‘বসন্ত জাগরণ’ নাটকের দৃশ্য
২৭ নভেম্বর ২০১৩, বুধবার। দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা। কেমন নীরব টানটান আতঙ্ক সবার মাঝে। সেই ঝিমধরা সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ’ বিভাগের ৩য় বর্ষের পরীক্ষা প্রযোজনা দেখতে হাজির হই নাটমণ্ডলে। বিভাগের তরুণ শিক্ষক শাহমান মৈশানের ভাষান্তর ও নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে ‘ফ্রাঙ্ক ওয়েডেকিন্ড রচিত নাটক স্প্রিং আওয়েকনিং’। শাহমান নাটকটির বাংলা নাম দিয়েছেন ‘বসন্ত জাগরণ’। কিশোর-কিশোরীদের বয়ো:সন্ধিকালে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নানা জিজ্ঞাসা, সমস্যার খোঁজ রয়েছে এই নাট্যে। এ সংক্রান্ত কিছু কিছু সমস্যা নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দায়সারা গোছের নাটকের খোঁজ আমরা জানি। কিন্তু নাটকের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে, ঢাকার নাগরিকমঞ্চে এ জাতীয় নাটক খুব একটা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। নাটকটির প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী বাস্তবধর্মী অভিনয়ে যথাযথ পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিনন্দন।
শাহমান মৈশান
শাহমান এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে যেভাবে মোকাবিলা করেছেন, উপস্থাপন করেছেন- কী ভাষান্তরে, কী নির্দেশনা কৌশলে; তিনি নিশ্চিতভাবেই সাধুবাদ প্রাপ্য হবেন। তবে সেট-এর ব্যবহারে আর একটু পরিমিতি আনার সুযোগ ছিল, কখনো কখনো সেটি নাটক থেকে দর্শককে বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এরপরও প্রতীকায়ন, অ্যাক্রোবেটিকস, ব্রেখটীয় এলিয়েনেশন আর অভিব্যক্তির সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে নাটকটিতে। সাইম রানার সংগীত পরিচালনা নান্দনিক। নান্দনিক ওয়াহীদা মল্লিক জলির পোশাক পরিকল্পনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১