হাসান sign out হয়ে গেল yahoo messenger থেকে। মোহনা আর নিজেকে সামলে রাখতে পারল না। বালিশে মুখ চেপে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করল। কিছুক্ষন পর হাসানের sms এলো,
"তোকে খুজে বের করার জন্য আমার একটাই aim ছিল, just to say you once and to let you know that. এটা না বলতে পারলে আমার অনেক বড় একটা আফসোস থাকতো, এখন থাকবে না। আমি কোন return চাই না। cuz I know, I am not eligible for that. আর সবার জীবন আলাদা, তাই অন্যের জীবন twist করার ইচ্ছা আমার নাই, honestly.
একবার বলবো, তোমার জন্য না, just for me, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি ভালোবাসা কি, আমি তোমাকেই ভালোবেসেছি, ভালোবাসি, যতদিন বুঝবো, ভালোবেসে যাব। উফফ, আমার আর কোনো আফসোস নাই, কোনো চাওয়া নাই, আমি অনেক lucky, এই কথা গুলো বলার জন্য এতটা বছর অপেক্ষা করেছি। আজ আমি অনেক সুখী, ভালো থেকো।"
মোহনার মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আর পারছে না সহ্য করতে। আবার হাসানের sms,
"একবার বলো তুমি, আর তোমাকে জ্বালাবো না, নইলে নিজেকে সামলাতে কষ্ট হবে। আমার জন্য এটুকু করো।"
এবার মোহনা নিজেকে কিছুটা সামলিয়ে হাসানকে call দিল।
হাসান: হ্যা, বলো, তোমার নিজের মুখে। তোমাকে আর বিরক্ত করবো না।
মোহনা কোনো কথা বলতে পারছে না। বাকরুদ্ধ।
হাসান: কি হলো? বলো।
মোহনা: plz হাসান, আমাকে ভুলে যাও, plz.
হাসান: এটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না, এটা তো একান্তই আমার নিজের ব্যপার, তাই না? তুমি বলো, আমি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। আর আমার কাছে প্রমিস করো, এর পর, আমার আর কোন খোজ নিতে আসবে না। কারন, এতে তুমি কষ্ট পাবে।
মোহনা কিছু বলতে পারছে না। সব কথা গুলো চোখের পানির সাথে ভেসে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে কথা গুলো উচ্চরন করলো,
"তুমি আর আমাকে বিরক্ত করবে না"
হাসান: very good. সব শেষ। আজ থেকে তুমি মুক্ত।
এর পর ২ জনের নীরবতা। কেউ কনো কথা বলতে পারছে না।
মোহনা: হাসান, ফোন রাখো।
হাসান: তুমি রাখো, এই call টা কাটার মত শক্তি আমার নাই মোহনা।
হঠাৎ করে হাসান ডুকরে কেঁদে উঠলো। এমন একটা পরিস্থিতি মোহনা আশা করে নি। মোহনা বুঝতে পারলো না, হাসানকে কি বলবে। হাসান, কাদতে কাদতে বললো, মোহনা, আমাকে ছেড়ে যেওনা। আমি পারবো না। আমি সত্যিই পারবো না।
মোহনা: তোমাকে পারতেই হবে হাসান।
হাসান নিজেকে কিছুটা সামলে নিল,
"আমি এখন বাইরে যাব, ভোর হয়ে গেছে। ফোনটা এভাবেই রেখে গেলাম, আমার পক্ষে এই ফোনটা কাটা সম্ভব না, তুমি কেটে দিও।"
হাসান চলে গেল, মোহনা আরো কিছুখন ফোনটা কানে ধরে থাকলো, তার পর একসময় কেটে দিল।