আমরা তিন জন দার্জিলিং গিয়েছিলাম ২৫ এপ্রিল, ২০১৬। ঢাকা থেকে বুড়িমারী হয়ে শিলিগুড়ি। তারপর দার্জিলিং এ তিন রাত এবং মিরিক এ এক রাত থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২ টায় শিলিগুড়ি থেকে বিআরটিসি শ্যামলীর বাস এ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এবং পরদিন সকাল এ কল্যাণপুর এ আমাদের যাত্রা শেষ হয়। এই ৬ রাত ৫ দিনের ট্যুর এর সকল হিসাব নিচে দিয়ে দিলাম। খরচ গুলো জন প্রতি হিসেব করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০১৬
১। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি বাস ভাড়া – ১৫০০ টাকা
২। ট্রাভেল ট্যাক্স – ৫০০ টাকা
৩। রাতের বাস এ নাস্তার খরচ – ৫০ টাকা ( এছাড়া বাস থেকে কলা, রুটি, মিষ্টি ও পানি দিয়েছিল)
মোট খরচ – ২০৫০ টাকা
২৬ এপ্রিল, ২০১৬
১। বুড়িমারী তে সকালের নাস্তা – ৩৫ টাকা
২। বর্ডার এর খরচ – ১৫০ টাকা
৩। শিলিগুড়িতে দুপুরের খাবার – ১২০ রুপি
৪। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং জীপ ভাড়া – ১৬০ রুপি ( নরমাল ভাড়া ১৩০ রুপি, আমরা তিনজন ৪ সীট নিয়েছিলাম)
৫। রাতের খাবার – ৬৫ রুপি
মোট খরচ – ১৮৫ টাকা, ৩৪৫ রুপি
২৭ এপ্রিল, ২০১৬
১। সকালের নাস্তা – ১২৫ রুপি
২। এন্ট্রি ফি – ৫০ রুপি
৩। ঘুরে বেড়ানোর জন্য জীপ ভাড়া – ১৬০ রুপি
৪। দুপুরের খাবার – ১৩০ রুপি
৫। স্ন্যাক্স – ৩০ রুপি
৬। মুভির টিকেট – ১৫০ রুপি
৭। রাতের খাবার – ৬০ রুপি
মোট খরচ – ৭০৫ রুপি
২৮ এপ্রিল – ২০১৬
১। টাইগার হিল এর জীপ ভাড়া – ৩০০ রুপি
২। সকালের নাস্তা – ৫৫ রুপি
৩। টয় ট্রেন এর টিকেট – ৬৩০ রুপি
৪। দুপুরের খাবার – ১০০ রুপি
৫। এন্ট্রি ফি – ১৫ রুপি
৬। কফি ও স্ন্যাক্স – ১৩৫ রুপি
৭। রাতের খাবার – ৮০ রুপি
মোট খরচ – ১৩১৫ রুপি
২৯ এপ্রিল, ২০১৬
১। সকালের নাস্তা – ৮০ রুপি
২। তিন দিনের হোটেল ভাড়া – ২২৫০ রুপি
৩। মিরিক যাওয়ার গাড়ি ভাড়া – ৩৮০ রুপি
৪। দুপুরের খাবার – ২০০ রুপি
৫। স্ন্যাক্স – ১৩০ রুপি
৬। রাতের খাবার – ৮০ রুপি
মোট খরচ – ৩১২০ রুপি
৩০ এপ্রিল, ২০১৬
১। সকালের নাস্তা – ৬০ রুপি
২। মিরিক এর হোটেল ভাড়া – ৫০০ রুপি
৩। মিরিক থেকে শিলিগুড়ি জীপ ভাড়া – ২০০ রুপি
৪। শিলিগুড়ি তে অটো ভাড়া – ৪০ রুপি
৫। দুপুরের খাবার – ৮০ রুপি
৬। স্ন্যাক্স – ৪৫ রুপি
৭। শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা বাস ভাড়া – ১২০০ রুপি
৮। বর্ডার খরচ – ২৫০ টাকা
৯। সন্ধ্যায় খাবার খরচ – ৮০ টাকা
১০। রাতের হোটেল এর নাস্তা খরচ – ৯৫ টাকা
মোট খরচ – ২১২৫ রুপি, ৪২৫ টাকা
১ রুপি = ১.২০ টাকা ধরে
মোট ৭৬১০ রুপি X ১.২০ = ৯১৩২ টাকা + ২৬৬০ টাকা
সর্বমোট খরচ = ১১৭৯২ টাকা
বিঃ দ্রঃ যদি টয় ট্রেন এ না উঠতাম তাহলে বেঁচে যেত ৬৩০ রুপি + মুভি না দেখলে আরও ১৫০ রুপি। এছাড়া আমরা অনেক স্ন্যাক্স আর ড্রিঙ্কস খেয়েছিলাম, এইখানেও অনেক খরচ কমানো যেত। আবার একটু পিছনের দিকে অর্থাৎ শুভ, রাফিরা যে হোটেল এ ছিল ঐ হোটেল এ থাকলে হোটেল ভাড়া থেকেও আরও ৫০০ - ৮০০ রুপি বাঁচত। আবার পিক সিজন না হলেও হোটেল ভাড়া কম হত। তাহলে সব মিলিয়ে ১০০০০ টাকার মধ্যে দার্জিলিং এ ঘুরে আসা সম্ভব(অবশ্যই শপিং বাদ দিয়ে)। এবং কলকাতা দিয়ে গেলে অতিরিক্ত ট্রেন ভাড়া টা যোগ করে নিবেন। স্লিপার ক্লাসের ভাড়া সর্বোচ্চ ৪৫০ রুপি এবং থ্রি এসি এর ভাড়া সর্বোচ্চ ১২০০ রুপি ট্রেন ভেদে। আর কালিম্পং যেতে চাইলে জন প্রতি আরও ১০০০ টাকা বেশি লাগতে পারে। আর বড় গ্রুপ হলে এর মধ্যেই ম্যানেজ হয়ে যাবে।
আমি একটা মোবাইল এর সিম কিনেছিলাম এবং রিচার্জ বাবদ মোট খরচ ছিল – ৪৫০ টাকা।
আমার ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা -
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২১