আমি যদি নিজেকে দুঃখী বলি,
তাহলে ওরা বলবে কি,
আমার দুঃখ তো আকাশের মেঘ,
ওদের দুঃখগুলো তো বৃষ্টি,
শুধু ঝরতে থাকে অবিরত।
আমি সমুদ্রের তীরে ঘর বানাই,
তা জলে ভেসে যায়,
ওদের ঘর তো সমুদ্রের মধ্য খানে,
স্বপ্নগুলো ডুব দেয় যেখানে।
আমি তো কাকের শব্দ শুনি,
শুনে তাড়িয়ে দেই দূরে,
ওদের তো কাকের সাথে বসবাস,
আজ আবর্জনা, তো কাল উপবাস।
আমি তো পাথরের গায়ে স্বপ্ন আঁকি,
তারপর চোখে স্বপ্ন দেখি,
ওদের চোখটাই তো পাথর,'
ওরা স্বপ্ন দেখবে কি আর।
আমার আঙ্গুলে বিঁধে গোলাপের কাঁটা,
সহ্য করে সুবাস নেই তার,
ওদের রক্তে মিশে আছে নীল বিষ,
ওরা বুঝে না সুগন্ধ কি জিনিস।
পিঠে পথ কুড়ানো বস্তার ভার,
দুমড়ানো মোচড়ানো কাগজের সম্ভার,
উলঙ্গ দেহে যন্ত্রনা এক যুগ ক্ষুধার,
মুখের অম্লিন হাসিতে চাহনি বিধাতার।
পিতৃহীন এ জগত তাদের করেছে ছিন্নমূল,
পথের ধারের এ জীবন,'
ধূলোয় ভরা বিনিদ্র শিহরণ,
কখনও বা তারা কারও চক্ষুশূল।
নগ্ন পায়ে কংক্রিটের দহন,
চারদেয়ালে প্লাস্টিকে মোড়ানো জীবন ধূসর।
কখনো বা জীবনের আহবানে বৃষ্টি উল্লাস,
এত কান্নার মাঝেও,
এ যেন দুঃখ সুখের পাশাপাশি বসবাস।
চাদের আলোয় জ্যোৎস্না মেখে,
যখন তাদের শরীর নেয় চেখে,
মায়ার পৃথিবীর মায়ারা সব ভর করে যেন তাদের দু চোখে।