গতকাল একটা পোস্ট চোখে পরল কচ্ছপ নিয়ে। পড়ে দেখলাম, ভালো লেখা, গোছানো, তথ্যপূর্ণ। লাইক দেবো তার আগে ভাবলাম একটু দৈবচয়ন ভিত্তিতে একটা লাইন নিয়ে গুগল করে দেখি। দেখলাম ঐ লাইনটা হুবহু অন্য সোর্সে আছে। আরো খোঁজাখুঁজি করে বুঝতে পারলাম লেখাটার সিংহভাগ অন্তত দু‘টি সোর্স থেকে হুবহু কপি-পেস্ট। দেখা গেল ঐ পোস্টে কাল্পনিক_ভালোবাসা “লাইক” দিয়েছেন। মানে সাড়ে সর্বনাশ, কপি-পেস্ট লেখা নির্বাচিত পাতায় গেছে। এরকমটা যে এবারই প্রথম হয়েছে তা কিন্তু নয়। রাজীব নূর সাহেবের কপি-পেস্ট নির্বাচিত পাতায় গিয়েছিল আর সেজন্য মডারেটরের সমালোচনা আমি করেছিলাম।
কিন্তু, একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলে প্রশ্ন আসে মডারেটর কি আসলে শতভাগ সময় এ ধরনের বিষয়ে পুলিশিং করতে বাধ্য? মডারেটর কি ব্লগারদের উপরে এতটুকু আস্থা রাখতে পারেননা যে ব্লগাররা কপি-পেস্ট করবেননা, চোরাই লেখা ব্লগে পোস্ট করবেননা!
কয়েকদিন আগে এক “ব্লগার” মন্তব্যের ঘরে আরেকজন ব্লগারকে “মাথায় মগজ বলতে কিছু নেই” বলেছেন। বিষয়টি আমার চোখে পরায় আমি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। পরে দেখলাম কতৃপক্ষ ঐ ব্যক্তিগত আক্রমন করা মন্তব্যটা মুছে দিয়েছেন। আরও পরে জানতে পারলাম ঐ ব্লগারকে নীতিমালার আওতায় নেয়া হয়েছে। ব্লগার আর তার চ্যালা-চামুন্ডা খয়ের খাঁ কুলের ধারণা ঐ ব্লগারকে নীতিমালার আওতায় আনাটা অন্যায় হয়েছে; ঐ ব্লগার পারপোরেটর নয় বরং সেই ভিকটিম। ঐ ব্লগার নিজের ভুলটুকু বুঝে, মেনে নিয়ে নিজেকে না শুধরে বলছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা যেহেতু বাংলাদেশের সমসাময়িক একটি (প্রায় রাজনৈতিক) বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেহেতু তার পোস্টে যেন উক্ত ব্লগার কোন মন্তব্য করতে না পারে তাই উক্ত ব্লগারকে পোস্ট ও কমেন্ট ব্যান করে রাখা হয়েছে।
একজন নিরপেক্ষ ব্লগার হিসেবে আমি জানিনা উক্ত ব্লগারের এই “ব্যান থিওরি” সত্য কিনা। তবে, এতটুকু বুঝতে পারি সামহোয়ারইনের মডারেটর হওয়া সহজ কথা নয়। বাদী, বিবাদী, চোর, পুলিশ সহ সব পক্ষের সমালোচনা হজম করতে হয় বেচারাদের!
ছবিঃ আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮