‘দক্ষিণা সুন্দরী’ নাটকের পোস্টার
১৩ জুন ২০১৪ শুক্রবার। গুটি গুটি পায়ে হাজির হলাম নাটমণ্ডলে। এখানেই গণমাধ্যমকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য মঞ্চায়িত হবে নাটক ‘দক্ষিণা সুন্দরী’। নীলচে আলোর মাঝে পরিচিত সব মুখ। সুদীপের গোছানো উপস্থাপনায় ছোট্ট আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় নাটক। একে একে অভিনেতৃগণ প্রবেশ করেন মঞ্চে। বেশ কিছুক্ষণ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি সুরেলা উপস্থাপনা শেষে বন্দনা আর তারপরই নাটক এগিয়ে চলে। সুন্দরবন ও তাকে ঘিরে জনপদে ছড়িয়ে থাকা লোকায়ত কাহিনির সঙ্গে আলো দিতে গিয়ে কালো কয়লায় স্থাপিত হতে যাওয়া বিতর্কিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এসবই রয়েছে নাটকে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকে প্রেম। নারীর সঙ্গে পুরুষের, মানুষের সঙ্গে প্রাণী-প্রকৃতির প্রেম। ঐতিহ্যবাহী বাংলানাট্যের বিভিন্ন পরিবেশনামূলক ক্রিয়ার ফিউশন ঘটেছে নাটকটিতে। আর সেটি আরোপিত মনে হয়নি। একই ছন্দে বেজে উঠেছিল অভিনয়, সংগীত ও ছুঁড়ে দেয়া কথামালারা।
‘দক্ষিণা সুন্দরী’ নাটকের একটি দৃশ্য
এই নাটকটিই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নাটক হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসের সাংস্কৃতিক আসরে মঞ্চস্থ হবে। ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ওই উৎসবে নাটকটি মঞ্চায়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া নাট্যদল ‘থিয়েট্রেক্স বাংলাদেশ’। শাহমান মৈশানের সর্বপ্রাণবাদী পাঁচালি আঙ্গিকের এই দৃশ্যকাব্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী।
‘দক্ষিণা সুন্দরী’ নাটকের কলাকুশলীগণ
অভিনন্দন সুদীপ, শাহমান, সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীগণ এবং থিয়েট্রেক্স বাংলাদেশ। আপনাদের এই যৌথপ্রয়াস শুধুমাত্র আপনাদের একার অর্জন নয়, এই অর্জন বাংলা নাটকের, এই অর্জন বাংলাদেশের।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯