্শনে নিমগ্ন হয়ে রইলেন।
পরিবেশনা শিল্প ‘দেশ’ এর একটি দৃশ্য
সম্ভবত আত্মজীবনকেই নানামাত্রায় শিল্পের অভিজ্ঞানরূপে হাজির করেছেন তিনি এই প্রযোজনায়। শিল্পী নিজেকে ছাড়া আর কাকে উপস্থাপন করবেন? অপর যাকে মেলে ধরা হয় সেওতো স্রষ্টার ভেতরে জারিত হয়ে তাঁরই বিবর্ধনরূপে পৃথক অবয়ব নিয়ে আবির্ভূত হয়। আকরামও তাই করলেন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাই বলে কি সেসব আরোপিত মনে হয়েছে? একটুও না। নিজস্ব দক্ষতার সঙ্গে প্রাযুক্তিক কৌশলগুলোকে একীভূত করে নির্মিত ফিউশনকে যখন অভেদ করে তুলতে পেরেছেন, তখন মানতেই হবে শিল্পটি তবে রচিত হয়েছে।
পরিবেশনা শিল্প ‘দেশ’ এর একটি দৃশ্য
আকরাম, আপনার সৃষ্টিশীলতা, উপস্থাপনা সত্যিই মুগ্ধতা জাগানিয়া। মানুষের সীমার মাঝেই আপনি, অথচ কী ভীষণ সুন্দর আর সাবলীল আপনার নির্মাণ, আপনার শরীরছন্দ।
পরিবেশনা শিল্প ‘দেশ’ এর একটি দৃশ্য
আপনি বলেছেন- আপনি দেশপ্রেমী নন। হয়তো সত্যি নয় কিংবা হয়তো সত্যিই বলেছেন। তবে আমি এই দেশটার জন্য ভীষণ মায়া অনুভব করি। আর ঠিক এ কারণেই শিল্পের সখ্য ছাপিয়ে আপনার নান্দনিক উপস্থাপনা যখন আমার চোখ বেয়ে নামছিল, তখন কেবলই মনে হচ্ছিল, আপনার-আমার শেকড় এই মাটিতেই, এই দেশেই, তখন খানিক বাড়তি অহং বুকজুড়ে বিকশিত হয়েছিল। আপনাকে অভিবাদন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯