আজ সকালে আমার সিম নিবন্ধন করতে গেছিলাম বাসার সামনের দোকানে (কল্যাণপুর)। নতুন ভোটার হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট থাকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিয়ে গেছিলাম। দোকানদার মামা আইডি কার্ডের ফটোকপিটা ভালো করে দেখলো। তার দেখার ভাব খানা এমন যে আমি তার জমি জায়গা লিখে নিচ্ছি। আর সে না পড়ে সিগনেচার দিবেন না। যাক তারপর সে আমার সিম নিবন্ধন শুরু করলো। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে দোকানদার মামা আমার কাছে ২০ টাকা দাবি করলো।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম মামা কিসের টাকা????
মামা উত্তর দিলো আপনার সিম নিবন্ধন করে দিলাম তার টাকা।
আমি কইলাম মামা টাকা নেওয়ার তো কোনও নিয়ম নাই আপনি কিসের লাইগা টাকা নিবেন।
তিনি আমাকে বললেন বললেন আমি দোকানের কাজ বাদ দিয়া আপনার সিম নিবন্ধন করলাম তার জন্য আপনাকে টাকা দিতেই হবে।
আমি তারে কইলাম আমারে একটা লিখিতো দেন, যে টাকা ছাড়া সিম নিবন্ধন করা হয় না।
তিনি আমার কথা শুনে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থা মধ্যে পড়ে চুপ হয়ে গেলেন। ঠিক ওই সময় তার পাশে থাকা একটি দালাল টাইপের মানুষ বলে উঠলেন আপনি করলে করেন, না করলে করেন না। কিন্তু টাকা ছাড়া এখানে সিম নিবন্ধন হয় না।
দালালের কথা শুনে কি বলবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি। চুপচাপ ২০ টাকা করে মোট ৬০ দিয়ে ৩ টা সিম নিবন্ধন করে নিয়ে চলে আসলাম। কারণ আমি কয়জন দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি করবো, আমার এলাকার সব দোকানের চিত্র একই। টাকা না দিলে কেউ সিম নিবন্ধন করে না।
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আমি আপনার সিম নিবন্ধন করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। কারণ এটা একটা যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। কিন্তু সিম নিবন্ধনের নামে মোবাইলের দোকানদাররা সাধারণ মানুষের পকেট যেভাবে কাটছে, এটা আমি মেনে নিতে পারলাম না।
আপনি বলেছিলেন সিম নিবন্ধনে কোন অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন - আমরা অভিযোগ টা করবো কোথায়??????
শেষ সময়ের সিম নিবন্ধন চলছে বলে তারা যা ইচ্ছা তাই করবে এটা ঠিক না।
বন্ধ হোক এই নীরব চাঁদাবাজি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১০