বৃষ্টি হচ্ছে, মোহনা বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টিস্নাত ভোর দেখছে। ঝির ঝির বৃষ্টির পানি মোহনাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছে মোহনার দুই চোখে বয়ে যাওয়া কষ্ট। ধীরে ধীরে সকাল হল, মোহনা ভাবল, আজ সে ইউনির্ভাসিটি যাবে না। বাসায় থাকতে ভাল লাগছে না, বৃষ্টির মাঝেই বেড়িয়ে পরল রাস্তায়। কোথায় যাবে জানে না সে। একসময় হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে পরল। জানে না কতক্ষন হেটেছে সে। রাস্তার ধারে কিছুখন বসে থাকলো, তারপর বাসায় ফিরলো। খুব জানতে ইচ্ছা করছে, হাসান কি করছে, কেমন আছে। সত্যি যদি হাসানের কিছু হয়ে যায়। একটা অজানা আশংকায় মোহনার বুক কেপে ওঠে। সাথে সাথে ফোনটা হাতে নিয়ে হাসানকে ফোন করল। নাহ, হাসান ধরে না, কেন ধরছে না? মোহনার অস্থির লাগছে। হাসানকে sms করলো, "কেমন আছ? কি করছ?"
হাসান reply করলো, " I am fine, আমার শেষ কথা গুলো মনে রেখ, আমি থাকলে তো বার বার আসবো, একটু সময় দাও, I will make it alright, sorry for the sms"
মোহনা শুধু এটুকু লিখলো " plz ভালো থেকো"
হাসানের reply, " পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্ম হয় শুধু কষ্ট পাবার জন্য। I am one of them, আমি ভালো থাকবো না তো কে থাকবে? I cant force u to love me but i can force u to hate me, thats it. I cant forget u, never, for this, as soon as i m over, u r free, আমি ওখানেই তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
everything will be smooth as it was in ur life. আমার ভালোবাসা তোমার মনে কনফিউশন দিয়েছে, guilty feelings দিয়েছে। sorry to hurt u. আমি এতটা খারাপ, জানতাম না। ভুলে যাও, leave me at my own with my love. that was always mine, নগন্য হ্য়তো। Love u forever."
মোহনা দেয়ালে হেলানা দিয়ে নিথর হয়ে বসে আছে। হঠাৎ করে খুব মায়ের কথা মনে পরছে তার। বির বির করে বলতে লাগল, " আম্মু তুমি কোথায়? আম্মু তোমার কাছে যাবো, আম্মু আমি কি করবো? তুমি বলো, আমি কি করবো? আমাকে নিয়ে যাও, আমি আর পারছি না তো।"
যতক্ষন ইচ্ছা ততোক্ষন কাঁদলো সে। এখন অনেকটা হালকা লাগছে। সিদ্ধান্ত নিল, হাসানের সাথে এভাবে পারা যাবে না। ওর সাথে থেকে ওকে বুঝাতে হবে, দূরে যেয়ে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৮