কিছু আনন্দ, কিছু কষ্ট, কিছু ভাললাগা, সব মিলিয়ে মোহনা আর হাসানের কেটে গেল ২ মাস। এখন মোহনা অনুভব করে একটু একটু করে, হাসানের মোহনার প্রতি যে অনুভুতি ছিল, তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। মোহনা তো এটা ই চেয়েছিল। এখন মোহনাও হাসনের থেকে দূরে যেতে থাকলো। এতে হাসানের মনে হয়ত অভিমান আছে। মোহনা বুঝতে পারছে হাসানের প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। মোহনার ও কষ্ট হচ্ছে অনেক। কিন্তু কোন উপায় নেই, মোহনা কে পারতেই হবে। আগে হাসান মোহনার সাথে কথা না বলে এক মুহূর্ত থাকতে পারত না, এখন ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায়। মোহনা ফোন করলে,হাসান মাঝে মাঝে ফোন রিসিভ করে না। রাতে ২ জনই অনলাইনে থাকে, তারপর ও ওদের খুব একটা কথা হয় না। এক রাতে হাসান মোহনা কে লিখলো,
হাসান: only 1 question.."yes" or "no"...you know everything n i know everything abt u......last time last question....if u don answer i ll think the answer is "no"....u want to make me practical..ok,lets b that bloody practical...ok?no emotion at all,forever....
এর পর কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করেই হাসান লিখল,
হাসান: good night.........
মোহনা কিছু না বুঝেই লিখলো, good night, ভাল থাকো।
হাসান: got my answer, thanks
মোহনা কিছু বুঝে উঠার আগেই হাসান সাইন আউট হয়ে চলে গেল। মোহনা অবাক, এটা কি হলো? সাথে সাথে হাসানের মোবাইলে কল করলো।
হাসান: আবার ফোন করলে কেন? আমার উত্তর তো পেয়ে গেছি।
মোহনা: কিশের উত্তর? তুমি আমার কাছে কি জানতে চাইলে সেটাই তো বুঝলাম না।
হাসান: না বুঝার তো কিছু নাই, আমার জান-প্রান সব দিয়ে তোমাকে বুঝাতে চেয়েছি। তাই আর বুঝানোর কিছু নাই, শেষ বার এর মত জানতে চাইলাম, Yes or No? যেকোন একটা বেছে নাও।
মোহনা নীরব হয়ে গেল। মোহনা অনেক কষ্টে বললো, No.
হাসান খুব স্বাভাবিক ভাবে, কোনো ইমোশন ছাড়াই বললো,গুড, আজকের পর থেকে আমি তোমকে আর বিরক্ত করবো না, আর তোমাকে দেয়া কোন কথা আমি রাখতে পারবো না।
তার পর হাসান একটা সিগারেট ধরাল।
মোহনা অবাক হয়ে বলল, হাসান, তুমি না সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে? আবার কেন?
হা হা হা। বলেছিলাম, তুমি যদি আমার সাথে থাক, তাহলে। Thanks, bye, তার পর ফোনটা কেটে দিল।
আর মোহনা? নির্বিকার, শুধু কথা বলছে মোহনার চোখের ঝরে যাওয়া বিন্দু বিন্দু জল। মোহনা হাসান কে এস এম এস করলো, "তোমার প্রমিস তুমি পুড়িয়ে ফেলছ"
হাসান রিপ্লাই করল, "No, I m burning my emotion and celebrating of being refused 1st time in life. ফালতু ছেলেরা কোনো প্রমিস রাখে না, you ppl wanna see me emotionless, yah, I m that, a bloody practical bustard."
এর রিপ্লাই কি করবে মোহনা বুঝতে পারলো না। শুধু লিখলো, "নিজেকে কষ্ট দিও না, যেভাবেই থাক, ভাল থেকো।"
হাসানের রিপ্লাই, " Dont advise me, I thought a lot and I m rewarded, no thinking bussiness anymore. be away from me, কারন, মাতালদের সাথে সমাজে কেউ মিশে না। I am damn practical now, you be with your emotions, love your love and hate me.
you tried to prove me,thre is no word called love or I am a shit worthless for that word and you know what? you are successful, YOU WON MY DEAR.
hah, it is time to be practical and I am on my way, I was a nightmare for you. its over, done, bye.
মোহনার চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পরছে। নিজের অজান্তেই একটু হেসে উঠল, জানে না, এই কান্না-হাসির মানে কি? মোহনা এস এস এম করলো,
"now you can forget me. অনেক ভালো থেকো। জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিও।"
হাসান সাথে সাথে রিপ্লাই করল, " never, be sure of that."
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০