ছোট বেলা থেকেই ধনী হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছাটি ছিল তালেব আলীর। সে বড় হয়েছ সাথে ইচ্ছাটিও এখন আকাশচুম্বী। ধনী হওয়ার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু কিভাবে ধনী হওয়া যায় তা ভেবে পায় না।
উচ্চশিক্ষিত বা ধনী লোক দেখলেই সেরেছে, কিভাবে ধনী হবে প্রশ্ন না করে ছাড়াছাড়ি নেই। তবে বেশিরভাগ লোকে উত্তরে বলে, নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাও।কেউ বলে, আটসশি পীর সাহেবের হাতে বায়েত গ্রহন করো। নিদিষ্ট কোনো উত্তর মিলেনা। প্রত্যহ নামাজ পড়ে লম্বা সময় মোনাজাত করে। একদিন সপ্নে দেখল তার ধনী হওয়ার আবেদন আল্লাহর দরবারে মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি শতযুক্ত। Condition হচ্ছে ১৩ জন চোরদের দাওয়াত দিয়ে ভরপেট আহার করিয়ে খুশি করতে হবে।
এখন খুশিতে আত্তহারা। কিন্তু একটি ভাবনা তাকে চিন্তায় ফেলে দিল। ভদ্রলোক হয়েও কি করে বাড়িবাড়ি চোর খুজে বেড়াবে। এদিকে আবাধ্য সপ্ন। তাই লোকলজ্জার ভয়ে অচেনা এক গ্রামে গিয়ে খোজ শুরু করলেন। কিন্তু সবাই তাকে ভুল বুঝে, কেউ পাগল বলে গালমন্দ করে, চোরের টিম গঠন করে সরদার হবে কিনা জানতে চেয়ে হাস্য করে।
সব শেষে সে ইমাম সাহেবের কাছে গোপন বিষয়টি বলল। ইমাম সাহেব ভেবে উত্তরে বললেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যান মিলে মোট ১৩ জন হয় তাদের জন্য ভাল ব্যবস্তা করুন যাতে কবজি ডুবিয়ে গলা পযন্ত খেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০